মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। এরই মধ্যে পরিবর্তন নেই কুমিল্লা মেঘনা নদীর। আগে যেমন ছিল, এখনো তেমনই আছে। প্রায় সপ্তাহে রাতের আঁধারে এ নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিনের বেলায় প্রভাবশালী চক্রের ড্রেজারগুলো পাশের এলাকা গজারিয়া ও সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন স্থানে রাখা হয়। রাত গভীর হলেই ড্রেজার বসিয়ে শুরু হয় বালু উত্তোলন। বালু তোলার ফলে ভাঙনের কবলে পড়েছে নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নলচর এলাকার দক্ষিণে বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে চক্রটি। তারা প্রতিদিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে পরদিন সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বালু উত্তোলন করেন। এতে নদী ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছেন রামপ্রসাদের চর, নলচর ও চালিভাঙ্গা বিস্তীর্ণ জনপদের বাসিন্দারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এদের মোকাবিলা করা খুবই কঠিন। এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে কোনো লাভ নেই। এরা ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় এসব অবৈধ ড্রেজার চালিয়ে বালু তুলছে।
এদিকে মহিলা যুবদলের মাহবুবা ইসলাম মিলির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি-আওয়ামী লীগ এই দুপক্ষ মিলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
এদের মধ্যে ওই এলাকার বিএনপিপন্থি আব্দুল বারেক ও তার ছেলে মহোসিন ও হাসনাত, মৃত হাবিবুল্লার ছেলে রবিউল্লাহ প্রকাশ রবি ও ইব্রাহীম, রবিউল্লার ছেলে হিমেল, লালচানের ছেলে খলিল, জুলহাসের ছেলে রুপ মিয়া ও সোনা মিয়ার ছেলে আমজাদ। আওয়ামী লীগপন্থি মজুদ্দীন মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিন, আব্দুর রশীদের ছেলে জাকির হোসেন, আক্কাস আলীর ছেলে টিটু ও হুমায়ুন কবিরের ছেলে সাব্বির হোসেনসহ আরো অনেকেই।
তিনি বলেন, অপরাধীদের নাম বলে দেয়ায় আমার ওপর হুমকি আসতে পারে। তারপরও আমি চাই, কেউ যেন মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন না করেন।
মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে জড়িত ব্যক্তিদের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেনু দাস ভোরের কাগজকে বলেন, আমি আপনার কাছে এই প্রথম শুনলাম। আমি এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। কেউ আমাকে অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।