হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়
ভিসির পদত্যাগ ঠেকাতে ফের বিক্ষোভ ছাত্রদের
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারুক উজ জামান পদত্যাগ করেছেন- এমন খবরে ভিসির পদত্যাগ ঠেকাতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। গতকাল রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীরা ‘ভিসি স্যারের পদত্যাগ মানি না, মানব না’, ‘জেগেছেরে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’- এ রকম নানা সেøাগান দিতে থাকেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং শিক্ষক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও তা অমান্য করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারুক উজ জামান পদত্যাগ করেন। ভিসির পদত্যাগের খবর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থীরা ভিসিকে স্বপদে বহালের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মো. আবির হোসেন বলেন, বর্তমানে আমাদের অনুষদের ২ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অন্ধকার। পাস করার পরও আমরা ডিজি হেলথ থেকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাচ্ছি না। ফলে আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের চাকরি দিচ্ছে না বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিষয়টির সমাধানে ডিজি হেলথ বরাবর আমরা লিখিত আবেদন করি। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গত বছরের অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন তারা। কিন্তু চিঠি দেয়ার প্রায় ১১ মাস পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখতে পাইনি আমরা। সম্প্রতি আমাদের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারুক উজ জামান স্যার আমাদের পক্ষে দাঁড়ান। তিনি আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। আমরা নিশ্চিত তিনি আমাদের পক্ষে দাঁড়ানোর কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে।
আরেক শিক্ষার্থী রাব্বি ইসলাম প্রিমন বলেন, আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি মেডিসিন অনুষদ শিক্ষার্থীরা ৫ দফার দাবিতে আন্দোলন করছেন। এর আগে আমাদের ৫ দফা ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করছেন না। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আরেক শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আফতাফ আহমদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শেষ হওয়ার পর থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি ছিল। সেই দাবির পাশাপাশি ভিসি স্যারকে স্বপদে বহাল করতে হবে। না হলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সেক্টরের কার্যক্রম বন্ধ করে কঠোর আন্দোলন করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক আবুল খায়ের বলেন, শিক্ষার্থীদের একাধিক দাবি আমরা পূরণ করেছি। আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি মেডিসিন অনুষদ শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনও হয়ে যাবে। এখন ভিসির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার।