বিএনপি কর্মীর কাঠবাগান কেটে নিয়ে গেলেন আ.লীগ নেতা
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
খোরশেদ আলম, শেরপুর থেকে : শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিএনপি কর্মীর কাঁঠবাগান কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আনার উল্লাহ নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
আনার উল্লাহ উপজেলার কাংশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাঁকাকুড়া গ্রামে।
জানা গেছে, ওই গ্রামের যুবদল নেতা বাচ্চু মিয়া তার পৈত্রিক ৫ একর সম্পত্তি দীর্ঘদিন থেকে ভোগদখল করে আসছিল।
বাচ্চু মিয়া জানান, গত প্রায় ১০ বছর আগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনার উল্লাহ ক্ষমতার দাপটে জালজালিয়াতির মাধ্যমে ওই জমি দখল করে নেন। পরে তিনি ওই জমিতে গাছের চারা রোপণ করলে বাচ্চু মিয়া চারাগুলো উপরে ফেলে নিজেই চারা রোপণ করেন। বাচ্চু মিয়ার অভিযোগ সোমবার আনার উল্লাহ তার লোকজন নিয়ে জোর করে কাঁঠবাগানের প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের গাছ কেটে নিয়ে যায়।
তিনি বাধা দিতে গেলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। এ ভয়ে তিনি প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। আনার উল্লাহ ওই জমিতে পুনরায় গাছের চারা রোপণের পাঁয়তারা করে আসছেন। এ বিষয়ে আনার উল্লাহ বলেন, আমি কোনো প্রতারণা করিনি। কাঁঠবাগান তিনি নিজে রোপণ করেন বলে জানান।
তিনি বাচ্চু মিয়ার দাদা আর রেকর্ডের মালিক মহসিনের কাছ থেকে জমিটি কিনে নিয়েছেন বলে জানান। জমি বিআরএস রেকর্ড মালিকের নামে না হওয়ায় তিনি আদালতে একটি মামলাও করেছেন।
কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, জমির প্রকৃত মালিক বাচ্চু মিয়া। তিনি জমি ভোগদখলে ছিল। তবে জমিটা বিক্রি হয়েছে কিনা তা তার জানা নেই।
এ ব্যাপারে বাচ্চু মিয়া বলেন, তার দাদা-বাবা তার পরিবারের কেউ কোনো জমি বিক্রি করেনি। তিনি বলেন, আনার উল্লাহ প্রতারণার মাধ্যমে জালজালিয়াতি করে তার জমি দখল করে নেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
তিনি তার জমি উদ্ধারের বিষয়ে সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো ফল হয়নি বলে জানান। তিনি বলেন আর্থিক সংকটের কারণে মামলা মোকদ্দমায় যেতে পারছেন না বলে জানান তিনি।