×

সারাদেশ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাঙন আতঙ্কে পদ্মার তীরবর্তী মানুষ

হুমকিতে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাসহ আবাদি জমি

Icon

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাঙন আতঙ্কে পদ্মার তীরবর্তী মানুষ

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে পদ্মা নদীভাঙন। এতে আবাদি জমিসহ ভিটামাটি বিলীন হচ্ছে নদীগর্ভে। ভাঙন আতঙ্কে ভিটামাটি ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাচ্ছেন তীরবর্তী স্থানের মানুষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বর্ষাকালে পদ্মার পানি বাড়লে স্রোতের গতি বেড়ে যায়। ফলে নদীর তীরবর্তী মাটিতে ভাঙন সৃষ্টি হয়। এছাড়া নদীর তলে পলি জমা, নতুন চর তৈরি ও নদীর প্রশস্ততা বেশি হলে ভাঙন বাড়ে।

স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহ খানেক ধরেই পদ্মা নদীতে ভাঙন চলছে। এতে সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের খলিফাচর থেকে শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের দশ রশিয়া পর্যন্ত ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে, যার দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার। এসব এলাকায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ভাঙন হচ্ছে নারায়ণপুরের দেবীপুর ও পাঁকা ইউনিয়নের ছাব্বিশ রশিয়ায়। সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাগুলো রয়েছে হুমকিতে।

পদ্মাপাড়ের বাসিন্দা শামিম রেজা মিলন বলেন, উজানের ঢল আর বর্ষায় পদ্মার পানি বাড়ায় নদীভাঙন শুরু হয়েছে। ফলে আশপাশের জেগে ওঠা চরগুলোয় আশ্রয় নিচ্ছেন মানুষ। গত ১ বছরের মধ্যে পদ্মার তীরবর্তী প্রায় ৬০০ পরিবারের ভিটামাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, গত কয়েক বছরের নদীভাঙনে আমাদেরই প্রায় ৪০ বিঘা আবাদি জমিসহ ভিটামাটি বিলীন হয়েছে। ছোটবেলার সব স্মৃতি এখন নদীতে। নারায়ণপুরের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন পরিষদ ও আশ্রয়ণকেন্দ্রসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পদ্মার দূরত্ব মাত্র একশ-দেড়শ মিটার। হুমকিতে আছে এসব প্রতিষ্ঠান। চরেও কষ্টে আছে ভাঙনকবলিতরা। ভাঙন থেকে বাঁচতে পাঁকা ইউনিয়নের নিশিপাড়া ও নারায়ণপুর ইউনিয়নের কালুপুরের চর এলাকায় স্থানান্তরিত হচ্ছে মানুষ। ভিটামাটি হারিয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তবে চরে এসেও অনেক উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তারা। স্থানীয়রা বলছেন, পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা চরগুলো মানুষের বসবাসের অযোগ্য। পদ্মার তীরবর্তীর নিম্নআয়ের মানুষেরা বছরের পর বছর নদীর একূল-ওকূলে স্থানান্তরিত হচ্ছেন। বাধ্য হয়েই তারা সেখানে বসবাস করেন। কিন্তু সেখানে খাবার পানি, সরকারি স্বাস্থ্যসেবাসহ অনেক কিছু থেকে তারা বঞ্চিত। তাছাড়া নতুন করে সাপ আতঙ্কও বেড়েছে।

নাজমুল ইসলাম নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, চরাঞ্চলে সাপের আতঙ্ক অনেক বেশি। নিশিপাড়া চরে অনেক ভাঙনকবলিতদের বসবাস। কিন্তু এখানে কোনো অস্থায়ী স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র না থাকায় মানুষ আতঙ্কে আছেন। সেবার ভরসা কেবল গ্রাম্য চিকিৎসক।

নারয়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, দুটি ইউনিয়নজুড়ে পদ্মায় ভাঙন বেড়েছে। জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। প্রতি বছরই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের আলোচনা করা হলেও বাস্তবায়ন হয়নি এখনো। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হলে পদ্মা পাড়ের মানুষ উপকৃত হবেন। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, নারায়ণপুর ও পাঁকায় নদীভাঙন তীব্র হয়েছে। এলাকাগুলোতে অস্থায়ী বাঁধ কোনো কাজে আসে না। তাই ২৩ কিলোমিটারজুড়ে পদ্মায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটির আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা। একনেকে পাস হলে দরপত্র আহ্বান করে কাজ শুরু করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আম্বানীর কর্মচারীর সঙ্গে প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন অনন্যা

আম্বানীর কর্মচারীর সঙ্গে প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন অনন্যা

চট্টগ্রাম থেকে ওমানগামী উড়োজাহাজের ভারতে জরুরি অবতরণ

চট্টগ্রাম থেকে ওমানগামী উড়োজাহাজের ভারতে জরুরি অবতরণ

হঠাৎ আলোচনায় জেসিয়া ইসলামের গ্ল্যামার, সমালোচনা ও ব্যক্তিগত জীবন

হঠাৎ আলোচনায় জেসিয়া ইসলামের গ্ল্যামার, সমালোচনা ও ব্যক্তিগত জীবন

উত্তাল সাগরে ২১ ট্রলার ডুবে জেলে নিখোঁজ

উত্তাল সাগরে ২১ ট্রলার ডুবে জেলে নিখোঁজ

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App