ডাকাতি ও হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কাগজ প্রতিবেদক, জয়পুরহাট : জয়পুরহাটে ডাকাতি ও হত্যা মামলায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। বাদীপক্ষ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পাড়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়।
ডাকাতরা ডাকাতি করে ওই বাড়ির এক সদস্যকে হত্যা করে বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। এই মামলার রায়ে ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অর্থ অনাদায়ে তাদের আরো দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। মামলার অন্য ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের বে-কসুর খালাস প্রদান করেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, মামলার বাদীর সঙ্গে কথা বলে উচ্চ আদালতে যাবেন কি না পরে সিন্ধান্ত নেয়া হবে।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জেলার সদর উপজেলার দাদড়াজন্তি গ্রামের বাবুপাড়া মহল্লার তোফাজ্জল হোসেনের পুত্র সামছুল হুদা ওরফে ভোদা, দাদড়াজন্তি গ্রামের খাজের মৃধার ছেলে মো. মিজান, সদর উপজেলার ভিটি দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র বাবু মিয়া, সদর উপজেলার ভিটি গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মুক্তিয়ার হোসেন, চকবম্বু পাতারপাড়া গ্রামের মৃত কিয়ামত আলীর পুত্র সবুর হোসেন এবং সদর উপজেলার ভিটি প্রধানপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুরের পুত্র জাহিদুল ইসলাম।
জাহিদুল ইসলাম জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আদালতে উপস্থিত থাকা ৫ আসামিকে রায় ঘোষণার পর পুলিশ জয়পুরহাট কারাগারে পাঠায়।
জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৯ আগস্ট রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার দাদড়াজন্তি গ্রামের বাবুপাড়া মহল্লায় উৎপল চন্দ্রের বাড়িতে ডাকাতি করে ডাকাতরা। ডাকাতরা ওই বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ ২ লাখ ৯২ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নেয়। বাড়ির সদস্য শিক্ষক প্রতুল চন্দ্র বাধা দিলে তাকে হত্যা করে ডাকাতরা।