সেবাবঞ্চিত বাসিন্দারা
সিংগাইরে দুবছর ধরে লাপাত্তা দুই ইউপি সদস্য
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মাসুম বাদশাহ, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) থেকে : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ২ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য প্রায় দুই বছর ধরে অনুপস্থিত থাকলেও তাদের ওয়ার্ড দুটি শূন্য ঘোষণা করা হয়নি। ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে উপনির্বাচন। এতে নাগরিক সুবিধাসহ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ভোগান্তি পোহাচ্ছে ওই ওয়ার্ডগুলোর বাসিন্দারা।
ইউপি সদস্যশূন্য ওয়ার্ড দুটি হচ্ছে উপজেলার চারিগ্রামের ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড ও জামসা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড। চারিগ্রাম ইউপি সদস্য হচ্ছে আমজাদ হোসেন। তিনি উত্তর জইল্যা গ্রামের মৃত হাকিম আলীর ছেলে। অন্যদিকে জামাশা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. আরিফুর রহমান। তিনি উত্তর জামশা গ্রামের মো. আনসার আলী ছেলে।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমাজাদ হোসেন ও মো. আরিফুর রহমান ইউপি সদস্য (মেম্বার) নির্বাচিত হন। নির্বাচনের ৪-৫ মাস পর আমজাদ হোসেন সাউথ আফ্রিকায় চলে যান। চারিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান রিপন হোসেন বলেন, আমজাদ মেম্বারের অনুপস্থিতিতে ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা তাদের কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিষয়টি আমি উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় জানিয়েছি।
অন্যদিকে নির্বাচনের ২-৩ মাস পর জামসা ইউপি সদস্য আরিফুর রহমান পরিচালিত প্রজাপতি সঞ্চয় ও ঋণ দান সমবায় সমিতির মাধ্যমে স্থানীয়দের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। জামশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী কামরুজ্জামান বলেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জনগণের নাগরিক সুুবিধা এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে দ্রুত ওয়ার্ডটি শূন্য ঘোষণা করে উপনির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের কাছে জোরালো আবেদন করছি।
সূত্র জানায়, দুই ইউপি সদস্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমতি না নিয়েই এখন পর্যন্ত ইউপির সব প্রকার সভা ও কার্যক্রমে অনুপস্থিত রয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন সভা ও কার্যক্রমে উপস্থিত হওয়ার জন্য তাদের একাধিকবার তলব করা হলেও তারা উপস্থিত হননি। সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু বলেন, দুই ইউপি সদস্য অনুপস্থিতির বিষয়ে আমি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মহোদয়কে লিখিতভাবে অবগত করেছি।