রাসেলস ভাইপারের কামড়ের পর দ্রুত হাসপাতালে কৃষক এন্টিভেনমে সুস্থ
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি : শিবচরে ভয়ংকর রাসেলস ভাইপারের দংশনের পর দ্রুত হাত বেঁধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে এন্টিভেনম দেয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি পৌঁছেছেন এক কৃষক। বাড়িতে পৌঁছে তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করে গত বৃহস্পতিবার হাটে গিয়ে বেচাকেনা করেন। সুলতান বেপারি নামের এ কৃষকের বেঁচে ফেরায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয়রা জানান, শিবচরের পদ্মার চরাঞ্চল চরজানাজাত ইউনিয়নের উত্তর চর জানাজাত এলাকার কৃষক সুলতান বেপারি (৫২) গত সোমবার দুপুরে নদীতে পাট জাগ দিতে যান। পাট জাগ দেয়ার সময় সুলতান বেপারিকে বিষধর সাপ (রাসেলস ভাইপার) কামড় দেয়। সঙ্গে সঙ্গে অন্য কৃষকরা তার হাতে বাঁধন দেন ও দ্রুত শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তাররা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে নিশ্চিত হন সুলতান বেপারিকে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার কামড় দিয়েছে। এরপর ডাক্তারদের একটি মেডিকেল বোর্ড তাৎক্ষণিকভাবে তাকে এন্টিভেনম দিয়ে চিকিৎসা করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর সুলতান সুস্থ হন। এরপরও চিকিৎসকরা তাকে ২ দিন পর্যবেক্ষণে রাখেন। গত বুধবার বিকালে তাকে রিলিজ দেন চিকিৎসকরা। এরপর তিনি বাড়ি ফিরে যান।
সুলতান বেপারি বলেন, সাপটি দেখেই আমি বুঝি ওটা রাসেলস ভাইপার। এর আগেও আমি অনেক মেরেছি। কৃষকরা আমার হাতে তিনটি বাঁধন দিয়ে দ্রুত শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকক্সে নিয়ে আসেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, সুলতানকে এন্টিভেনম দেয়ার দুই-আড়াই ঘণ্টা পরে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। আমরা দুদিন পর তাকে বাড়িতে পাঠাই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, এটি খুবই ভালো খবর যে ওই কৃষক সাপে কাটার পর সচেতনভাবে হাসপাতালে আসে। আর হাসপাতালের টিম এন্টিভেনম দিয়ে তাকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠিয়েছে। কেউ আতঙ্কিত না হয়ে সাপে কাটলে ওঝা-ফকিরের কাছে না গিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন তিনি।