দৈনিক আয় কয়েক হাজার টাকা
মুন্সীগঞ্জে কদর বেড়েছে মাছকাটুয়াদের
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
তোফাজ্জল হোসেন শিহাব, মুন্সীগঞ্জ থেকে : জেলায় কদর বেড়েছে মাছ কাটুয়াদের। ফলে দিন দিন এ পেশায় ঝুঁকছেন অনেকে। সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মিরকাদিম মাছ বাজারে প্রতিদিন হাজার প্রজাতির দেশি-বিদেশি মাছ উঠে। ক্রেতারা পছন্দ অনুযায়ী মাছ কেনে আবার সেই মাছ কাটাতে ভিড় জমাচ্ছেন মাছ কাটুয়াদের কাছে।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাছ কাটাতে ক্রেতাদেরও দীর্ঘ লাইন। আকারভেদে মাছ কাটার মজুরি ভিন্ন ভিন্ন। রুই মাছ কাটতে ৬০ টাকা, পাঙ্গাশ কাটতে ৩০ টাকা, তেলাপিয়া ৩০ টাকা, বোয়াল ৪০ টাকা, বাঘা-আইড় ৪০ টাকা। দিন দিন তাদের কদর যেন বেড়েই চলছে।
জানা যায়, বিগত কয়েক যুগ আগেও হাটবাজারে মাছ কাটুয়াদের তেমন দেখা যেত না। তবে কয়েক বছর ধরে তাদের সংখ্যা বেড়ে চলছে।
একসময় বাজার থেকে মাছ-মাংস কিনে বাড়িতে নিয়ে গেলে গৃহিণীরা কিংবা ক্ষেত্র বিশেষে পুরুষরা মাছ পরিষ্কার করে রান্নার উপযোগী করতেন।
এছাড়া অনেক সময় প্রতিবেশীরাও সহযোগিতা করতেন। বিয়েসহ যে কোনো অনুষ্ঠান হলে সমাজের সর্দার পাড়ার মুরব্বিদের আদেশ, নির্দেশ ও পরামর্শক্রমে প্রতিবেশীরা মাছ-মাংস কাটার দায়িত্ব নিত। সে দৃশ্য এখন তেমন চোখে পড়ে না।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন অধিকাংশ মাছ ক্রেতারা ধর্না দিচ্ছেন মাছ কাটুয়াদের কাছে। মাছ কাটতে আসা রহমান মোল্লা জানান, ঘরের বউ-ঝিয়েরা এখন কষ্ট করতে চায় না। আর এই বাজারে মাছের সাইজ বড় হওয়ায় বাড়িতে কাটা সম্ভব নয়। তাই এখানেই মাছ কাটুয়াদের কাছ থেকে কেটে নিচ্ছি।
এদিকে মাছ কাটুয়ারা জানান, মাছ কেটে তাদের দৈনিক আয় কয়েক হাজার টাকা। এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাছ-মাংস কাটতে গেলে আয় আরো বেশি হয়। কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়ছে।
বিশেষ করে মাছ ব্যবসা বা অন্য ব্যবসায় যারা পুঁজি খাটাতে অক্ষম তারাই এ পেশায় আগ্রহী হচ্ছেন। মিরকাদিম পৌর এলাকার প্রায় অনেকে এ পেশায় নিজেকে জড়াচ্ছেন।
এ পেশার মাধ্যমে অন্তত ২০-২৫টি পরিবার দারিদ্রমুক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে এ পেশায় আয় সন্তোষজনক বলে জানান মাছ কাটুয়ারা।