কাগজ প্রতিবেদক : ছয় মাস কারাবাসের পর উচ্চ আদালতের জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা সভাপতি খায়রুল কবির খোকন। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান খোকন। মুক্তি পাওয়ার পরে কারাফটকে খোকনকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী, জেলা বিএনপির সদস্য রফিকুল আমিন ভূঁইয়া রুহেলসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। এরপর থেকে ওই কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এর ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ২৫ মে বিকালে নরসিংদী শহরে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের কাছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর হামলায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক ও আশরাফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। পরে দুজনই মারা যান। এ ঘটনায় নিহত সাদেকের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা খায়রুল কবীর খোকন ও তার স্ত্রী বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩৫-৪০ জনকে আসামি করে নরসিংদী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। গত বছরের ৫ জুন হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ মামলায় আগাম জামিন পান খোকন। পরে নরসিংদীর আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখা হয়। এরপর ২৫ অক্টোবর ঢাকায় ভাইয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বছরের মার্চে খায়রুল কবির খোকনকে জামিন দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আবেদন করলেও আপিল বিভাগ গত ৩০ এপ্রিল জামিন বহাল রাখলে খোকনের মুক্তির পথ খোলে।