×

সারাদেশ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর

বিএনপির ভোটে জয়ী হতে চান আ.লীগের দুই নেতা!

Icon

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্ (সুনামগঞ্জ)/রাহাদ হাসান মুন্না (তাহিরপুর) থেকে : হাওর বেষ্টিত ভাটির জনপদ খ্যাত তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী কৌশলে বিএনপি সমর্থকদের ভোট নিয়ে বিজয়ী হওয়ার জন্য নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন। জানা যায়, আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগের তিন হেভিওয়েট প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। তারা হলেন- উপজেলা আ.লীগের সভাপতি হাজী আবুল হোসেন খান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বাদাঘাট ইউয়িন আ. লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব উদ্দিন এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন। তবে স্থানীয়দের মতে, তিনি আ.লীগের কোনো হেভিওয়েট প্রার্থী নন। বোরহান উদ্দিন তিন বছর আগে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করলেও এখন পর্যন্ত দলীয় কোনো পদ-পদবি না পেলেও উপজেলাজুড়ে আ.লীগ নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। এদিকে উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত উল্লেখযোগ্য ভোটার থাকায় হাজি আবুল হোসেন খান ও তাহিরপুর উপজেলা যুবদল সভাপতি থেকে আ.লীগে যোগদান করা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন কৌশলে বিএনপির ভোট নিজেদের পক্ষে নেয়া জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী প্রয়াত হাজী জয়নাল আবেদীনের ছেলে আফতাব উদ্দিন তফসিল ঘোষণার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তার ব্যাপক জনপ্রিয়তাও রয়েছে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের কাছে তিনি খুব জনপ্রিয়। আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত বিএনপি নেতা আবুল হুদা বলেন, বোরহান একসময় বিএনপি সমর্থক ছিলেন, বর্তমানে আ.লীগে যোগদান করলেও তার সঙ্গে এখনো বিএনপির অনেকের যোগাযোগ আছে। ভোটে জেতার জন্য বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের নেতা আনিসুল হক ও কামরুজ্জামান কামরুলের কথা বলছেন বোরহান উদ্দিন। যেখানে যার সমর্থক আছে সেখানে তার কথাই বলছেন তিনি। তবে বিএনপির কেউ তার পক্ষে প্রচারণায় যুক্ত হয়নি, হবেও না। চেয়ারম্যানপ্রার্থী বোরহান উদ্দিন বলেন, আনিসুল হক দেশের বাইরে। তার ভাইয়েরাও এলাকায় নেই। আমি তার সঙ্গে এখনো যোগাযোগই করতে পারিনি। আমি সাধারণ মানুষের ভালোবাসা নিয়ে নির্বাচনের প্রচারণায় নেমেছি। দলমত নির্বিশেষে ভোটাররা আমাকে সহায়তা করছেন। চেয়ারম্যানপ্রার্থী আফতাব উদ্দিন বলেন, আমাকে উপজেলার সাধারণ জনগণ ভোটে দাঁড় করিয়েছে। আমি অন্যকোনো দলের ভোটারদের কাঁধে ভর করে নির্বাচনে বিজয়ী হব- এটা আশা করি না। আমার দলীয় নেতাকর্মী এবং এ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণই আমার বিজয় নিশ্চিত করবে। জেলা বিএনপির এক নেতা নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন- বিএনপির ভোটাররা কেন্দ্রে না গেলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল হোসেন খানের সুবিধা হয়। এজন্য আবুল হোসেন খানের সমর্থকরা বিএনপি নেতা কামরুলের বক্তব্য নিজেদের দায়িত্বে প্রচার করিয়েছেন। উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, আবুল হোসেন খান উপজেলার একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ, নির্বাচন দলীয় প্রতীকে না হওয়ায় তার পক্ষে সব মতের মানুষই আছেন। এ উপজেলায় অন্য প্রার্থীরা হলেন- উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি (বর্তমানে বহিষ্কৃত) আবুল কাশেম ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী মিটু রঞ্জন পাল। উল্লেখ্য, তাহিরপুর উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে। উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭৯ হাজার ২৭৬ জন, নারী ৭৬ হাজার ৯৭৫ এবং হিজরা ভোটার ৩ জন। উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ৫৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App