×

সারাদেশ

পাবনার ঈশ্বরদী

এলাকাবাসীর সচেতনতায় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল ট্রেন

Icon

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : রেললাইন ভাঙা দেখে লাল গামছা ওড়াতে থাকেন স্থানীয়রা। বিষয়টি ট্রেনচালকের নজরে পড়তেই ট্রেন থামিয়ে দেন তিনি। এর ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ঈশ্বরদী-রহনপুরগামী ৫৭ নম্বর আন্তঃনগর কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেন। এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন কয়েকশ ট্রেনযাত্রী। গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় ঈশ্বরদী-রাজশাহী রেলরুটের নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার লোকমানপুর রেলস্টেশনে প্রবেশের আগমুহূর্তে এ ঘটনা ঘটে। ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ ও ডিজেল কারখানার সহকারী লোকোমাস্টার সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, গতকাল সকাল ৭টায় ঈশ্বরদী রেলস্টেশন থেকে ৫৭ নম্বর আন্তঃনগর কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেনটি রহনপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি নাটোরের আবদুলপুর রেলস্টেশন অতিক্রম করে রাজশাহী অভিমুখে যাওয়ার সময় সকাল ৮টার দিকে লোকমানপুর রেলস্টেশনে প্রবেশের আগমুহূর্তেই দেখা যায়, কয়েকজন লোক লাল গামছা ধরে রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক টের পেয়ে লোকোমাস্টার (এলএম) আজিজুর রহমান (ট্রেনের চালককে) ট্রেন থামাতে বলে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ১০ ইঞ্চি রেললাইন ভাঙা। তাৎক্ষণিক বিষয়টি পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের কন্ট্রোল অফিসে অবগত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকৌশলী-২ বীরবল মন্ডল জানান, রেললাইনে প্রায়ই ভাঙা দেখা যায়। তবে রেললাইনের ফিশপ্লেট ভাঙা থাকলে ট্রেনের গতি কমিয়ে ট্রেন চালালে দুর্ঘটনার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। আর ট্রেন যদি ৮০ কিলোমিটার গতিতে পারাপার হতো তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, পাকশী কন্ট্রোল অফিসকে কর্তব্যরত ট্রেনের লোকোমাস্টার (এলএম) চালক সকাল ৮টার দিকে অবগত করেন। পরে ট্রেনের গতি কমিয়ে ১০ কিলোমিটার গতিতে কিছুটা বিলম্বে কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহীর দিকে ছেড়ে যায়। এ রুটে বর্তমানে সব ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার জানান, ৭৩ সাল থেকে আবদুলপুর জংশন-রাজশাহী রেলরুটে রেললাইন স্থাপন করা হয়। এই রুটে ট্রেনগুলোর গতি কমিয়ে চলাচল করানো হচ্ছে। এতে রাজশাহী থেকে চলাচলকারী সব ধরনের ট্রেন নির্ধারিত সময় থেকে বিলম্বে চলাচল করছে। ফলে শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। স্থানীয় কিছু সচেতন মানুষের জন্য প্রায় ছোট-বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে দ্রুত পুরানো রেললাইন সরিয়ে নতুন রেললাইন স্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App