×

মুক্তচিন্তা

করোনা ভাইরাস : স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলা এবং আমাদের শিক্ষা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২০, ১২:২৯ পিএম

করোনা ভাইরাস : স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলা এবং আমাদের শিক্ষা

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম

স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ আমাদের সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উন্নত করবে নিঃসন্দেহে এবং ভবিষ্যতে করোনা-জাতীয় রোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে ভেন্টিলেটর, পিপিই এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের যে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে তা অটুট রাখতে হবে। চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য সেবা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে রিজার্ভ হিসেবে রাখতে হবে।

করোনা ভাইরাস বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অর্থাৎ গত ৭৫ বছরে আর কোনো ঘটনা সম্ভবত সারা বিশ্বকে এমনভাবে নাড়া দেয়নি। গত ৪ মাসে এ রোগটি ২০০-এর বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৩৭ লাখের বেশি লোককে আক্রান্ত করেছে, যার মধ্যে মারা গেছেন প্রায় ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৩৯ জন। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়, গতকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১১,৭১৯ এবং মৃত ১৮৬ জন। এই নিবন্ধে আমাদের বিষয় করোনার স্বাস্থ্যগত দিক কীভাবে করোনার প্রসার বন্ধ ও নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে, সরকার ও জনগণ কি ভ‚মিকা রাখতে পারে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের মহামারি থেকে বাঁচতে কীভাবে প্রস্তুত হতে হবে। শুরুতেই দুটি বিষয় উল্লেখ্য। প্রথমত, যেহেতু করোনা একটি সম্পূর্ণ নতুন ভাইরাস, অভিজ্ঞতা থেকে শেখার উপায় নেই। কাজেই বিশেষজ্ঞের মতামত এবং অন্যান্য দেশের উদাহরণ অনুসরণ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, নতুনত্বের কারণেই করোনার বিষয়ে তথ্য বা পরিসংখ্যান উৎসভেদে মাঝে মাঝে বিভিন্ন হচ্ছে। যেমন করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরুতে শোনা গেল এটা বাতাসে ছড়ায় না, কয়েকদিন পরই তার উল্টোটা বলা হলো। তেমনি একবার শোনা গেল গরমে বা রোদে করোনা বাঁচে না বা ছড়ায় না। এটার পক্ষে যেমন খবর আছে, তেমনি আছে এর বিপক্ষেও। অতি সম্প্রতি আরো শোনা যাচ্ছে করোনা মানুষের শ্বাসযন্ত্র (ফুসফুস) ছাড়াও রক্ত, হৃৎপিণ্ড, এমনকি মস্তিস্ককেও আক্রান্ত করতে পারে। এই নিবন্ধে আমরা চেষ্টা করেছি সবশেষ জানা মতে যে তথ্যটি সত্যি তার ভিত্তিতে আলোচনা বা সুপারিশ করতে। ১। করোনার চিকিৎসা যেহেতু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, এর চিকিৎসা হবে মূলত প্রতিষেধকভিত্তিক, নিরাময়ভিত্তিক নয়। সেজন্য বিশ্বজোড়া গবেষকরা চেষ্টা করছে ভ্যাকসিন (প্রতিষেধক) আবিষ্কার করতে, অ্যান্টি-ভাইরাল নয়। এ মুহূর্তে সারা দুনিয়ায় ১১৫টির মতো ভ্যাকসিন প্রস্তুতির কাজ চলছে। ভ্যাকসিনের জন্য আমাদের ঠিক কতদিন অপেক্ষা করতে হবে তা নিশ্চিত করে বলা শক্ত, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এটা ৬ থেকে ১৮ মাস হতে পারে। ভ্যাকসিন না বের হওয়া পর্যন্ত করোনার চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক হচ্ছে। শুরুর দিকে ডাক্তার-নার্সদের পিপিই অর্থাৎ নিরাপত্তা সরঞ্জামের ঘাটতি হয়েছিল, যা এখন কিছুটা কমলেও পুরোপুরি কমেনি। তবে পিপিই তৈরির কিছু কিছু স্থানীয় উদ্যোগ প্রশংসনীয়। যেমন সরকার কিছু পোশাক উৎপাদনকারী কোম্পানির সঙ্গে সমন্বয় করে ৫ লাখ পিপিই তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। করোনার চিকিৎসা শুরুতে ঢাকাকেন্দ্রিক হলেও এখন তা দেশব্যাপী বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকার বসুন্ধরাতে সরকারি উদ্যোগে করোনার জন্য ২০০০ শয্যার চিকিৎসা কেন্দ্র বানানো হয়েছে। এরকম উদ্যোগ আরো হচ্ছে। ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যসেবাদানকারীর অপর্যাপ্ততা আর একটি চিন্তার বিষয়। তবে অধিকাংশ দেশেই এটি একটি সমস্যা। যুক্তরাষ্ট্রে অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যসেবী ও স্বেচ্ছাকর্মী, এমনকি চিকিৎসা বিজ্ঞানের শেষ বছরের ছাত্রছাত্রীরাও করোনা রোগীদের সেবায় এগিয়ে এসেছে। আমরাও দ্রুত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বেচ্ছাকর্মীদের নিয়োগ দিতে পারি। এক্ষেত্রে আমাদের জনবল একটা বড় সম্পদ। বলাই বাহুল্য, গুণগত সেবা চাইতে গেলে ডাক্তার আর সেবাকর্মীর নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে। শুরুর দিকে সেবাদানকারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে কথা উঠেছিল এবং সম্প্রতি সরকার তাদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা ঘোষণা করেছেন, যা নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ২। রোগ নির্ণয় বা টেস্টিং-টেস্টিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। যেহেতু করোনা ভাইরাস দুই সপ্তাহ পর্যন্ত মানুষের শরীরে উপসর্গ ছাড়াই লুকিয়ে থাকতে পারে এবং অন্যকে সংক্রমিত হতে পারে, শুধু উপসর্গ দেখে আক্রান্তদের শনাক্ত করা যথেষ্ট নয়। আর উপসর্গবিহীন আক্রান্তদের সংখ্যাও কম। টেস্টিং কিটের অপ্রতুলতার জন্য টেস্টিং কিট উৎপাদনের স্থানীয় উদ্যোগগুলোকে সমর্থন দিতে হবে এবং এগুলো দ্রুত সহজলভ্য করতে হবে (উদাহরণ গণস্বাস্থ্যের উদ্যোগ)। সস্তা কিট বানানোর অনেক চেষ্টা চলছে বিভিন্ন দেশে- খেয়াল রাখতে হবে আমরা যেন এগুলো থেকে লাভবান হতে পারি। ৩। জনসচেতনতা এবং জনসহযোগিতা করোনা ভাইরাসের মতো সর্বব্যাপী সমস্যা মোকাবিলার জন্য সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি জনগণকেও সচেষ্ট হতে হবে। সামাজিক দূরত্ব, কোয়ারেন্টাইন, লকডাউনের গুরুত্ব সম্পর্কে সরকার ও এনজিও থেকে শুরু করে সামাজিক, ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মাধ্যমে যথেষ্ট প্রচার হচ্ছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য একটি উদ্যোগ হচ্ছে সরকারের অনলাইন পোর্টাল ‘মুক্তপাঠ’ যেখানে রয়েছে বিনামূল্যে করোনা বিষয়ক ৫টি কোর্স। যদিও অধিকাংশ জনগণই বিধিনিষেধ মেনে চলছে, কেউ কেউ এগুলোকে সম্পূর্ণ গুরুত্ব দিচ্ছে না, বিশেষত, ঢাকার বাইরে। এর থেকে মনে হতে পারে যে জনসচেতনতার প্রচার হয়তো যথেষ্ট হচ্ছে না। কাজেই এ ব্যাপারে আরো প্রচেষ্টার অবকাশ রয়েছে। ৪। সংযোগ অনুসরণ বা কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং-কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং মহামারির বিস্তার রোধের একটি উপায় যা ইদানীং বেশ আলোচিত হচ্ছে করোনা প্রসঙ্গে। কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তি কার থেকে আক্রান্ত হয়েছে এবং আক্রান্ত হওয়ার পর কার কার সংস্পর্শে এসেছে সেটা খুঁজে বের করা হয় এবং সেই অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয় (অর্থাৎ কার কোয়ারেন্টাইন লাগবে, কার চিকিৎসা লাগবে ইত্যাদি)। কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং কিছুদিন আগেও করা হতো মানুষের মাধ্যমে জনে জনে যোগাযোগ করে, তবে ইদানীং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন চীনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে সফলভাবে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করা হয়েছে। অতি সম্প্রতি অ্যাপল এবং গুগল মোবাইল ফোনের অ্যাপ্লিকেশন বের করার ঘোষণা দিয়েছে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করার জন্য। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের একটা বিশেষ সুবিধা রয়েছে। সারা দেশে ১ লাখ ৮৫ হাজার এলাকাভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মী আছে যারা তাদের এলাকায় বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে। এদের ব্যবহার করে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করা যেতে পারে। ৫। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো করোনা মোকাবিলায় আমরা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে করতে পারি আমাদের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তন এনেই। এটা শুরু করতে হবে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি দিয়ে (যেমন লেবু, আমলকী, পেয়ারা, জাম্বুরা ইত্যাদি)। আমাদের কিছু মসলাও এক্ষেত্রে বেশ উপযোগী। যেমন- কালিজিরা, রসুন, আদা এবং হলুদ। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমরা শ্বাস-প্রশ্বাসের কিছু ব্যায়ামও করতে পারি। এ ব্যাপারেও সামাজিক প্রচারণার দরকার এবং প্রচার মাধ্যমগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে পারে। ৬। বিকল্প প্রযুক্তির ব্যবহার একটি কথা আছে যে, প্রয়োজন মানুষকে উদ্ভাবনী করে তোলে। ভেন্টিলেটরের স্বল্পতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যেটা অত্যন্ত দামি একটি যন্ত্র (গুণগত মানের ভেন্টিলেটরের দাম ন্যূনপক্ষে ১৫-২০ হাজার মার্কিন ডলার হতে পারে)। আশার কথা হচ্ছে আমাদের দেশে স্বল্প খরচে ভেন্টিলেটর নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কৃত্রিম ভেন্টিলেটর যা সিএমএইচে দুজন রোগীর ওপর সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। এই ভেন্টিলেটরটি প্রচলিত ভেন্টিলেটরের অবর্তমানে বিকল্প হিসেবে করোনা রোগীর জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়। ৭। দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ সবচেয়ে প্রথমে দরকার আত্মবিশ্লেষণ কি ভুল করেছি আর কি ঠিক করেছি তার খতিয়ান এবং এ থেকে কি শিক্ষা নেয়া যেতে পারে। এসবের সম্পূর্ণ হিসাব এখনি দেয়া সম্ভব নয়, তবে দুটি ভুলের উল্লেখ করা যেতে পারে। প্রথমত, আমাদের কিছুটা দেরি হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যা সময়মতো হলে হয়তো ক্ষতির পরিমাণ কম হতো। করোনার ব্যাপারে সরকারের প্রথম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছিল মার্চের শুরুতে, যদিও ফেব্রুয়ারি মাসেই করোনা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছিল। দ্বিতীয়ত, করোনা আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আগত প্রচুর প্রবাসীর ক্ষেত্রে যথাযথ কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়নি। এসব ভুল থেকে যত শিগগিরই শিক্ষা নেয়া যাবে ততই মঙ্গল। মনে রাখতে হবে করোনার ভ্যাকসিনের জন্য আমাদের দেড় বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে এবং এর মধ্যে করোনার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা করছে অনেক দেশ। আমাদের দেশেও সেরকম হতে পারে। আর করোনা ছাড়াও অন্য রোগও আসতে পারে ভবিষ্যতে, যার উদাহরণ আমরা গত ২০ বছরেই দেখেছি-সার্স, মার্স, এইচ-১ এন-১ ইত্যাদি। জলবায়ু পরিবর্তন এবং বন নিধনের কারণে এ জাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাবের সম্ভাবনা বেড়েই চলেছে। ২০২০-এর করোনার অভিজ্ঞতা আমাদের যেন প্রস্তুত করে তোলে ভবিষ্যৎ করোনার যথার্থ মোকাবিলার জন্য এবং সেটা করতে গিয়ে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে ভুল যেন না করি। স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের খরচ অন্য দেশগুলোর তুলনায় একদম নিচের দিকে ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী, এটা জিডিপি-র ২.৪ শতাংশ, যেখানে প্রতিবেশী ভারতে এটা ৩.৭ শতাংশ এবং নেপালে ৬.৩ শতাংশ (সূত্র, বিশ্বব্যাংক)। সে তুলনায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে এ সংখ্যাটা ৯.৯ শতাংশ। কাজেই স্বাস্থ্য খাতে আমাদের খরচ বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ আমাদের সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উন্নত করবে নিঃসন্দেহে এবং ভবিষ্যতে করোনা-জাতীয় রোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে ভেন্টিলেটর, পিপিই এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের যে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে তা অটুট রাখতে হবে। চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য সেবা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে রিজার্ভ হিসেবে রাখতে হবে। করোনা ভাইরাসের অভিজ্ঞতা আমাদের শিখিয়েছে টেলিমেডিসিন এবং ই-কমার্সের প্রয়োজনীয়তা। টেলিমেডিসিনের এবং ই-কমার্সের মাধ্যমে দূর থেকেই আক্রান্ত রোগীকে চিহ্নিত করা এবং জরুরি ওষুধসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ঘরে পৌঁছে দেয়া যায়। ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অর্ডার এবং ই-পেমেন্ট শুধু চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে বিপ্লব আনবে না, সেই সঙ্গে দেশে ডিজিটালাইজেশনে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং কর্মসংস্থান বাড়াতেও কার্যকরী ভ‚মিকা রাখবে। সর্বশেষে, সরকারের প্যানডেমিক বিষয়ে একটি বিশেষ সেল গঠন করা উচিত, যা পরিচালনা করবে গবেষণামুখী লোকজন। এই সেলটির কাজ হবে গবেষণা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করা। এই নিবন্ধটি আইডিয়ার (ওউঊঅ-ওহহড়াধঃরড়হ ধহফ উবাবষড়ঢ়সবহঃ অংংড়পরধঃবং) একটি সম্মিলিত প্রয়াস। যারা এর সংকলনে অবদান রেখেছেন তারা হলেন কাজী আমিনুল ইসলাম (সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ), মো. আবুল কালাম আজাদ (সাবেক মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) ও সাবেক মুখ্য সচিব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়), মোহাম্মদ শহিদুল হক (সাবেক সিনিয়র সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয়), শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম (প্রফেসর এবং ডিন, বিজনেস স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চেয়ারম্যান, সাধারণ বিমা করপোরেশন) এবং হুসেইন সামাদ (গবেষক, বিশ্ব ব্যাংক)।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম : অধ্যাপক; ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

[email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App