ফুডপান্ডার এক নিউজে সৈয়দা আম্বারীন রেজার তিন প্রতিবাদ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম
ইক্যাবের সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি ও ফুডপান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেডের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দা আম্বারীন রেজা
ভোরের কাগজ অনলাইনে ৩১ আগস্ট ‘ফুডপান্ডাকে বাঁচাতে ই-ক্যাবের পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগ!’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশের পর তিনটি প্রতিবাদ পাঠিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দা আম্বারীন রেজা। তিনটি প্রতিবাদের একটিতে ফুডপান্ডার প্যাডে স্বাক্ষর করেছেন ফুডপান্ডার আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুবায়ের বি এ সিদ্দিকী এবং দুটিতে সাদা কাগজে লিখে স্বাক্ষর করেছেন আম্বারীন রেজা।
এছাড়া সংবাদটি প্রকাশের দিন থেকে আম্বারীন রেজা নিজে, ফুডপান্ডার পাবলিক রিলেশনস এজেন্সি, ফুডপান্ডার হেড অব পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস জাহেদুল ইসলাম, ফুডপান্ডার লিড পাবলিক রিলেশনস আফিফা সুলতানা ভোরের কাগজের প্রতিবেদক ও অফিসের সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের তিনটি প্রতিবাদলিপি একেক সময় অফিসের ই-মেইলে, প্রতিবেদকের ই-মেইলে, হোয়াটসঅ্যাপে, ডাকযোগে এবং হার্ড কপি (১ সেপ্টেম্বর একবার এবং ২ সেপ্টেম্বর আরো একবার) অফিসে এসে দিয়েছেন। নিম্নে তাদের পাঠানো তিনটি প্রতিবাদলিপি হুবহু তুলে ধরা হলো-
প্রথম প্রতিবাদ
বিষয়- 'ফুডপান্ডাকে বাঁচাতে ই-ক্যাবের পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগ!' এই শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ প্রসঙ্গে।
জনাব,
যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক জানাচ্ছি যে, গত ৩০ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আপনার সম্পাদিত ভোরের কাগজ এর অনলাইন সংস্করণে "ফুডপান্ডাকে বাঁচাতে ই-ক্যাবের পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগ!” এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশকে অযাচিত ও অপ্রাসঙ্গিকভাবে টেনে আনা হয়, যার মাধ্যমে একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফুডপ্যান্ডাকে হেয় করা হয়েছে; যা অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং পেশাদার সাংবাদিকতার পরিপন্থী। প্রকাশিত উক্ত সংবাদ প্রসঙ্গে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের প্রতিবাদ ও বক্তব্য নিম্নরূপ-
ভোরের কাগজের অনলাইন সংস্করণের প্রকাশিত সংবাদের শিরোনামে অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিকভাবে ফুডপ্যান্ডার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি সংবাদের ভেতরে দাবি করা হয়েছে "গভীর রাতে অনলাইনভিত্তিক খাবার
ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান ফুডপান্ডাকে বাঁচাতে তড়িঘড়ি করে পদত্যাগ করেছেন ই-ক্যাবের সকল ইসি মেম্বার।" উল্লেখ্য যে, ফুডপ্যান্ডা একটি স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম। এছাড়াও ফুড ডেলিভারি ইন্ডাস্ট্রিতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ডেলিভারি হিরো'র একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। ই-কমার্স খাতের উন্নয়নের স্বার্থে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দা আম্বারীন রেজা এই সংগঠনের সাথে যুক্ত। ইক্যাবের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের সাথে ফুডপ্যান্ডার কোনো ধরণের সম্পর্ক নেই। ফলে ইক্যাবের ইসি থেকে সদস্যদের পদত্যাগের বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনামে অযৌক্তিকভাবে ফুডপ্যান্ডাকে টেনে আনা অনভিপ্রেত এবং সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্বের পরিপন্থী। ইক্যাবের কমিটির কোনো পদ থেকে কারো পদত্যাগের সাথে ফুডপ্যান্ডার কোনো ধরণের সম্পর্ক নেই এবং এ ধরণের মনগড়া ব্যাখ্যা হাজির করা অযৌক্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার দায়িত্বের লঙ্ঘন।
এটি প্রতিষ্ঠিত ও স্বীকৃত যে, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে পাঠকের কাছে গণমাধ্যমের দায় রয়েছে। সত্যতা যাচাই না করে ও প্রমাণ ছাড়া অযৌক্তিকভাবে ভুল তথ্য উপস্থাপন সাংবাদিকতার প্রকৃত চর্চা হতে পারে না। সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্য ছড়ানোর অপচেষ্টা সাংবাদিকতার মতো মহৎ পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ভোরের কাগজের মতো একটি সংবাদমাধ্যমের এমন তথ্যসূত্র ও প্রমাণ ছাড়া ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ আমাদের হতাশ করেছে।
তাই ফুডপ্যান্ডার পক্ষ থেকে এই পত্রে বর্ণিত বক্তব্য আপনার পত্রিকায় প্রকাশ করে পাঠকের কাছে প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থান তুলে ধরার জন্য অনুরোধ করছি। আশা করছি, ফুডপ্যান্ডার বিষয়ে কোন প্রতিবেদন ও তথ্য প্রকাশে আপনার প্রতিষ্ঠান আরও যত্নবান হবে।
ধন্যবাদসহ ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষে
জুবায়ের বি এ সিদ্দিকী
সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক
ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেড
দ্বিতীয় প্রতিবাদ
বিষয়- ফুডপান্ডাকে বাঁচাতে ই-ক্যাবের পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগ!' এই শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে আমার প্রতিবাদ।
জনাব,
যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক জানাচ্ছি যে, গত ৩০ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আপনার সম্পাদিত ভোরের কাগজ এর অনলাইন সংস্করণে "ফুডপান্ডাকে বাঁচাতে ই-ক্যাবের পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগ!” এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে মনগড়া তথ্য দিয়ে আমার সম্মানহানি করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। প্রকাশিত উক্ত সংবাদ প্রসঙ্গে আমার প্রতিবাদ ও বক্তব্য নিম্নরূপ-
গত ২৭ জুলাই ইক্যাব নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত থাকলেও দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় তা স্থগিত হয়। পরবর্তীতে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দাবি উঠলেও হঠাৎ করে নির্বাচনী বোর্ডের সকল সদস্য পদত্যাগ করেন। ফলে পুনরায় খুব শিগগিরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ হয়ে যায়। এমতাবস্থায়, বর্তমান কমিটির সদস্যরা অতিরিক্ত মেয়াদে দায়িত্ব পালনে ইচ্ছুক এমন ধারণা ও ভুল বোঝাবুঝি যাতে সাধারণ সদস্যদের মাঝে সৃষ্টি না হয়, সে লক্ষ্যেই সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। এই পদত্যাগের বিষয়ে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকৃত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। অথচ ভোরের কাগজের অনলাইন সংস্করণের প্রকাশিত প্রতিবেদনে কোনো ধরণের সত্যতা যাচাই ছাড়াই দাবি করা হয়েছে, "সৈয়দা আম্বারীন রেজা অন্য সদস্যদের চাপ দিয়ে পদত্যাগ করতে বাধা করেন। ফলে ছুটির দিনে তাড়াহুড়া করে সবাই হোয়াটসঅ্যাপে পদত্যাগ করেন।" এছাড়াও আমি (সৈয়দা আম্বারীন রেজা) পদত্যাগের পর গা ঢাকা দেয়ার চেষ্টা করেছি বলেও উক্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। প্রমাণ ছাড়া এই ধরণের বক্তব্য ও দাবি প্রকাশ করা সাংবাদিকতার নীতি পরিপন্থী ও মানহানিকর। উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া এই ধরণের সংবাদ প্রকাশ একজন সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে আমার সামাজিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করেছে। আমি কাউকে চাপ দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করিনি বরং প্রকৃতপক্ষে আমি নিজ দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে পদত্যাগ করেছি।
আরও উল্লেখ্য যে, প্রকাশিত উক্ত প্রতিবেদনে অপ্রাসঙ্গিকভাবে আমার পিতা-মাতার রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। আপনি অবগত আছেন যে, ইক্যাব হলো বাংলাদেশের ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের সংগঠন। এ সংগঠনের সাথে আমার পরিবারের রাজনৈতিক পটভূমি টেনে আনা সম্পূর্ণরূপে অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এটি স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত যে, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে পাঠকের কাছে গণমাধ্যমের দায় রয়েছে। সত্যতা যাচাই না করে ও প্রমাণ ছাড়া অযৌক্তিকভাবে ভুল তথ্য উপস্থাপন সাংবাদিকতার প্রকৃত চর্চা হতে পারে না। সংবাদমাধ্যমে
বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্য ছড়ানোর অপচেষ্টা সাংবাদিকতার মতো মহৎ পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ভোরের কাগজে'র মতো একটি সংবাদমাধ্যমের এমন তথ্যসূত্র ও প্রমাণ ছাড়া ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ আমাদের হতাশ করেছে।
তাই আপনার পত্রিকায় এই পত্রে উল্লেখিত বক্তব্য প্রকাশ করে পাঠকের কাছে আমার (সৈয়দা আম্বারীন রেজার) প্রকৃত অবস্থান তুলে ধরার জন্য অনুরোধ করছি। আশা করছি, আমার (সৈয়দা আম্বারীন রেজার) বিষয়ে কোন প্রতিবেদন ও তথ্য প্রকাশে আপনার প্রতিষ্ঠান আরও যত্নবান হবে।
ধন্যবাদসহ
সৈয়দা আম্বারীন রেজা
সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি, ইক্যাব
সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেড
তৃতীয় প্রতিবাদ
বিষয়- ‘ফুডপান্ডাকে বাঁচাতে ই-ক্যাবের পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগ!’ এই শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে মুছে ফেলা মিথ্যা দাবির অংশ (স্ক্রিনশট সংযুক্ত) প্রসঙ্গে আমার নিন্দা।
জনাব,
যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক জানাচ্ছি যে, গত ৩১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আপনার সম্পাদিত ভোরের কাগজ এর অনলাইন সংস্করণে “ফুডপান্ডাকে বাঁচাতে ই-ক্যাবের পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগ!” এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনে প্রমাণ ছাড়া ও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে আমার সম্মানহানি করা হয়েছে। অবশ্য অনলাইন সংস্করণে সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অংশ মুছে ফেলা হয়। তবে মুছে ফেলা অংশটি অনেক পাঠকের নজরে এসেছে যা একজন সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে আমার সামাজিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করেছে। এমনকি অনেকেই মুছে ফেলা অংশের স্ক্রিনশট শেয়ার করে বিভিন্ন ফোরামে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে এভাবে অপপ্রচার চালানোয় আমার সামাজিক মর্যাদা ও ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনের মুছে ফেলা অংশে দাবি করা হয়, “অভিযোগ রয়েছে ই-ক্যাবের মধ্যে বিভিন্ন দলীয়করণ, টেন্ডারবাজী, অডিট ইস্যুসহ নানান অনিয়মের কারণে সংগঠনটি ইমেজ সংকটে পড়ে। এসবের পেছনে কারিগর হিসেবে কাজ করেছেন শমী কায়সার, আব্দুল ওয়াহেদ তমাল ও সৈয়দা আম্বারিন রেজা। সরকারের বিভিন্ন টেন্ডার ই-ক্যাবকে দেখিয়ে তারা কাজ ভাগিয়ে নিত। এছাড়া বিভিন্ন অসঙ্গতিপূর্ণ কাজের কারণে সদস্যদের মধ্যে অনাস্থা তৈরি হয়।” এমন দাবি মিথ্যা ও বানোয়াট। ইক্যাবে আমি দলীয়করণ, টেন্ডারবাজী, অডিট সংক্রান্ত কোনো অনৈতিক কাজ করিনি। কোনো ধরণের প্রমাণ ছাড়া এমন মনগড়া ও মিথ্যা তথ্য প্রকাশিত করে পরবর্তীতে মুছে ফেলায় আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করা হয়েছে এবং আমার মানহানি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, প্রকাশিত প্রতিবেদনে মুছে ফেলা এই অংশ ছাড়া অনলাইন সংস্করণে এখন প্রদর্শিত হওয়া মিথ্যা দাবির প্রতিবাদ জানিয়ে ভিন্ন একটি প্রতিবাদলিপি ১ সেপ্টেম্বর ই-মেইল ও ডাকযোগে পাঠিয়েছি।
এটি স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত যে, সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্য ছড়ানোর অপচেষ্টা সাংবাদিকতার মতো মহৎ পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ভোরের কাগজে’র মতো একটি সংবাদমাধ্যমের এমন তথ্যসূত্র ও প্রমাণ ছাড়া ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ আমাদের হতাশ করেছে।
আশা করছি, আমার (সৈয়দা আম্বারীন রেজার) বিষয়ে কোন প্রতিবেদন ও তথ্য প্রকাশে আপনার প্রতিষ্ঠান আরও যত্নবান হবে।
ধন্যবাদসহ
সৈয়দা আম্বারীন রেজা
সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক
ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেড
প্রতিবেদকের বক্তব্য
ফুডপান্ডাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের আগে আমরা এসব বক্তব্য আগেই প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু ফুডপান্ডার সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দা আম্বারীন রেজার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। অবশ্য অন্য একটি গণমাধ্যমে তিনি তার হঠাৎ পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছিলেন। আমরা ‘একটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে বলেছেন’ উল্লেখ করে তার বক্তব্য প্রকাশ করেছিলাম। এরপর থেকে তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে বেশ কিছু ফোন কল আসে আমাদের কাছে। এর মধ্যে সৈয়দা আম্বারীন রেজা নিজেও কল করে প্রতিবেদকের সঙ্গে ২২ মিনিট কথা বলেন। ফোন কলে তিনি প্রতিবেদককে ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করলে তাকে প্রশ্ন করা হয়- আপনি কি হুমকি দিচ্ছেন? এরপর তিনি সংযত হয়ে কথা বলেন।
ফোন কলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, শুধু আমাদের ফুডপান্ডার নাম কেন লিখেছেন? কেন পদত্যাগ করা অন্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দারাজ, সেবা এক্সওয়াইজেড, পেপারফ্লাই-এর নাম উল্লেখ করেননি? টেন্ডারে কেন মোহাম্মাদ সাহাব উদ্দিন শিপনের নাম লেখা নেই? তিনি নিজে কোনো টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেননি উল্লেখ করে প্রকাশিত সংবাদে টেন্ডার সংক্রান্ত অংশ নিয়ে অনেকক্ষণ কথা বলেন। সংবাদে অন্য প্রতিষ্ঠানের নাম নেই কেন সেটা ব্যাখ্যা করে তখনই বলেছিলাম, যেহেতু তড়িঘড়ি করে শুক্রবার গভীর রাতে আপনারা পদত্যাগ করেছেন এবং আপনি (ফুডপান্ডার আম্বারীন রেজা) নিজে রাত ১টা ২০ মিনিটে সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নিজের ও অন্যান্য পরিচালকদের পদত্যাগের খবর জানিয়েছেন; একইসঙ্গে কথিত আছে আপনার রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ হওয়াতে ফুডপান্ডার ওপর যেন চাপ না আসে এ জন্য অন্যদের পদত্যাগ করতে চাপ দিয়েছেন। এসব কারণেই ফুডপান্ডার নাম সামনে এসেছিল।
ইক্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে টেন্ডার এবং নানান অনিয়মের তথ্যভাণ্ডার ভোরের কাগজের সংগ্রহে রয়েছে। টেন্ডারে ইক্যাবের পরিচালকদের নাম এসেছে বারবার। তবে ৩১ আগস্ট আম্বারীন রেজার ফোন কলে একটি বিষয় পরিষ্কার করে বলেন তিনি কখনই টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেননি। সেই প্রেক্ষিতে তার টেন্ডারে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত তথ্যটি ভোরের কাগজ অনলাইন মুছে দিয়েছিল। তবে আম্বারীন রেজার প্রশ্ন- অন্যদের নাম কেন টেন্ডারে নাই সেটার উত্তর শিগগির পরের প্রতিবেদনে পাওয়া যাবে।
প্রতিবাদে আম্বারীন রেজা লিখেছেন- 'প্রকাশিত উক্ত প্রতিবেদনে অপ্রাসঙ্গিকভাবে আমার পিতা-মাতার রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। আপনি অবগত আছেন যে, ইক্যাব হলো বাংলাদেশের ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের সংগঠন। এ সংগঠনের সাথে আমার পরিবারের রাজনৈতিক পটভূমি টেনে আনা সম্পূর্ণরূপে অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।' আমরা কোনো মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করিনি। ৫ আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে বিভিন্ন সংগঠনের যেসব ব্যক্তিদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে সেসব ব্যক্তি নিজে বা নিজের প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেছেন। এখানে নিউজের মূল বিষয়বস্তু এবং অভিযোগ উঠেছিল আম্বারীনের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েই। তাই এই সত্য তথ্য প্রকাশ করার সঙ্গে 'অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' কিছু থাকতে পারে না। আম্বারীনের পরিবারে রাজনৈতিক পরিচয় সংক্রান্ত কোনো ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করলে সেটাকে 'অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলা যেতে পারতো।