×

তথ্যপ্রযুক্তি

পলকের মন্ত্রণালয়ের সর্বত্রে ‘কিশোর’ সাদাতের সাইবার টিনস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ পিএম

পলকের মন্ত্রণালয়ের সর্বত্রে ‘কিশোর’ সাদাতের সাইবার টিনস

পলকের মঞ্চে গোল চিহ্নিত সাদাত রহমান। ছবি: সংগৃহীত

২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে আয়োজিত সম্মেলনে কিডস রাইটস ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ‘আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার’ লাভ করেন বাংলাদেশের ১৭ বছর বয়সী কিশোর সাদাত রহমান। নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই সাদাত রহমানকে তরুণদের জন্য ‘অনুপ্রেরণা’ হিসেবে আখ্যা দেন। এক অনলাইন বক্তৃতায় মালালা ইউসুফজাই বলেন, সাদাত একজন সত্যিকারের চেইঞ্জমেকার। তিনি সারা বিশ্বের তরুণ-তরুণীদের সাইবার বুলিং বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং আশেপাশের যেসব মানুষ মানসিক নির্যাতন ও আবেগের সমস্যায় ভুগছেন তাদের সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন।


১৭ বছর বয়সী সাদাত রহমান একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেন, যার মাধ্যমে সাইবার বুলিং বা অনলাইনে হুমকি ও হয়রানিমূলক আচরণ সম্পর্কে তরুণদের শেখানো হয়। সাইবার বুলিং-এর শিকার হয়ে বাংলাদেশে ১৫ বছরের এক কিশোরীর আত্মহত্যা ঘটনা জানতে পেরে এই অ্যাপ বানাতে অনুপ্রাণিত হন তিনি। এর প্রেক্ষিতে সম্মানজনক এই পুরষ্কার লাভ করেন। ফলে ২০২০ সালে বাংলাদেশে বহুল আলোচিত ব্যক্তিদের তালিকায় ছিলেন সাদাত রহমান। এরপর ক্রমশ তিনি তৎকালীন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের আস্থাভাজন ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন। পলকের কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সাদাত রহমানের প্রতিষ্ঠান ‘সাইবার টিনস’ মন্ত্রণালয়ের সর্বত্র থেকে সুবিধা আদায় করে নেন। 

তার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের থেকে অফিস বরাদ্দ, আইডিয়া প্রকল্প থেকে আর্থিক অনুদান, এসপায়ার টু ইনোভেটের (এটুআই) মাধ্যমে সরকারি ডোমেইনের ওয়েবসাইট, বিজ্ঞাপনের জন্য অর্থায়ন প্রাপ্তিসহ নিজের বিদেশ (যুক্তরাষ্ট্র) ভ্রমণ এবং বাবার ঢাকায় বদলির মত সুবিধা নিয়েছেন তিনি। গত ১ জুলাই থেকে ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান না করায় সমালোচিত হন সাদাত রহমান। ৫ আগস্ট সরকারের পতন হলে ফেসবুক থেকে জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে থাকা সকল ছবি সরিয়ে দিয়েছেন সাদাত রহমান। 

সাইবার টিনসের ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, ‘সাইবার টিনস’ নামক একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু প্ল্যাটফর্মটি। উদ্দেশ্য হলো ভার্চুয়াল জগতে সাইবার বুলিং এবং অপরাধের শিকার শিশু-কিশোরদের সহায়তা প্রদান এবং প্রয়োজনে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ স্থাপন। একই বছর ‘কিডস-রাইটস’ নামের একটি সংগঠন থেকে নেদারল্যান্ডসে আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার পান সাদাত। মাত্র ১৭ বছর বয়সের এমন অর্জনে পাওয়া খ্যাতিতে সেসময়ের আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং প্রভাবশালী আমলাদের সঙ্গে দ্রুতই সখ্যতা বাড়ে তার। তারই ধারাবাহিকতায় তৎকালীন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী পলকের আশীর্বাদে অন্তত আধা ডজন সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন সাদাত। শুরুটা হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে যশোর হাইটেক পার্কে অফিস স্থান বরাদ্দের মাধ্যমে। পরবর্তীতে বাগিয়ে নেন রাজধানীর কাওরান বাজারের ‘ভিশন-২০২১ টাওয়ার-১’ সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে অফিস স্পেস। অবকাঠামো দুটির স্টার্টআপ ফ্লোরে বিনা ভাড়ায় সেই স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়। অথচ সাইবার টিনসকে ‘অলাভজনক প্রতিষ্ঠান’ দাবি করেন সাদাত।

বরাদ্দ সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা পরিচয় গোপনের শর্তে বলেন, সাইবার টিনসকে স্পেস বরাদ্দ দিতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের জোর সুপারিশ ছিল। তাদের থেকে ভাড়া না নিতে পলকের আদেশে স্টার্টআপ ফ্লোরে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) বাস্তবায়নাধীন ‘আইডিয়া’ প্রকল্প থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ৩ লাখ টাকা অনুদান পায় সাইবার টিনস। এক লিখিত বক্তব্যে আইডিয়া প্রকল্প কার্যালয় থেকে জানানো হয়, সাইবার টিনসের প্ল্যাটফর্ম (cyberteens.gov.bd) ডেভেলপের জন্য এই অর্থ খরচ করেছে সাইবার টিনস। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং সরকারি অর্থে প্ল্যাটফর্মটি ডেভেলপমেন্ট করে আইসিটি বিভাগের আরেক সংস্থা এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)। আইডিয়া প্রকল্পের বর্তমান পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, সেসময় প্রকল্প পরিচালক ছিলাম না। আইডিয়া প্রকল্প থেকে সাধারণত স্টার্টআপদের অনুদান দেওয়া হয় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত। সাইবার টিনস স্টার্টআপ না হলেও ‘সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট’ রাখতে পারে এমন কারণে অনুদান দেওয়া হতে পারে। তবে প্রকল্পের এক কর্মকর্তা বলেন, অদ্যাবধি মাত্র দুইটি প্ল্যাটফর্মকে ‘সামাজিক প্রভাব’ কারণ দেখিয়ে অনুদান দেওয়া হয়েছে। সাইবার টিনস ছাড়া অপরটি হচ্ছে ‘থার্ড জেন্ডার’। সাইবার টিনসকে অনুদান দিতে পলকের মৌখিক নির্দেশনা ছিল।

সরকারি ডোমেইনের ‘ডট গভ ডট বিডি’ ওয়েবসাইটে নিজের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করার মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে সাদাত রহমানের বিরুদ্ধে। ‘cyberteens.gov.bd’ নামের ওয়েবসাইটটিতে কনটেন্ট প্রকাশের নিয়ন্ত্রণ সাদাত রহমান ও তার দলের দখলে। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সব কনটেন্টও সাইবার টিনস তথা সাদাতের। এই ডোমেইন ও ওয়েবসাইট কে বা কার জন্য বানিয়েছে এবং কে ব্যবহার করছে এ নিয়ে রয়েছে ব্যাপক ধোঁয়াশা। যদিও সাইবার টিনস একটি বেসরকারি ফাউন্ডেশন হওয়ায় সরকারি ডোমেইন ব্যবহারের সুযোগ নেই। অনুসন্ধানে জানা যায়, এধরনের ডোমেইন ইস্যু করে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। সাইবার টিনসের ডোমেইন বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর এটি সক্রিয় হয়। এটুআই ডোমেইনটি নিবন্ধন করে দেয়। 

সরকারি প্রতিষ্ঠানের বাইরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এমন ডোমেইন দেওয়া হয় না বলে জানিয়েছেন বিটিসিএলের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা। যখন কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান ডট গভ ডট বিডি ডোমেইন চায়, তখন সেটি ইস্যু করি। সেভাবেই এটুআই থেকে এই ডোমেইন ইস্যু করতে বিটিসিএলকে বলা হয়েছিল। আইসিটি বিভাগের আদেশে ডোমেইনটি ইস্যু করা হয়েছিল বলে জানান এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক মামুনুর রশীদ ভূইয়া। আইসিটি বিভাগের আদেশে শুধু ডট গভ ডট বিডি ডোমেইনটি নেওয়া হয়েছে। কেন কী কারণে ডোমেইনটি নিতে বলা হয়েছিল তা কেউ বলতে পারছেন না। তবে সংস্থাটির উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা পরিচয় গোপনের শর্তে বলেন, চাপ প্রয়োগ করে এটুআইকে দিয়ে ডোমেইন করিয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা আপত্তি তুললেও পলকের চাপে ডোমেইন নিতে বাধ্য হন তিনি।


এছাড়া, সাইবার টিনসের পুরনো ওয়েবসাইট cyberteensfoundation.org সরকারি ডোমেইনের ওয়েবসাইটের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে ‘হোম’ এ ক্লিক করলে ব্যবহারকারী পৌছাবেন সরকারি ওয়েবসাইটে। পাশাপাশি ফেসবুকে সাইবার টিনসের পেজেও ওয়েবসাইট হিসেবে সরকারি ওয়েবসাইটটিতে উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সাইবার টিনসের প্রাতিষ্ঠানিক এবং সাদাত রহমানের ব্যক্তিগত প্রভাব জাহির করতেই সরকারি ওয়েবসাইট নিয়েছেন তিনি।

ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার নামে আইসিটি বিভাগের আরেক সংস্থা থেকে টিভি বিজ্ঞাপন প্রস্তুত বাবদ ৫ লাখ টাকা নিয়েছে সাইবার টিনস। আরো ৩ লাখ টাকা যোগ করে মোট ৮ লাখ টাকায় বিজ্ঞাপন বানিয়েছেন। তবে সেই বিজ্ঞাপন টিভিতে প্রচারের কোন বাজেট বা পূর্ব পরিকল্পনা প্রস্তুত হয়নি। ফলে টাকাগুলো অনর্থক খরচ হয়। পাশাপাশি টিভিতে প্রচারের উদ্দেশ্য নিয়ে বানানো সেই বিজ্ঞাপন পড়ে রয়েছে শুধু সাইবার টিনসের ওয়েবসাইটে।

জুনাইদ আহমেদ পলকের থেকে ব্যক্তিগতভাবেও সুবিধা পেয়েছেন সাদাত। ২০২২ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে আইসিটি বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ‘গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট’ এ পলকের সফরসঙ্গী ছিলেন সাদাত। কোন সরকারি পদে না থেকেও রাষ্ট্রীয় অর্থে বিদেশ যান সাদাত। যে উদ্দেশ্যে তাকে নেওয়া হয় সেই উদ্দেশ্যও পরবর্তীতে আর বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে একরকম জলেই যায় দেশের টাকা।

এছাড়া পলকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্রে সরকারি চাকরিজীবী বাবা সাখাওয়াত হোসেনকে ঢাকায় বদলি করান সাদাত। তিনি তখন কুষ্টিয়ার ডাকঘরের প্রধান ছিলেন।

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে সাদাত রহমানের ভূমিকা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। শিশু কিশোরদের নিয়ে কাজ করলেও, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় নীরব ছিলেন সাদাত। তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ১৪ মের পর থেকে প্রকাশ করা সব পোস্ট সরিয়েছেন। অভ্যুত্থানের পর গত ৮ আগস্ট এক ভিডিও বার্তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ফেরেন সাদাত। সেখানে দাবি করেন, সাইবার টিনস প্ল্যাটফর্ম বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় সরাসরি ও প্রকাশ্যে ছাত্রদের পক্ষে কোন অবস্থান নেননি তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেছেন, আন্দোলনের সময় সাদাত ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে পোস্ট করেছিলেন বলেই সেগুলো সরিয়ে ফেলেছেন। 

এসব অভিযোগের বিষয়ে সাদাত রহমানকে প্রশ্ন করলে তিনি ভোরের কাগজের কাছে লিখিত দীর্ঘ জবাব দিয়েছেন। যশোরে এবং ঢাকাতে হাইটেক পার্কে দুটি অফিস বরাদ্দ পাওয়া সম্পর্কে সাদাত রহমান বলেছেন, আমি আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর পর আইসিটি বিভাগ থেকেই আমকে প্রস্তাব দেওয়া হয় সহযোগিতা করার। আমরা অফিস বরাদ্দ চেয়েছিলাম। তখন তারাই আমাদের স্টার্টআপ ফ্লোরে জায়গা দিয়েছে। কারণ অন্য সবার বিজনেস মডেল রয়েছে; আমাদের সেটা নেই। আর যশোরে আমরা একটু বেশি জায়গা বরাদ্দ পেয়েছিলাম। কারণ সেখানে ১/২ জন ছাড়া যশোর স্টার্টআপ ফ্লোর পড়ে থাকে। কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ফ্লোর পরে থাকার চেয়ে আমরা এক কোনায় অফিস বরাদ্দ নিয়েছি এবং আমাদের ছেলে-মেয়েরা কেউ আড্ডা দেবার জন্য নয়; বরং অন্য কিশোর-কিশোরীদের সহযোগিতা করার জন্য অফিস করে। 

সরকারের ডটগভ ডোমেইন (cyberteens.gov.bd) কি আপনি ব্যবহার করতে পারেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাইবার টিনস .gov bd মূলত কিশোর কিশোরীদের সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ কমিটির ওয়েবসাইট। সাইবার টিনস নাম এই কারণেই যে কিশোর কিশোরীদের মাঝে আমাদের একটি জনপ্রিয়তা রয়েছে এবং এটি শুধুমাত্র টিনএজারদের জন্যই। তবে এই ওয়েব সাইটের নিয়ন্ত্রণ সরকারের কাছে। আমরা শুধু কনটেন্ট প্রদান করি। এমন কি এটা ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট আমরাই করেছি। আর সাইবার টিনস সরকারের একটি প্রকল্প হবার জন্য আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তা না হলে আমরা পেরে উঠছিলাম না। আমরা ১০ মিনিট স্কুলের মত নয় যে সরকারে সহযোগিতায় শুরু করে বেসরকারি কোম্পানি হতে পারবো। কারণ আমাদের আয়ের তেমন কোন সুযোগ নেই বরং ব্যয় বেশি। যদি লক্ষ্য করেন, স্কাউট আন্দোলন একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা, যেটির ওয়েব সাইট www.scout.org কিন্তু বাংলাদেশে এটি নিয়ন্ত্রণ করে সরকার। সে জন্য বাংলাদেশে তাদের ওয়েবসাইট ঠিকানা- www.scouts.gov.bd   

যুক্তরাষ্ট্রে পলকের সফর সঙ্গী হওয়া প্রসঙ্গে সাদাত রহমান বলেন, আসলে যুক্তরাষ্ট্রে গোল্ডেন জুবলি বাংলাদেশ কনসার্টের আয়োজন করে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। আমাদের যেহেতু হাইটেক পার্ক অফিস দিয়েছে এবং আমি যেহেতু আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার পেয়েছি সেহেতু আমাকে এক কনসার্টের শুভেচ্ছাদূত হবার প্রস্তাব দেওয়া হয়। আমাকে মূলত আমেরিকাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জাতিসংঘের সদরদপ্তরে ইউএনডিপির প্রধান কার্যালয়ে মিটিংয়ের জন্য।  
ওয়েবসাইট ডেভেলপ করার জন্য ৩ লাখ টাকা নিলেও সেটা ডেভেলপ করেছে এটুআই। পরে কি সেই ৩ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছিলেন? উত্তরে বলেন, আসলে আইডিয়া প্রকল্প হতে আমরা টাকা নিয়েছিলাম সাইবার টিনস অ্যাপ, ওয়েবসাইট এবং টিনস টক নামে একটি প্রোগ্রাম করার জন্য। সাইবার টিনস .gov bd এটি অনেক পরে হয়েছে। 

ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার থেকে টিভি বিজ্ঞাপন প্রস্তুত বাবদ প্রথমে ৫ লাখ টাকা এবং পরে আরো ৩ লাখ টাকাসহ মোট ৮ লাখ টাকা নিয়েছিলেন সাইবার টিনস। অথচ সেই বিজ্ঞাপন শুধুই তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ হওয়া ছাড়া আর কোথাও হয়নি। এ ব্যাপারে সাদাত রহমান বলেন, ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার ৫ লাখ টাকা দিয়েছিল। বাকি ৩ লাখ টাকা আমাদের ফান্ড থেকে দিয়ে টিভিসি তৈরি করেছি। তবে সেটা প্রকাশ ওইভাবে করতে পারিনি। কারণ আমরা প্রচার করতে চাইনি। শুধুমাত্র আমরা প্রোগ্রামে যেতাম এবং সেখানে প্রচার করতাম। বেশি প্রচার করলে অভিযোগ আসলে সমাধান করার মত ক্যাপাসিটি আমাদের নেই। সে জন্য আমরা সাইবার টিনসকে একটি সরকারি এজেন্সি বানানোর চেষ্টা করছি।  

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

কোহলির ছক্কায় ভাঙল চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের দেয়াল

কোহলির ছক্কায় ভাঙল চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের দেয়াল

আয়নাঘর সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ, প্রয়োজনে যে কাউকে তলব, প্রজ্ঞাপন জারি

আয়নাঘর সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ, প্রয়োজনে যে কাউকে তলব, প্রজ্ঞাপন জারি

ভারত সিরিজে যেসব রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে টাইগাররা

ভারত সিরিজে যেসব রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে টাইগাররা

বাংলাদেশ সিরিজে বিশ্রামে থাকছেন ভারতের যেসব তারকা

বাংলাদেশ সিরিজে বিশ্রামে থাকছেন ভারতের যেসব তারকা

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App