আইফোন ব্যবহারকারীরা যে ৭ ধরনের সুবিধা পাবেন
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
আইফোন ব্যবহারকারীরা যে ৭ ধরনের সুবিধা পাবেন। ছবি: সংগৃহীত
অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনের মধ্যে সেরার বিচারে অনেক তর্ক বিতর্ক রয়েছে। প্রযুক্তিবিদ থেকে আম জনতা সবাই বিভিন্নসময় তুলনা করেন আইফোন ও অ্যানড্রয়েডের সঙ্গে। উভয় অপারেটিং সিস্টেমেই আলাদা কিছু সুবিধা থাকলেও ব্যতিক্রমী কিছু সুবিধা পাওয়া যায় আইফোনে। চলুন সেগুলোই যেনে নেয়া যাক।
১. অ্যাপল ইকোসিস্টেম
অ্যাপল ইকোসিস্টেমের জন্যই আইফোন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এই ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে ব্যবহারকারী খুব সহজেই তার আইফোনকে অন্যান্য অ্যাপল প্রডাক্টের সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন। ম্যাকবুক, আইপ্যাড, অ্যাপল ওয়াচ, অ্যাপল টিভিতে আইফোন যুক্ত করে অনেক কাজ সহজেই করা যায়। এসব যন্ত্রে আইফোন যুক্ত করে এয়ারড্রপ, হ্যান্ডঅফ, কন্টিনিউটি ও ইউনিভার্সেল ক্লিপবোর্ডের মতো সুবিধা ব্যবহার করা যায়। ফলে খুব সহজেই যে কোন তথ্য বিনিময় করা যায়। অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টফোন অন্যান্য যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত করা গেলেও তাদের এ রকম পূর্ণাঙ্গ কোন ইকোসিস্টেম নেই।
২. ফেসটাইম ও আইমেসেজ
শুধু অ্যাপলেই ফেসটাইম ও আইমেসেজ ব্যবহার করা যায়। উন্নতমানের ভিডিও কলের জন্য ফেসটাইম এবং বার্তা আদান-প্রদানের জন্য আইমেসেজ এখন খুবই জনপ্রিয়। এ দুটি অ্যাপে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন, অ্যানিমোজি, মিমোজিসহ অন্যান্য কিছু বাড়তি সুবিধা রয়েছে।
৩. নিয়মিত সফটওয়্যার হালনাগাদ
আইফোন নির্বাচনের অন্যতম আরেকটি কারণ হলো এর নিয়মিত সফটওয়্যারের আপডেট। নতুন আইফোন বা আইপ্যাড বাজারে আসার পর অন্তত ৫-৬ বছর আইওএসের হালনাগাদ পাওয়া যায়। তবে অ্যান্ড্রয়েডে নিয়মিত হালনাগাদ পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে স্মার্টফোনের ব্র্যান্ডের ওপর।
৪. সিরি
সিরি হলো আইফোনের ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিট্যান্ট। সিরিতে কথা বলে ব্যবহারকারী অ্যাপ চালুসহ বিভিন্ন কাজ করতে পারেন খুন সহজেই। ফলে অনেক কাজ সহজেই করা যায়।
৫. তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা
প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টরা মনে করেন অ্যাপল ফোনে অ্যানন্ড্রয়েডের চেয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে উন্নত। অ্যাপলে বিভিন্ন সমস্যা, বিশেষ করে ম্যালওয়্যারের আক্রমণের ক্ষেত্রে দ্রুত সমাধান পাওয়া যায়। অন্যদিকে ব্যবহারকারীর তথ্যের নিরাপত্তায় অ্যাপল সবসময় সচেষ্ট থাকে। আবার অ্যান্ড্রয়েড মুক্ত সোর্স কোডভিত্তিক সফটওয়্যার হলেও অ্যাপলেও আইওএস অপারেটিং সিস্টেম তাদের নিজস্ব। অ্যাপলের আইমেসেজ, ফেসটাইম এবং আইক্লাউডে তথ্যের আদান-প্রদান তুলনামূলকভাবে অ্যান্ড্রয়েডের চেয়ে বেশি নিরাপদ।
৬. ফ্যামিলি শেয়ারিং ও স্ক্রিন টাইম
ফ্যামিলি শেয়ারিং সুবিধা ব্যবহার করে পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে সাবস্ক্রিপশন ও ক্লাউড স্টোরেজ ভাগাভাগি করা যায়। এ ছাড়া স্ক্রিন টাইম ফিচারের মাধ্যমে অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে ফোন ব্যবহারের সময় নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন।
৭. আইক্লাউড ও ফাইন্ড মাই ডিভাইস
আইফোন ব্যবহারকারীরা আইক্লাউডে প্রয়োজনীয় তথ্যের ব্যাকআপ রাখতে পারেন খুব সহজেই। তা ছাড়া অ্যাপলের ফাইন্ড মাই অ্যাপ ব্যবহার করে হারিয়ে যাওয়া অ্যাপল ডিভাইসের অবস্থান চিহ্নিত করা যায় সহজেই। ফোন অফলাইনে থাকলেও এ সুবিধাটি ব্যবহার করা যায়।
তথ্য সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস ডটকম
আরো পড়ুন: গুগল ক্লাউড পার্টনার অ্যাডভান্টেজে যোগ দিল রেডিংটন