×

তথ্যপ্রযুক্তি

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০৩১ পর্যন্ত কর অব্যাহতির দাবি

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৭ পিএম

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০৩১ পর্যন্ত কর অব্যাহতির দাবি

ছবি: সংগৃহীত

সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। স্থানীয় সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবার প্রসার এবং সম্ভাবনাময় এ খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধি সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি। সরকারকে কর অব্যাহতির মেয়াদ ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়াতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কারওয়ানবাজার বেসিস মিলনায়তনে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠনগুলোর ব্যবসায়ী নেতাদের এক সম্মিলিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকারের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় আনতে হবে। বর্তমানে চলমান তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হয়ে যাবে। যার ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি কোনো বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন না। এ ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি থমকে যেতে পারে এবং দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক ব্যয় অনেকাংশে বেড়ে গিয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়তে পারে।

সামগ্রিকভাবে সরকারঘোষিত অগ্রাধিকার খাত ও শিল্প হিসেবে বিবেচিত এই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় তরুণ উদ্যোক্তা ও পেশাজীবীদের এবং বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে এ অব্যাহতির সময়সীমা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে যদি করের আওতায় আনা হয়, সেটা মোট রাজস্ব আয়ের ১ শতাংশও হবে না। তথ্যপ্রযুক্তি খাত সবে মাত্র দাঁড়াতে শুরু করেছে, সামনে আমাদের দৌড়ানোর সময়। এ সময়ে শুধু সরকারের এই অল্প আয়ের জন্য একটা সম্ভাবনাময় খাতকে হুমকির মুখে ফেলা ঠিক হবে না। যেহেতু সরকার দেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে চায়, তাই এই খাতে কর অব্যাহতি বজায় রাখা আগের চেয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ।’

কমপক্ষে ২০৩১ সাল পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ওপর কর অব্যাহতির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারকে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার ও সম্ভাবনাময় এ খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে কর অব্যাহতির দাবি অতি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। এই খাতে কর অব্যাহতি মানে শুধু এটা না যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠানের ওর এই কর অব্যাহতি, এটা আসলে সমগ্র দেশের উন্নয়নে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর অব্যাহতির সুবিধা ২০৩১ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখা উচিত। বাংলাদেশের স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সুদূরপ্রসারী চিন্তা করে বিনিয়োগ করে, সে ক্ষেত্রে কর অব্যাহতির ফলে কেবল এই শিল্প দাঁড়াতে শুরু করেছে। তাই এই কর অব্যাহতির সুবিধা বলবৎ রাখার কোনো বিকল্প নেই।

এর আগে গত ১০ মার্চ বেসিসসহ পাঁচটি তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনের নেতারা সরকারকে কর অব্যাহতির মেয়াদ ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। শীর্ষ আইটি বাণিজ্য সংগঠনগুলো অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে কর অব্যাহতি প্রত্যাহার করা হলে খাতের প্রবৃদ্ধি, বিনিযোগ এবং রফতানি হ্রাস পেতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্কো) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) সভাপতি মো.  ইমদাদুল হক, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App