সিলিকন ভ্যালিতে চীনাদের ঠেকাতে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০১৮, ০২:৫১ পিএম
প্রযুক্তির আঁতুড়ঘর সিলিকন ভ্যালিতে নতুন শংকা তৈরি হয়েছে। তথ্য চুরি ঠেকাতে চীনের বিনিয়োগে কড়াকড়ি আরোপের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এ নিয়ে ভয় ঢুকেছে উদ্যোক্তাদের মাথায়। এর পেছনেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের খেয়ালি সিদ্ধান্ত। শুল্ক নিয়ে বাণিজ্য যুদ্ধের পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন তথ্য চুরির ভয় থেকে চীনের ওপর খড়গহস্ত হয়েছে। প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগের ওপর নিরাপত্তা আইনের খড়গ নিয়ে হাজির বিতর্কের রাজা ট্রাম্প।
তার প্রশাসন ‘ফরেন ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক রিভিউ মডার্নাইজেশন অ্যাক্ট অব ২০১৮’ বা ফিরমা নামে নতুন বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
এটি পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগের ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। আশংকা করা হচ্ছে, এ আইন সরকারকে প্রযুক্তি খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগকে যাচাই বাছাই করার মাত্রাতিরিক্ত ক্ষমতা প্রদান করবে। ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে, চীন তথ্য চুরির অভিনব উপায় হিসেবে আমেরিকান প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করছে, অনেক ক্ষেত্রে কিনেও নিচ্ছে। সিলিকন ভ্যালির উপর এ নীতিমালার কেমন প্রভাব পড়বে তা এখনই বলা যাচ্ছে না বলে মনে করেন ন্যাশনাল ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল কাউন্সিল জেফ ফারাহ।
তিনি মনে করেন, এ নীতিমালার প্রভাব বহুমুখী হবে এবং এটি বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ভয়ের বিষয় হয়েও দাঁড়াতে পারে। কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিসের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন বিনিয়োগ আবেদনের জন্য আগাম তিন লাখ ডলার জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে অনেক ধরনের অঙ্গীকারের ‘ঘোষণা’ও করতে হবে।
গত এক দশকে বছরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি বাজারে তিন হাজার ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে চীন। ট্রাম্প প্রশাসনের ধারণা এ বিনিয়োগ নিছক ব্যবসায়িক চুক্তি নয়। বরং এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি, এমনকি নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে চীন। তাদের আশংকা, ২০১৫ সালে চীন ঘোষিত ‘মেড ইন চায়না ২০২৫’-এর লক্ষ্যপূরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এসব বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এ রূপকল্পের মাধ্যমে দেশটি ২০২৫ সালের মধ্যে প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দিতে চায়।
বিশ্লেষকদের মতে, চীনের এ অগ্রযাত্রাকে অসফল করতেই এমন সিদ্ধান্ত ট্রাম্প প্রশাসনের। হ ডটনেট ডেস্ক