×

তথ্যপ্রযুক্তি

তিনি একজন ট্যাক্স লেডি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০১৮, ০৩:১৭ পিএম

তিনি একজন ট্যাক্স লেডি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে তিনি ‘ট্যাক্স লেডি’। ট্যাক্স সিস্টেম বোঝেন না বলে একবার তার বিরুদ্ধে চিৎকার করে উঠেছিলেন প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক। সম্প্রতি রেকর্ড পরিমাণ জরিমানা করায় তার বিরুদ্ধে নেমেছে প্রযুক্তি কোম্পানি গুগলও। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কম্পিটিশন কমিশনার মারগ্রেথ ভেস্টাগারের কথা বলা হচ্ছে। বিভিন্ন কারণে সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর কাছে একজন ভয়ঙ্কর নারী তিনি। তার কারণে গুগল, অ্যাপল, ফেসবুক ও মাইক্রোসফটের মতো প্রযুক্তি জায়ান্টগুলোকে বিভিন্ন সময় ইইউর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। গুনতে হয়েছে বড় অংকের জরিমানা। মারগ্রেথ ভেস্টাগার সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য নিয়ে আয়োজন-
>> ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, মারগ্রেথ ভেস্টাগার যুক্তরাষ্ট্রকে ঘৃণা করেন, যে কারণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক তদন্ত শুরু করেছেন। অবশ্য ইউরোপের পাশাপাশি গোটা বিশ্বেই সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর আধিপত্য। ব্যবসা জোরদারে এসব প্রতিষ্ঠান অন্যায্য কোনো সুবিধা নিয়ে প্রতিদ্ব›দ্বীদের জন্য বাধার সৃষ্টি করছে কিনা, তা নিয়ে তদন্ত করছে ইইউর কম্পিটিশন কমিশন। সম্প্রতি এমন একটি মামলার রায়ে গুগলকে ৫০৬ কোটি ডলার জরিমানা করেছে ইইউর সংশ্লিষ্ট কমিশন। >> আয়ারল্যান্ডের কর ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে কয়েকশ কোটি ইউরো পরিশোধ করেনি অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে টানা তিন বছর তদন্ত শেষে একটি মামলার রায়ে এ অর্থ জরিমানা হিসেবে একযোগে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে ইইউর কম্পিটিশন কমিশন। বিবৃতিতে মারগ্রেথ ভেস্টাগার বলেছেন, তিনি অ্যাপল পণ্যের একজন বিশ্বস্ত গ্রাহক। তবে অর্পিত দায়িত্বের কারণে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায় লেনদেনের মতো বিষয়ে তাকে তদন্ত করতে হয়। >> মারগ্রেথ ভেস্টাগারের জন্ম ডেনমার্কের গ্রামীণ অঞ্চলে। তিনি অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থা থেকে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯৮ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে তিনি ডেনমার্কের মন্ত্রী হয়েছিলেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। >> ইইউর কম্পিটিশন কমিশন বরাবরই প্রযুক্তি জায়ান্টদের ব্যবসানীতি নিয়ে তদন্ত করে আসছে। গুগল ও অ্যাপলের পাশাপাশি ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন ও সামাজিক সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুকের নানা কার্যক্রম নিয়ে তদন্ত করছে সংস্থাটি। ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সেবা হোয়াটসঅ্যাপ অধিগ্রহণে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিল কিনা এবং কোয়ালকম স্বার্থ হাসিলে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কমে চিপ বিক্রি করছে কিনা, এমন বিষয়গুলো তদন্ত করছে ইইউর  কম্পিটিশন কমিশন। >> ২০১৬ সালে অ্যাপলকে বকেয়া কর বাবদ আয়ারল্যান্ডকে ১ হাজার ৪৩০ কোটি ডলার পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কম্পিটিশন কমিশন। সে সময় মারগ্রেথ ভেস্টাগার জোর দিয়ে বলেছিলেন, আয়ারল্যান্ডে যে কর সুবিধা অ্যাপল নিয়েছে, তা অবৈধ। তবে আয়ারল্যান্ডে বকেয়া কর বাবদ ইইউর রায়ের আগে ভেস্টাগারের সঙ্গে বৈঠক করেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক। বৈঠকে ট্যাক্স বিষয়ে ভেস্টাগারকে যথাসম্ভব বোঝানোর চেষ্টা করেন কুক। তবে ইইউর কম্পিটিশন কমিশনের চ‚ড়ান্ত রায়ের পর টিম কুক বিষয়টিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ সিদ্ধান্ত বলে আখ্যায়িত করেন। >> মারগ্রেথ ভেস্টাগার নিজ হাতে রান্না করা খাবার তার দলের সদস্যদের খাওয়াতে পছন্দ করেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি একবার বিমানবন্দরে তার টিমসহ ক্যামেরাবন্দি হয়েছিলেন। সে সময় তাকে নিজ হাতে রান্না করা দারচিনি রোলস দলের সদস্যদের খাওয়াতে দেখা যায়। >> সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও ইইউর কম্পিটিশন কমিশনার মারগ্রেথ ভেস্টাগারকে একাধিকবার বিদ্রƒপ করেছিলেন। ২০১৫ সালে বারাক ওবামা মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, গুগল ও ফেসবুকের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে তদন্ত, তার পেছনে মূল ইন্ধনদাতা মারগ্রেথ ভেস্টাগার ও তার নিজস্ব মতাদর্শ। ওবামা বলতে চেয়েছিলেন, গুগল ও ফেসবুকের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো অপ্রতিদ্বদ্ন্বী। বাজার প্রতিযোগিতায় এসব প্রতিষ্ঠানকে পেছনে ফেলার মতো প্রতিদ্ব›দ্বী নেই। কাজেই অন্যান্য অভিযোগ এনে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে চান ইইউর কম্পিটিশন কমিশনার। >> ডেনমার্কের রাজনীতিবিদদের মধ্যে অন্যতম মারগ্রেথ ভেস্টাগার, যিনি প্রথম টুইটার ব্যবহার শুরু করেছিলেন। সাইটটির সক্রিয় ব্যবহারকারী তিনি। ড্যানিশরা তাকে ‘দ্য কুইন অব টুইটার’ নামে ডাকেন। সূত্র: ইন্টারনেট হ ডটনেট ডেস্ক

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App