×

তথ্যপ্রযুক্তি

কুকুরের মস্তিষ্ক অদ্ভুতভাবে বড় হচ্ছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৩, ০৪:৫৫ পিএম

কুকুরের মস্তিষ্ক অদ্ভুতভাবে বড় হচ্ছে

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, প্রাচীন জাতের তুলনায় আধুনিক কুকুরের মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। মানুষের সাথে প্রাণীটির মিথস্ক্রিয়ার কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইভল্যুশন জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণায় আধুনিক ও প্রাচীন উভয় কুকুরের মস্তিষ্কের আকার পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, কুকুরের মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। কুকুর নেকড়ে বা এ জাতীয় প্রাণী থেকে বিবর্তিত হয়ে এসেছে বলে মনে করা হয়। তাই গবেষকেরা নেকড়ের মস্তিষ্কের সঙ্গে কুকুরের মস্তিষ্কের তুলনাও করেছেন।

ইএলটিই ইনস্টিটিউট অব বায়োলজি-এর ইথোলজি বিভাগের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো এনিকো কুবিনি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, প্রাচীন কুকুরের জাত থেকে আধুনিক কুকুর পর্যন্ত বংশবৃদ্ধির সময়ে ধীরে ধীরে প্রাণীটির মস্তিষ্ক বড় হচ্ছে।

এই গবেষক বলেন, আমরা কুকুরের প্রজাতির ধরন কিংবা বংশবৃদ্ধির ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করে এটাকে ব্যাখ্যা করতে পারি না। আমরা কেবল কারণগুলো সম্পর্কে অনুমান করতে পারি। অর্থাৎ মস্তিষ্ক বড় হওয়া নিয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এখনো গবেষকদের কাছে নেই। কিছু অনুমানের ভিত্তিতে এই পরিবর্তনকে ব্যাখ্যা করেছেন তারা।

গবেষণায় হাঙ্গেরি ও সুইডেনের একদল বিজ্ঞানী সিটি স্ক্যান করা ১৫৯ জাতের ৮৫০টি কুকুরের মস্তিষ্ক এবং সেগুলোর আকার পরীক্ষা করেছেন। এরপর সেগুলোকে ৪৮ প্রজাতির নেকড়ের মস্তিষ্কের তথ্যের সঙ্গে তুলনা করে দেখেছেন। গবেষকেরা দেখতে পান, নেকড়ের সমান ওজনের একটি কুকুরের মস্তিষ্ক সেই নেকড়ের মস্তিষ্কের তিন-চতুর্থাংশ। এটি এখন পর্যন্ত অতীতের এক গবেষণার তথ্যের সত্যতা দেয়।

ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, গৃহপালিত হলে প্রাণীর মস্তিষ্কের আকার ২০ শতাংশ কমে। কারণ প্রাণীদের আর নিজের খাবারের জন্য শিকার করা বা শিকারের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার প্রয়োজন হয় না। বন্য প্রাণীদের মতো ততটা বিপদের মুখোমুখি হতে হয় না। কিন্তু কুকুরের ক্ষেত্রে বরং উল্টো হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে গৃহপালিত হলেও নেকড়ে থেকে বিবর্তনের পর থেকে যত সময় গড়াচ্ছে আর যত প্রজনন হচ্ছে, ততই বড় হচ্ছে কুকুরের মস্তিষ্ক।

গবেষক এনিকো কুবিনি বলেন, জটিল সামাজিক পরিবেশ, নগরায়ন এবং আরও নিয়মের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে বাধ্য হওয়া এই পরিবর্তনের কারণ হতে পারে। সমস্ত আধুনিক জাতকেই বিষয়গুলো প্রভাবিত করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। গবেষণায় বলা হয়েছে, মাথার খুলির আকৃতি, দীর্ঘায়ু কিংবা কুকুর ছানার আকারের সাথে আপেক্ষিক মস্তিষ্কের আকারের কোন সম্পর্ক নেই। গবেষকেরা বিশ্বাস করেন, প্রাচীন কুকুর স্বাধীন ছিল মর্মে পাওয়া তথ্যকে আরও জোরদার করেছে তাদের অনুসন্ধানের ফলাফল।

স্টকহোম ইউনিভার্সিটির নিকলাস কোলম বলেন, বিভিন্ন কুকুর পৃথক সামাজিক জটিলতার মধ্যে বাস করে এবং জটিল কাজগুলো সম্পাদন করে, যার জন্য সম্ভবত একটি বড় মস্তিষ্কের ক্ষমতা প্রয়োজন। অতএব, আমাদের ধারণা, কুকুরের প্রজাতির মধ্যে মস্তিষ্কের ওপর চাপ পরিবর্তিত হতে পারে। নেকড়ে থেকে তাদের বিবর্তনের সময়কাল কিংবা কাজ সম্পাদনের ভিন্নতার মধ্যে মস্তিষ্কের আকারের পার্থক্য থাকতে পারে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App