রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট
শেষ দিনে রোমাঞ্চের অপেক্ষায় বাংলাদেশ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৪ পিএম
ছবি: এএফপি
রাওয়ালপিন্ডিতে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ১৪৩ রান। অন্যদিকে পঞ্চম ও শেষ দিনে পাকিস্তানের দরকার ১০ উইকেট। তবে শেষদিনে এই রান তোলা মোটেই সহজ হবে না। সেই সঙ্গে বৃষ্টির শঙ্কাও থাকছে। এতে দিনের ওভারের সংখ্যা কমতে বা বাড়তেও পারে। সবমিলিয়ে শেষদিনে রোমাঞ্চের অপেক্ষায় রাওয়ালপিন্ডি।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেটে না হারিয়ে ৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪২ রান। ২৩ বলে ৩১ রানে অপরাজিত জাকির। অন্যপ্রান্তে ১৯ বলে ৯ রানে অপরাজিত সাদমান। জয়ের জন্য বাংলাদেশের আরও ১৪৩ রান দরকার ।
পিন্ডিতে ১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। আক্রমণাত্মক মেজাজেই খেলেন ওপেনার জাকির হাসান। এতে প্রথম ৬ ওভারে ৩৭ রান তুলে চা বিরতিতে যায় টাইগাররা।
তবে চা বিরতি শেষে এক ওভারের পরই খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এ সময়ে স্টেডিয়ামের সবকটি ফ্লাডলাইট জ্বালানো হয়। কিন্তু ম্যাচ–উপযোগী আলো নেই বলে খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। এরই মধ্যে পিচ ঢেকে দেন মাঠকর্মীরা।
কিছুক্ষণ পরই বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। তখনো প্রায় দেড় ঘণ্টা খেলা বাকি ছিল। তবে ভারী বৃষ্টিতে আউট ফিল্ডে পানি জমে। সবকিছু বিবেচনায় দিনের খেলা এখানেই শেষ করেন আম্পায়াররা।
এর আগে, ৬ রানে অপরাজিত থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেন সাইম আইয়ুব। অন্যপ্রান্তে তার সঙ্গে যোগ দেন শান মাসুদ। তবে তাদের জুটি বেশি দূর এগোয়নি। দলীয় ৪৫ রানে সাইমকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। ৩৫ বলে ২০ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে তাদের ৩৮ রানের জুটি।
এরপর দ্য গ্রিন ম্যান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন নাহিদ রানা। ৩৪ বলে ২৮ রানে শান মাসুদ এবং ১৮ বলে ১১ রান করা বাবর আজমকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান এই পেসার।
জোড়া উইকেট হারানোর পর বেশ চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। সেই চাপ সামাল দেওয়ার আগেই ফের আঘাত হানেন নাহিদ। দলীয় ৮১ রানে ১০ বলে ২ রান করা শাকিলকে সাজঘরে ফেরান এই পেসার।
এরপর সালমান আলি আঘাকে দলীয় বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালান মোহাম্মদ রিজওয়ান। মধ্যাহ্নভোজের পরও পাকিস্তানকে টেনে নিচ্ছিলেন রিজওয়ান। এতে টাইগারদের ওপর দ্য গ্রিন ম্যানদের লিডও ভারী হচ্ছিল। তবে বাংলাদেশের পথের কাঁটাকে প্যাভিলিয়নে ফেরান হাসান। ফিফটির দ্বারপ্রান্তে থাকা (৭৩ বলে ৪৩) উইকেটকিপার এই ব্যাটারকে লিটনের ক্যাচে পরিণত করেন।
পরের বলে রানের খাতা খোলার আগেই মোহাম্মদ আলিকে শান্তর তালুবন্দী করেন টাইগার এই পেসার। সাকিবের পর ফের আক্রমণে এসেও হ্যাটট্রিক পাননি ডানহাতি এই পেসার।
এরপর আবরারকে সাজঘরে ফেরান নাহিদ রানা। প্রথম স্লিপে নাজমুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২ বলে ২ রান করে ফেরেন আবরার।
শেষদিকে মীর হামজাকে (১০ বলে ৪) মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার তুলে নেন হাসান। হাসানের পঞ্চম উইকেটেই দ্য গ্রিন ম্যানদের দ্বিতীয় ইনিংস থেমেছে। ৪৬ দশমিক ৪ ওভারে ১৭২ রান তুলে স্বাগতিক দল।
এর আগে, প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ২৭৪ রানের জবাবে ২৬২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। লাল-সবুজের হয়ে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি করেন লিটন। এ ছাড়া দ্য গ্রিন ম্যানদের হয়ে ৬ উইকেট নেন খুররম শেহজাদ।