ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশের ৯টি জেলার বিস্তীর্ণ জনপদ। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ও পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। বানভাসি মানুষের বাঁচার আকুতিও প্রবল হয়ে ওঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বন্যায় আক্রান্তদের বিভিন্ন মর্মান্তিক চিত্র ফুটে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের হৃদয় স্বাভাবিকভাবেই কাঁদছে। বন্যার্ত মানুষদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়, নুরুল হাসান সোহান ও শরিফুল ইসলামরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তাও দিয়েছেন ক্রিকেটাররা।

নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বন্যার্তদের জন্য সহায়তা চেয়ে কুরআনের একটি আয়াত শেয়ার করেন শরিফুল। তার ভাষ্য, ‘রাব্বানাকশিফ আন্নাল আযা-বা ইন্না-মু'মিনূন।’ ‘হে আমাদের রব, আমাদের থেকে আযাব দূর করুন; নিশ্চয় আমরা মুমিন হব।’ [সূরা আদ-দুখানঃ১২] হে আল্লাহ, বন্যা কবলিত মানুষের প্রতি সহায় হোন,আমিন।

তাওহীদ হৃদয়ও পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। টপঅর্ডার এই ব্যাটারের মন্তব্য, ‘কি লিখব? কি লেখা উচিত? নিজেকে অসহায় মনে হয়, যখন সরাসরি দেশের কোনো দুর্যোগে পাশে থাকতে পারি না। বন্ধুদের পাঠিয়েছি, ওরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে, তবে আমার কষ্ট লাগছে, যতটুকুই করা হবে; তা কি যথেষ্ট?? তবুও করতে হবে, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু এখন না, পানি নেমে যাওয়ার পর পর্যন্ত বন্যার্তদের পাশে থাকতে হবে। নৌকা, ওষুধ, বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার যে যেভাবে পারেন।’

তিনি আরও লেখেন, ‘ব্যাপার না। আমরা জন্ম থেকেই সংগ্রাম করতে জানি, এবারও করবো। আল্লাহ এ যাত্রায়ও আমাদের রক্ষা করবেন ইনশা-আল্লাহ। দুর্যোগ ঘটে গেছে, এখন পুরো বাংলাদেশ মিলে তা মোকাবিলা করার সময়। বসে থাকার সুযোগ নেই, সবাই নিজের সাধ্যমতো এগিয়ে আসি।’

এদিকে বন্যাকবলিত মানুষদের পরিস্থিতি দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন নুরুল হাসান সোহান। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার লেখেন, ‘এই ছবি দেখার পর নিজেরে সম্পূর্ণ অসহায় লাগতেছে। আল্লাহ দয়া করে তাদের এই পরিস্থিতিতে সাহায্য করুন।’

অন্যদিকে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা পেসার রুবেল হোসেনের প্রশ্ন, ‘এত পানি কোথা থেকে এলো, কেনই বা গভীর রাতে সব গেট খুলে দিলো। এই অসহায় গরীব দেশ কি এই প্রশ্নের উত্তর কোনদিনই জানবে না?’