ম্যানচেস্টার সিটিকে প্রিমিয়ার লিগের টানা ?চতুর্থ শিরোপা জেতাতে গত মৌসুমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ইংলিশ তারকা ফরোয়ার্ড ফিল ফোডেন। আর নতুন মৌসুম শুরু হতেই তার পুরস্কারও হাতে পেয়েছেন এই তারকা। পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন প্রফেশনাল ফুটবলার অ্যাসোসিয়েশনের (পিএফএ) ২০২৪ সালের বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন তিনি। এ নিয়ে চলতি বছরই দুটি বড় পুরস্কার জিতলেন ম্যানচেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ড।

এর আগে ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের বর্ষসেরাও হয়েছিল তিনি। এদিকে মেয়েদের মধ্যে এই স্বীকৃতি অর্জন করেছেন সিটিরই ফরোয়ার্ড খাদিজা শ।

সেরার লড়াইয়ে ফোডেন পেছনে ফেলেছেন সতীর্থ হালান্ড ও রদ্রি, চেলসির কোল পালমার, আর্সেনালের মার্টিন ওডেগোর ও অ্যাস্টন ভিলার অলি ওয়াটকিন্সকে। এই নিয়ে গত পাঁচ মৌসুমের মধ্যে চারবারই পিএফএ সেরা হলেন সিটির ফুটবলার। তিন মাস আগে এফডব্লিউর বর্ষসেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন এই ইংলিশ তারকা। বর্ষসেরার স্বীকৃতি পেয়ে গর্বিত ফোডেন বলেছেন, ‘এই অ্যাওয়ার্ড জেতাটা আসলেই বিশেষ কিছু। যার জন্য গর্ববোধ তো হচ্ছেই, কৃতজ্ঞও। পেশাদার সতীর্থদের দ্বারা এভাবে স্বীকৃতি পাওয়া মানে অনেক কিছু। যারা আমার জন্য ভোট দিয়েছেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।’

গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৩ ম্যাচে ২৭ গোল করেছিলেন তিনি। বক্সের বাইরে থেকে আচমকা শটে গোল করার ক্ষেত্রে তিনি হয়ে উঠেছিলেন প্রতিপক্ষের আতঙ্ক। প্রিমিয়ার লিগ জেতা ছাড়াও গত মৌসুমে উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছিল সিটি। সব টুর্নামেন্টেই উজ্জ্বল ছিলেন ফোডেন।

২০২১ ও ২০২২ সালে পিএফএ ইয়াং প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার হয়েছিলেন ফোডেন। সেখান থেকে দ্রুতই জিতে নিলেন মূল পুরস্কার। গত ৫ বছরে ম্যানসিটির চতুর্থ তারকা হিসেবে এই পুরস্কার পেলেন ফোডেন। এর আগে পিএফএ এর পুরস্কার জিতেছিলেন তার সতীর্থ কেভিন ডি ব্রুইনা এবং তারকা ফরোয়ার্ড আর্লিং হালান্ড।

এদিকে নারী ক্যাটাগরিতে পিএফএর পুরস্কার জেতা তারকাও ম্যানসিটির, ফরোয়ার্ড খাদিজা শ। সবশেষ মৌসুমের সর্বোচ্চ ২১ গোল করেছিলেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী লরেন জেমস এবং এলিজাবেথ টারল্যান্ড করেছেন ১৩টি করে গোল।

এদিকে পিএফএ এর বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন চেলসির তারকা ২২ বছর বয়সি কোল পালমার। গত বছরের আগস্টে এসে স্টামফোর্ডব্রিজে নিজের প্রথম মৌসুমে ২৭টি গোলের সঙ্গে ১৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন এই ইংলিশ তারকা।