ব্রেকিং |
বিশেষ পানীয় খাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন তাসকিন
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১১:০৯ পিএম
গেল টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বাজে পারফরম্যান্সের আলোচনা-সমালোচনা এখন সর্বত্র। কিন্তু এই আলোচনা ছাপিয়ে,সহ অধিনায়ক তাসকিনের ঘুমকাণ্ড-বিতর্ক এখন আলোচনার তুঙ্গে। এনিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর বিশেষ পানীয় খেয়ে বমি করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রয়েছে তাসকিনের বিরুদ্ধে। ঘুমকাণ্ড নিয়ে সকল প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন এই ফাস্ট বোলার নিজেই।
বিশ্বকাপে সুপার এইটে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে একাদশে ছিলেন না তাসকিন আহমেদ। ওই দিন ম্যাচের আগে টিম বাস মিস করেন এই ডানহাতি পেসার। তিনি তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। নির্ধারিত সময়ে টিম বাস ধরতে না পারায় ও আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে বাস ধরে স্টেডিয়ামে পৌঁছানোর নির্দেশনা থাকায় তাকে ছাড়াই ভেন্যুতে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল।
পরে দলের সঙ্গে যোগ দেন তাসকিন। ঘুম থেকে উঠতে না পারার জন্য টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচিং স্টাফ ও সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চান।
এদিকে, তার দেরি করার বিষয়টি সত্য বলে জানিয়েছে বিসিবি। ঠিক একইভাবে তার পক্ষে সাফায় গেয়েছেন বিসিবি। অবশ্য তাসকিন ক্ষমা চেয়েছেন জানিয়ে, এটা নিয়ে ইস্যু বানানোর কিছু নেই বলে উল্লেখ করেছে বিসিবি।
দেশের একটি গণমাধ্যমে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাসকিন নেপালের বিপক্ষে বিশেষ পানীয় খেয়ে বমি করেছেন। এমন অপপ্রচারে ক্ষুদ্ধ এই বোলার সেদিনের এই ঘটনার বিষয় পরিষ্কার করেন। এ ব্যাপারে বলেন, নেপালের ম্যাচের পরের দিন,বাসে উঠার পর রাস্তা বেশি খারাপ থাকার কারণে আমার কিছুটা খারাপ লাগে। তারপর আমি বাস থেকে নেমে বমি করি।এরপর ডাক্তারকে ব্যাপারটা জানানোর পর ডাক্তার ওষুধ দিলে আমি কিছুটা ভালো অনুভব করি।
এদিকে দেশের এই স্পিডমাস্টারকে নিয়ে কথা বলেছেন, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও। তিনি বলেছেন ‘তাসকিন সম্ভবত মাঠে পৌঁছেছিল টস হওয়ার ৫-১০ মিনিট আগে। ওই সময়ে তাকে দলে নেওয়া টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য কঠিনই ছিল।
এদিকে, গত ৩ জুলাই তাসকিন নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন,যেখানে নিজের ঘুমকাণ্ডের ব্যখ্যা ও সংবাদমাধ্যমের অপপ্রচার নিয়ে কথা বলেছেন।
সবশেষে তাসকিন জানান, আমি আশা করি মিডিয়া এবং ক্রীড়া সাংবাদিকরা মিথ্যা গল্প লেখার আগে আরও সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং একটি বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন না। ভবিষ্যতে, আমি আইনি ভাবে এই ধরনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো যাতে কেউ ক্রীড়াবিদ বা মানুষ হিসাবে আমার সুনাম বা অখণ্ডতা ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা না করে।