কাঁদলেন রোনালদো, দিলেন অবসরের ইঙ্গিত
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০২:০৫ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য সমতার পর অতিরিক্ত সময়ের গড়ায় খেলা। স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে ইনজুরি টাইমের ১০৫তম মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল পর্তুগাল। পেনাল্টি নেওয়ার জন্য আসেন দলের সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাককে ফাঁকি দিতে পারেননি সিআর সেভেন।
স্পটকিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়ে দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে শিশুর মতো কেঁদেছেন পর্তুগিজ এই মহাতারকা। এ সময়ে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন সতীর্থ-কোচিং স্টাফরা। তবে কিছুতেই আল-নাসর তারকার কান্না থামছিল না। এরপর টাইব্রেকারে লক্ষ্যভেদ করে ভুলের দায় মোচন করেন রোনালদো। দলের হয়ে প্রথম শট নেন পাঁচবারের ব্যালন ডি'অরজয়ী এই ফুটবলার। গোল করার পর দুই হাত জোড় করে দর্শকদের কাছে ক্ষমাও চান তিনি।
আগামী ৬ জুলাই ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স। সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণে জমজমাট এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা। তবে হাইভোল্টেজ এই ম্যাচের আগে বড়সড় এক ঘোষণাই দিয়ে রাখলেন রোনালদো।
ম্যাচ শেষে রোনালদোর ভাষ্য, ‘এটা অবশ্যই আমার শেষ ইউরো। তবে সেই জন্য আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছি না। যেভাবে সকলে আমাদের সমর্থন করছেন, সেটা দেখে আমি আপ্লুত। ভক্তদের বলতে চাই, আমি অত্যন্ত দুঃখিত। এই জার্সিতে আমি সবসময় নিজের সেরাটা দিয়েছি। সারা জীবন সেটাই করে যাব।’
এদিকে ম্যাচের পর সিআর সেভেনের পাশে দাঁড়ান পর্তুগিজ কোচ রবের্তো মার্তিনেস। রোনালদোকে দিয়েই টাইব্রেকারের প্রথম শট নেওয়াতে দ্বিধাবোধ করেননি তিনি।
এই কোচের ভাষ্য, ‘সে আমাদের জন্য উদাহরণ। এই আবেগের প্রকাশগুলোও অসাধারণ। তার এসব (চারপাশের আলোচনা) পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই এবং সে যেমন আছে, সেজন্যই তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই, যেভাবে দলের পাশে থাকে সে…। আমি সবসময়ই নিশ্চিত ছিলাম, টাইব্রেকারে প্রথম শটটি তাকেই নিতে হবে এবং আমাদেরকে জয়ের পথ দেখাতে হবে…।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের অধিনায়ককে নিয়ে আমরা সবাই গর্বিত। সে যা করছে, গোটা ড্রেসিং রুমই তা নিয়ে উচ্ছ্বসিত। আমার মতে, আমাদের সবাইকে দারুণ এক শিক্ষাও সে দিয়েছে যে, প্রতিটি দিনকেই প্রাণবন্ত করে তুলতে হবে জীবনের শেষ দিনের মতো।’