জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক টি টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসের শুরুটা ভালোই করেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট করেছে টাইগাররা।

এ ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচে অভিষেক হতে চলেছে তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের।

চট্টগ্রামের পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে টসে জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরুটা করেছিলেন শেখ মাহেদী হাসান। দ্বিতীয় ওভারেই জিম্বাবুয়ে ইনিংসের আঘাত হানেন তিনি। এরপর শুরু হয় উইকেট পতনের মিছিল। ১ উইকেটে ৩৬ রান তুলে ফেলা জিম্মাবুয়ে পরে মাত্র ৫ রান যোগ করতেই হারায় আরও ৬ উইকেট।

আগে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মাহেদী নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সরাসরি বোল্ড করে ফেরান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে (০)। এরপর শরিফুল ইসলাম এক ওভারে তিন বাউন্ডারি সহ হজম করেন ১৩ রান। কিন্তু তাসকিন আহমেদ এসে রানের চাকায় লাগাম টানেন। যার ফল তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

প্রথমবার বল হাতে নিয়ে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন সাইফউদ্দিন। ওভারের শেষ বলে তিনি জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বিকে (১৪) বিদায় করেন। উইকেট পতনের মিছিল এরপর চলতেই থাকে। ষষ্ঠ ওভারে ফের বল হাতে নেন মাহেদী। এবার প্রথম বলেই রান আউটের শিকার হন একপ্রান্ত আগলে রাখা ব্রায়ান বেনেট (১৬)।

পরের বলে এসেই ডাক মারেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। মাহেদীর লেন্থ বলে প্যাডেল সুইপ খেলতে গিয়ে ফার্স্ট স্লিপে থাকা লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাজা। ১ উইকেটে ৩৬ রান করা জিম্বাবুয়ে আর কোনো রান যোগ করার আগেই হারায় আরও ৩ উইকেট।

এখানেই শেষ নয়। তাসকিন পরের ওভারে তুলে নেন জোড়া উইকেট। ওভারের প্রথম দুই বলেই তিনি বিদায় করেন শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে। দুজনেই বিদায় নিয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর অষ্টম ওভারে লুক জঙওয়ে (২) বিদায় নেন সাইফউদ্দিনের বলে। দলীয় ৪১ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে।

এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে সম্মাজনক পুঁজি পায় সফরকারীরা। কিন্তু টাইগার বোলারদের দাপটে ১২২ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন মাদান্দে।