রবিবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বাই ও চেন্নাইয়ের মধ্যে লড়াইয়ে ২০ রানে জিতেছে মোস্তাফিজের চেন্নাই। আগে ব্যাট করতে নেমে ২০৬ রান করা চেন্নাই পাথিরানার বোলিং তোপে মুম্বাইকে আটকে দেয় ১৮৬ রানে।

রতুরাজ গায়কোয়াড়, শিভম দুবের ঝড়ো ফিফটির পর শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিং করেছেন মাহেন্দ্র সিং ধোনিও। চেন্নাই সুপার কিংসের দুইশো ছাড়ানো পুঁজি তবু শঙ্কায় ফেলে দিয়েছিলো রোহিত শর্মাদের। তবে বাকিদের থামিয়ে দুর্দান্ত বোলিংয়ে চেন্নাইর নায়ক শ্রীলঙ্কান পেসার মাথিশা পাথিরানা। এই ম্যাচে হতাশ করেছেন বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান। ১ উইকেট নিলেও এদিন খরুচে ছিলেন তিনি।

রবিবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দুই জায়ান্ট দলের লড়াইয়ে ২০ রানে জিতেছে মোস্তাফিজের চেন্নাই। আগে ব্যাট করতে নেমে ২০৬ রান করা চেন্নাই পাথিরানার তোপে মুম্বাইকে আটকে রাখে ১৮৬ রানে। চেন্নাইকে জিতিয়ে ২৮ রানে ৪ উইকেট নেয় পাথিরানা। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে করে ৫৫ রান। মুম্বাইয়ের হয়ে ৬৩ বলে ১০৫ রানে অপরাজিত থেকে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন রোহিত।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মোস্তাফিজের বলে বাউন্ডারি হাকান রোহিত। ওই ওভারে ৮ রান দেয়ায় বিরতি নিয়ে মোস্তাফিজকে আক্রমণে আনা হয় পঞ্চম ওভারে। এবারে তার করা প্রথম দুই বলে আবারো ছক্কা হাকান রোহিত। শেষ বলে চার মাড়েন ইশান কিশান। 

 তবে ইনিংসের ৮ম ওভারে মাতিশা পাথিরানা এসে খেলায় ফেরায় চেন্নাইকে। ঈশানের পর আউট করেন সূর্যকুমার যাদবকেও। সূর্যকুমারের মারা আপার কাট থার্ড ম্যানে দারুণ দক্ষতায় মুঠোয় জমান মোস্তাফিজ।

মোস্তাফিজ আবার যখন বল করতে আসেন তখন ২৪ বলে চেন্নাই সুপার কিংসের জিততে দরকার ৭২ রান। এরমধ্যে পাথিরানা বিপদজনক তিলক বর্মার উইকেটও নিয়ে নেন। প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়া বাস্তবতায় মোস্তাফিজের প্রথম বলে ছক্কায় হাকান টিম ডেভিড। পরের বল হয় ওয়াইড, বৈধ দ্বিতীয় বলে আবার ছক্কা মারেন ডেভিড। তৃতীয় বলে আরেক ছক্কার চেষ্টায় বাউন্ডারি লাইনে তিনি ধরা পরেন।

পরের ৩ বলে আরো ৬ রান দেন বাংলাদেশের এ কাটার মাস্টার। তার করা তৃতীয় ওভার থেকে ১৯ সংগ্রহ করে মুম্বাই। নিজের শেষ ওভারে এক ছক্কায় আরো ১৩ দেন তিনি। ৪ ওভারের স্পেলে তার বেলিং ফিগার দাঁড়ায় ৪-০-৫৫-১!

মোস্তাফিজ এমন খরুচে দিনে পাথিরানা ছিলেন অনন্য। স্লিঙ্গি অ্যাকশন দিয়ে একের পর এক ইয়র্কারে ব্যাটারদের ভুগিয়েছেন তিনি।

এর আগে টস জিতে চেন্নাইকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে ভালো শুরু পায় মুম্বাই। দ্বিতীয় ওভারে জেরল্ড কোয়ের্তজি তুলে নেন আজিঙ্কা রাহানেকে। তবে অধিনায়ক রতুরাজ রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে পেয়ে যান ৫২ রানের জুটি। রাচিন ২১ করে ফিরলেও টেনে নেন রতুরাজ। শিভম দুবেকে পেয়ে আনেন ৯০ রানের আরেক জুটি। ৪০ বলে ৬৯ করে রতুরাজ ফিরলেও দুবে আবার তুলেন ঝড়। মাত্র ৩৮ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

তবে চেন্নাইর রান দুইশো ছাড়ানোর নায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি। হার্দিক পান্ডিয়ার করা শেষ ওভারে ক্রিজে এসে মাত্র ৫ বলে ৩ ছক্কায় ২০ যোগ করেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত তার ইনিংস হয়েছে ভাইটাল। কারণ চেন্নাই জয় পেয়েছে মাত্র ২০ রানে।