×

খেলা

এবার ‘ডিপফেক’ ভিডিওর শিকার শচীন টেন্ডুলকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:০৪ পিএম

এবার ‘ডিপফেক’ ভিডিওর শিকার শচীন টেন্ডুলকার

ছবি: ইন্টারনেট

তারকা খেলোয়াড়দের ‘খ্যাতির বিড়ম্বনা’ নতুন কোনো ঘটনা নয়। নকল প্রযুক্তির ফাঁদে পড়ে যান তারকা খেলোয়াড় ও তাদের পরিবার। তেমনই প্রযুক্তির ফাঁদে পড়েছেন ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার।

বেশিরভাগ মানুষ ভিডিওটি দেখলে টেরই পাবেন না যে এটি আসলে শচীন টেন্ডুলকারের নয়। কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারের চেহারা ও কণ্ঠ হুবহু নকল করে প্রযুক্তির সাহায্যে একটি জুয়ার বিজ্ঞাপনী অ্যাপে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে তিনি এই অ্যাপ চালাতে উৎসাহও করছেন। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বিজ্ঞাপনে দেখা যায় শচীন বলছেন, 'এই অ্যাপে আমার মেয়ে খেলে। এখানে খেলে প্রতিদিন ১ লাখ ৮০ হাজার রুপি আয় করা যায়। আমি তো অবাক হয়ে যাই এখন কত সহজে আয় করা যায়।'

ভারতজুড়ে ভাইরাল হওয়া বিজ্ঞাপনটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন টেন্ডুলকার।  

শচীন মূলত ডিপফেকের শিকার হয়েছেন। এক বেটিং অ্যাপে ভারতীয় কিংবদন্তির নকল কণ্ঠ বসিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সেই বেটিং অ্যাপে কোনো কথাই বলেননি শচীন। 

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে বিজ্ঞাপন দেখার পর নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেই ভিডিওতে শচীন প্রযুক্তির যথেচ্ছ অপব্যবহারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

অপব্যবহার বন্ধ করতে সেই ভিডিওতে ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি বলেন, ‘এই ভিডিওগুলো মিথ্যা। প্রযুক্তির অপব্যবহার দেখে খুবই বিরক্ত। এমন ভিডিও, অ্যাডভার্টাইজ, অ্যাপগুলোকে গণহারে রিপোর্ট করার অনুরোধ করছি। সামাজিকমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোকে আরো বেশি সতর্ক হতে হবে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ঠিকভাবে নিতে হবে। উল্টোপাল্টা তথ্য ও ডিপফেকের ঘটনা বন্ধ করতে সচেষ্ট হতে হবে।’

উল্লেখ্য, প্রযুক্তির সাহায্যে সূক্ষ্মভাবে কোনো ব্যক্তির শরীর বা নকল কণ্ঠ বসিয়ে তৈরি করা ছবি বা ভিডিওকে ডিপফেক কনটেন্ট বলা হয়। এটি ভুয়া কনটেন্টেরই একটি রূপ, তবে মাত্রাগতভাবে অনেকটাই বাস্তবের মতো, সহজে আসল–নকল পার্থক্য করা কঠিন।

এর আগে, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় ডিপফেকের শিকার হয়েছিলেন শচীনের মেয়ে সারা টেন্ডুলকার। ভারতীয় ব্যাটার শুবমান গিলের সঙ্গে তার এক ছবি ভাইরাল হয়। তবে মূল ছবিতে তার সঙ্গে ছিলেন ছোট ভাই অর্জুন টেন্ডুলকার। প্রযুক্তির সহায়তায় এই ডিপফেকটি করেছিলেন কেউ একজন। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App