×

খেলা

যেভাবে বদলে গেলেন তামিম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ মে ২০২০, ১১:২৮ এএম

যেভাবে বদলে গেলেন তামিম

তামিম ইকবাল

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে যে কজন খেলোয়াড় জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন তার মধ্যে অন্যতম পরিচিত মুখ হলো তামিম ইকবাল। তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে পরিচিত ড্যাসিং ওপেনার হিসেবে। বোলারদের চোখ রাঙানি দিয়ে তেড়ে ফুড়ে এসে ব্যাটিং করার জন্যই ড্যাসিং ওপেনারের তকমা পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যতজন ওপেনার খেলেছেন তার মধ্যে সবচেয়ে সফল ওপেনারও তামিম ইকবাল। আর বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে তিনি একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭ হাজার রান পূর্ণ করেছেন। তবে এত এত সাফল্য পাওয়ার পরও ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের মাঝের বেশ কয়েক দিন খুব বেশি ভালো খেলতে পারেননি তিনি। এমনকি ভুগছিলেন রান খরায়। আর ক্যারিয়ারের শুরুতে এমন রান খরা কাটিয়ে আবার নিজের পুরোনো রূপে ফিরতে পেরেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় পুরোপুরি বদলেও গিয়েছিলেন তিনি। আর এক ফেসবুক লাইভ আড্ডায় তামিম জানিয়েছেন তাকে বদলে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন কোচ জেমি সিডন্স। গত শুক্রবার তামিম ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন জাতীয় দলের দুই পেসার রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদকে নিয়ে। এই লাইভ আলোচনার এক ফাঁকে রুবেল বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের কাছে জানতে চেয়েছিলেন তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট কোনটি? রুবেলের প্রশ্নটি ছিল এমন, ‘তামিম ভাই আপনার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট কোনটা? থাকে না, এমন ম্যাচ যেখানে আপনি খুব ভালো খেলার পর মনে হয়েছে, এ ম্যাচের পর মানুষ আপনাকে তামিম ইকবাল হিসেবে চিনেছে। মানে আপনি একজন ম্যাচ উইনার, বিগ হিটার। আপনার কাছে এমন ম্যাচ কোনটা?’ এ প্রশ্নের জবাবে তামিম বলেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরুতে ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারত ম্যাচের পর থেকে আমাকে মানুষ চেনা শুরু করেছিল। আমার ক্যারিয়ারের শুরুতে প্রথম ম্যাচগুলোর দিকে এই জিনিসটা হয়ে গেছে। ২০০৭ বিশ্বকাপে ওই ভারতের বিপক্ষের ম্যাচের সময় এই জিনিসটা হয়ে গিয়েছিল। আমার স্টার্টিংটাই এরকম ছিল।’ তবে তামিম নিজের ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে এটিকে মনে করতে চান না। বরং জানালেন এরপরও দীর্ঘদিন তার ব্যাটে ছিল রান খরা। এ ব্যাপারে তামিম বলেন, ‘ওই ম্যাচের পর বড় সময় ধরে আমি বলার মতো রান পাইনি, ভালো খেলিনি। হ্যাঁ, দলে জায়গা পাকা করার জন্য যতটা প্রয়োজন ততটা করেছি। তবে ওই রকম কোনো বড় পারফরমেন্স করতে পারছিলাম না।’ আর ঠিক তখনই বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসেন জেমি সিডন্স। সিডন্সের সঙ্গে কাজ করে নিজের ব্যাটিংয়ের যে সমস্যাগুলো ছিল তা নিয়ে তার সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন তামিম। আর তার সঙ্গে নিজের সমস্যাগুলো কাজ করেই সুফল পান তিনি। যা তার ব্যাটিংকে বদলে দেয়। এ ব্যাপারে তামিম বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট যদি বলতে হয় তবে তা হচ্ছে জেমি সিডন্স। সিডন্স যখন আসলো, যখন আমি ওর সঙ্গে কাজ করা শুরু করলাম। আমার ব্যাটিংয়ে যত সীমাবদ্ধতা ছিল ওগুলো নিয়ে কাজ করা শুরু করলাম। আমার স্ট্রোক প্লে আমি আরো বাড়াতে পারলাম। আমি আমার দুর্বলতাগুলো নিয়ে কাজ করতে থাকলাম। তখন থেকে আমার মনে হয়, যতদিন সিডন্সের অধীনে ছিলাম, সেটাই ছিল আমার টার্নিং পয়েন্ট।’ তামিম ইকবাল এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে ২০৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। ওয়ানডেতে তার রান ৭ হাজার ২০২। ওয়ানডেতে তার সেঞ্চুরি ১৩টি। হাফসেঞ্চুরি ৪৭টি। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে তিনি একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি ওয়ানডেতে ৭ হাজার রান পূর্ণ করেছেন। তামিম বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট খেলেছেন ৬০টি। আর এই ৬০টি ম্যাচ খেলে রান করেছেন ৪ হাজার ৪০৫। টেস্টে তার সেঞ্চুরি রয়েছে ৯টি। হাফসেঞ্চুরি রয়েছে ২৭টি। আর দেশের সেরা এই ওপেনার বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৭৮টি। টি-টোয়েন্টিতে তার রান ১ হাজার ৭৫৮। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে তার সেঞ্চুরি রয়েছে ১টি। আর হাফসেঞ্চুরি রয়েছে ৭টি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App