×

খেলা

চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিদায়, ফাইনালে বাংলাদেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৬ পিএম

চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিদায়, ফাইনালে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিদায়, ফাইনালে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিদায়, ফাইনালে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলোর নকআউট পর্বে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ও ভারতের অনেকবারই দেখা হয়েছে। ২০২০ যুব ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল বাদ দিলে বাকি সময়গুলোতে বাংলাদেশের জন্য শেষটা ছিল হতাশার। তবে এবার আর কোনো আক্ষেপ নয়, দুবাইয়ের মাটিতে ভারত ‘জুজু’ কাটাল বাংলাদেশের যুবারা।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বার এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে হারের শোধ তুললো মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল। আগামী ১৭ ডিসেম্বর দুবাইয়ে হবে ফাইনাল। পাকিস্তানকে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ১১ রানে হারিয়ে প্রথমবার শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে সংযুক্ত আরব আমিরাত। স্বাগতিকদের সঙ্গে হবে বাংলাদেশের ট্রফির লড়াই।

দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমী মাঠে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে টাইগার পেসার মারুফ মৃধার বোলিং তাণ্ডবে ৪২ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৮৮ রানেই থেমেছিল ভারতের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন অভিষেক আর বাংলাদেশের হয়ে ৪১ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন মারুফ।

হাতের নাগালে থাকা লক্ষ্য তাড়ায় দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশের যুবারা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই গোল্ডেন ডাক হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার জিশান আলম। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস গড়ার চেষ্টায় ছিলেন আসরে দারুণ ফর্মে থাকা আশিকুর রহমান শিবলি। তাদের জুটি ১৯ রান করে।

ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ব্যাটার রিজওয়ান- নামান তিওয়ারির বলে কাভারে শচীন দাসকে ক্যাচ প্রাকটিস করিয়ে সাজঘরে ফেরেন। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ১৩ রান। এরপর সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা আসে শিবলির দুঃখজনক রানআউটে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শিবলি আজ রানআউট হন ২২ বলে ৭ রানে।

এমন অবস্থায় দলকে দক্ষতার সঙ্গে টেনে তুলেছে আরিফুল ইসলাম। আহরার আমিনকে সঙ্গে নিয়ে ১৩৮ রানের মহামূল্যবান জুটি গড়েন। চলতি আসরে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। আরিফুল নিজেও ছিলেন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে। বড় শট খেলতে গিয়ে ৯৪ রানের মাথায় শেষপর্যন্ত আউট হন।

তবে আরিফুল যখন আউট হয় তখনো দলের প্রয়োজন ১৭ রান। টাইগার এই ব্যাটারের বিদায়ের পর দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফের এলোমেলো মনে হচ্ছিল বাংলাদেশকে। তবে ততক্ষণে জয়টা কেবল সময়ের অপেক্ষা ছিল টিম টাইগার্সের। শেষ পর্যন্ত ৪২ ওভার ৫ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুবাইয়ের ভেজা উইকেটে সুবিধা করতে পারেনি ভারত। উল্টো নতুন বলে সেটি ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন মারুফ মৃধা। এই পেসারের তাণ্ডবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে ভারতীয় টপ অর্ডার। ইনিংসের প্রথম ওভারেই দুর্দান্ত এই ইনসুইংয়ে পরাস্ত করেন ভারতীয় ওপেনার আদর্শকে।

নিজের পরের ওভারে বোলিংয়ে ফিরে আবারও ভারতীয় শিবিরে আঘাত হানেন মারুফ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলটি লেগ স্টামের ওপর ফুল লেন্থে করেছিলেন মারুফ। সেখানে ফ্লিক করতে গিয়ে ডিপ ফাইন লেগে ধরা পড়েন আশ্বিন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১ রান। নিজের চতুর্থ আর ইনিংসের সপ্তম ওভারে এসে আরও একবার মারুফ 'শো' দেখেছেন ক্রিকেট ভক্তরা। তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে খানিকটা খাটো লেন্থে করেছিলেন মারুফ। ১০ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি উদয়। জায়গায় দাঁড়িয়ে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন তিনি।

এরপর শচিন দাস ও প্রিয়াংশু উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। শচিন ১৬ ও প্রিয়াংশু ১৯ রান করে ফিরেছেন। আরভেলি অভানিষ সাতে নেমে ডাক খেয়ে ফিরলে ৬১ রান তুলতেই শুরুর ৬ উইকেট হারায় ভারত। এরপর খানিকটা প্রতিরোধ গড়েন মুসের ও অভিষেক। সপ্তম উইকেট জুটিতে এই দুইজন মিলে দলকে টেনে তোলার চেষ্টাও করেন তবে মুসের ৫০ রান করে আউট হলে ভাঙে ৮৪ রানের জুটি। আর অভিষেক ফিরেছেন ৬২ রান করে। তার বিদায়ের পর আর বেশিক্ষণ টিকেনি ভারতের ইনিংস।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App