বৃষ্টির কারণে দেড় দিন পর মাঠে নেমে বাংলাদেশের সামনে বড় লিড দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস। তবে মিচেলকে বেশি বাড়তে না দিলেও বাংলাদেশ গ্লেন ফিলিপসকে ফেরাতে পারেনি। অবশেষে বাংলাদেশকে ৮ রানের লিড দিয়ে ফেরত যান নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটার। তার ফেরত যাওয়ার পর আর কোনো রান যোগ না করে ১৮০ রানেই অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।

ডানহাতি এই কিউই ব্যাটার বলতে গেলে বোলারদের তুলোধুনো করেছেন। দলকে বড় লিড এনে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ফিলিপস, মারকুটে ব্যাট করে সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন তিনি। অবশেষে তাকে সেঞ্চুরিবঞ্চিত করেছেন শরিফুল ইসলাম। ৭২ বলে ৮৭ রান করে বাঁহাতি এই পেসারের ফুল লেন্থের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ হন ফিলিপস।

এর আগে, বৃষ্টির পর মাঠে নেমেই আক্রমনাত্মক ব্যাটিং করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস। তবে সেটি বেশিক্ষণ চলতে দেননি অফস্পিনার নাঈম হাসান। কিউইদের ৬০ বলে ৪৯ রানের জুটি ভাঙেন তিনি।

২১তম ওভারে নাঈমকে লং অন আকাশে তুলে মারেন মিচেল। মিড অফ অঞ্চল থেকে দৌড়ে এসে মিচেলকে দুর্দান্ত ক্যাচ বানান মেহেদী হাসান মিরাজ।

এরপর ব্যাক টু ব্যাক বল করতে এসে মিচেল স্যান্টনারকে ফেরালেন নাঈম। ব্যাটের কানায় বল লাগিয়ে প্রথম স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেনের হাতের ধরা পড়েন স্যান্টনার। ৭ বলে ১ রান করেন এই কিউই ব্যাটার।

এর আগে, ম্যাচের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে সারাদিনই বৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে মাঠে গড়াতে পারেনি খেলা। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৯ টায় খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেটিও সম্ভব হয়নি।

বুধবার প্রথম দিনের খেলা নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছিল। প্রথম দিনে স্পিনারদের দাপটে দুই দলেরই মোট ১৫টি উইকেট পড়ে। আজ (শুক্রবার) ৫ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে মাঠে নেমেছে নিউজিল্যান্ড ব্যাটার ড্যারিল মিচেল এবং গ্লেন ফিলিপস।

শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথম দিন ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিলো ১৭২ রানে। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন মুশফিকুর রহিম। ৩১ রান করেন ডানহাতি ব্যাটার শাহাদাত হোসেন।

জবাবে ৪৬ রানে নিউজিল্যান্ড হারায় ৫ উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ৩ উইকেট এবং ২ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।