×

খেলা

মিলারের সেঞ্চুরিতে দুইশ পার প্রোটিয়াদের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:০১ পিএম

মিলারের সেঞ্চুরিতে দুইশ পার প্রোটিয়াদের

ইডেন গার্ডেনে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৯৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন দক্ষিণ আফ্রিকার হেনরিক ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। ছবি: ইন্টারনেট

কলকাতার ইডেন গার্ডেনে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণের সামনে ৪৯.৪ ওভারে ২১২ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। এই ম্যাচে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম এবং ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি হাঁকান ডেভিড মিলার। এ যেন এক অচেনা প্রোটিয়া দল। লিগ পর্বে যেখানে আগে ব্যাট করে প্রতিপক্ষের বোলারদের কচুকাটা করে ছাড়তো সেই দলই এবার অজিদের সামনে টিকতেই পারেনি। যদিও এমন অবস্থা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগেও তারা আইসিসির বিভিন্ন টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত শুরুর পর নকআউটে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছে। বর্তমানে ভারতের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার মত দলের বিপক্ষে এমন টার্গেট মামুলি একটি বিষয়। তারপরও খেলাটা যেহেতু ক্রিকেট তাই যেকোন সময় যেকোন কিছু ঘটতেই পারে। এর আগে ১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭ এবং সর্বশেষ ২০১৫ সালে সেমিফাইনাল খেলেছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু ফাইনালে খেলার সৌভাগ্য এখন পর্যন্ত হয়নি তাদের। কলকাতায় ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই মিচেল স্টার্কের শিকার হন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। রানের খাতা খোলার আগেই তাকে প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটতে হয়। এরপর স্টার্ক-হ্যাজেলউডের পেস আক্রমণের কাছে টিকতেই পারছিলেনা এ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ডি কক এবং ডুসেন। মাত্র ৩ রান করে হ্যাজেলউডের বলে কামিন্সের হাতে তালুবন্দি হন ডি কক। এরপর আরো ব্যাকফুটে চলে যায় প্রোটিয়ারা। যার ফল দেখা যায় প্রথম পাউয়ার প্লেতেই। এরারের বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন মাত্র ১৮ রান আসে তাদের দুই উইকেটের বিনিময়ে। ১১তম ওভারে স্টার্কের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন এডেন মার্করাম। তার ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। তার পরের ওভারেই হ্যাজেলউডের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত ডুসেন। ৬ রান করে তাকেও সাজঘরের পথ ধরতে হয়। ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় প্রোটিয়ারা। এরপরই হানা দেয় বৃষ্টি। মাঝখানে কিছুক্ষণ খেলা থেমে থাকলেও কোন ওভার কাটেনি ম্যাচে। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে প্রোটিয়াদের হয়ে লড়াই শুরু করেন ডেভিড মিলার এবং হেনরিখ ক্লাসেন। তাদের জুটি থেকে আসে ৯৫ রান। দলীয় ১১৯ রানে ট্রাভিস হেড বল করতে এলে টানা দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ৩ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস করেন ক্লাসেন। দলের হয়ে শেষ পর্যন্ত লড়ে যান ডেভিড মিলার। তার ব্যাট থেকে আসে ১০১ রান। কিন্তু তাকে সঙ্গ দেওয়ার মত কেউ ছিলেন না। ফলে ১১৬ বলে ১০১ রানেই প্যাট ক্যামিন্সের বলে আউট হয়ে থামে মিলারের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেন প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক। দুটি করে উইকেট নেন হ্যাজেলউড এবং হেড।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App