×

খেলা

প্রোটিয়াদের কাছে পাত্তাই পেল না কিউইরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৩, ১০:০৬ পিএম

প্রোটিয়াদের কাছে পাত্তাই পেল না কিউইরা

পুনেতে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেশব মহারাজের বলে বোল্ড হন কিউই অলরাউন্ডার জেমস নিশাম-ইন্টারনেট

বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে থামানো যেন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। নিজেদের সপ্তম ম্যাচে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯০ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে তারা। ফলে সাত ম্যাচে ছয় জয়ে টেবিলের প্রথম স্থানে উঠে আসল দক্ষিণ আফ্রিকা। এ জয়ের ফলে প্রোটিয়াদের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল। পরের দুই ম্যাচের একটিতে জয় পেলেই আর আটকায় কে।

পুনেতে টসে জিতে প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল সেটাই সেঞ্চুরির মাধ্যমে প্রমাণ করে দিয়েছেন দুই প্রোটিয়া ব্যাটার কুইন্টন ডি কক এবং রাসি ফন ডার ডুসেন। তাদের জোড়া সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৩৫৭ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আসরে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি পান ডি কক এবং দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পান ডুসেন। ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে আগে ব্যাটিং করে টানা ৮ ম্যাচে ৩০০ বা এর বেশি রানের স্কোর করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিউইদের হয়ে আজ ৫.৩ ওভার করেই ইনজুরির কারণে মাঠ ত্যাগ করেন ম্যাট হেনরি। দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৫৭ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রোটিয়া বোলারদের আক্রমনের সামনে টিকতেই পারেননি ব্ল্যাকক্যাপস ব্যাটাররা। ৩৫.৩ ওভারে ১৬৭ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। ফলে ১৯০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রোটিয়ারা।

৩৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩য় ওভারেই দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় ব্ল্যাকক্যাপসরা। জানসেনের বলে স্লিপে থাকা মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ২ রান করেই সাজঘরে ফেরেন ডেভন কনওয়ে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার রাচিন রবীন্দ্রও। মার্কো জানসেনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে তিনি নিজের উইকেট হারান। ৯ ওভারে ৪৫ রানে ২উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। চাপ থেকে তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন উইল ইয়াং। তিনি ফেরেন ৩৩ রানে। ড্যারেল মিচেলের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। তিনি কেশব মহারাজের বলে আউট হন। এরপর আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি কিউইরা। হারের ব্যবধান কমাতে শেষ পর্যন্ত লড়ে যান গ্লেন ফিলেপস। ৫০ বলে ৬০ রান করেন তিনি। যার জন্য শেষ পর্যন্ত ১৬৭ রানেই থামতে হয় নিউজিল্যান্ডকে। প্রোটিয়াদের হয়ে কেশব মহারাজ ৪টি, মার্কো জানসে ৩টি এবং জেরাল্ড কোয়েটজে ২টি উইকেট তুলে নেন এছাড়াও একটি উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা।

এর আগে পুনেতে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একটু ধীর গতিতে করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯ম ওভারে দলীয় ৩৮ রানে বোল্টের বলে স্যান্টনারের হাতে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। প্রথম দশ ওভার পাওয়ার প্লেতে এক উইকেটের বিনিময়ে আসে মাত্র ৪৩ রান। এরপরই শুরু হয় প্রোটিয়দের এবারের বিশ্বকাপে চিরচেনা ব্যাটিং তাণ্ডব। ডুসেনকে নিয়ে উইকেটরক্ষক ব্যাটার ডি কক গড়েন পুরো দুইশত রানের জুটি। ৬২ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন কক, ডুসেন নেন ৬১ বলে। ১০৩ বলে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২১ তম শতক তুলে নেন ডি কক। দলীয় ২৩৮ রানে এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত খেলতে নামা কিউই পেসার টিম সাউদির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে গ্লেন ফিলিপসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর ৭৮ রানের জুটি গড়েন ডুসেন এবং মিলার। ৪৮তম ওভারের প্রথম বলেই সাউদির দ্বিতীয় শিকার হন ডুসেন। ৯ চার এবং ৫ ছয়ে ১১৮ বলে ১৩৩ রান করে বোল্ড হন তিনি। শেষদিকে মিলারের ৩০ বলে ৫৩ রানের উপর ভর করে বড় সংগ্রহের দিকে এগোয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের ঠিক এক বল আগে নিশামের হাতে কাটা পড়েন মিলার। শেষ বলে মার্করামের ছয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৩৫৭ রানের সংগ্রহ গড়ে তোলে প্রোটিয়ারা। ক্লাসেন অপরাজিত থাকেন ১৫ রানে। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে টিম সাউদি ২টি, ট্রেন্ট বোল্ট এবং জেমস নিশাম নেন একটি করে উইকেট।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App