বাংলাদেশে ই-স্পোর্টস প্রসার চায় এমএলটি ফাউন্ডেশন। এমএলটিন ও বাংলাদেশের ই-স্পোর্টসের ভবিষ্যত শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। এমএলটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সিওও অনিকা মৃধা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি অজয় দেবনাথ, সহসভাপতি এটিএম মুশফিক মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক আবির বিন সাকি, কোষাধ্যক্ষ সাজ্জাদ হোসেন অনিক প্রমূখ। অনিকা মৃধা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ই-স্পোর্টস একটি ইলেকট্রনিক খেলাধুলার মাধ্যম, যেখানে অন্যান্য খেলার মতই পেশাদার খেলোয়াড়রা ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে কোনও খেলা খেলে অংশ নিয়ে প্রতিযোগিতায় যেতে পারেন। এছাড়া এটি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক খেলার মধ্যে স্পোর্টস জুড়ে থাকতে পারে, যেমন ই-স্পোর্টস ট্রেনিং, প্রতিযোগিতা এবং দর্শনীয় ইভেন্ট। এটি অনলাইনে তথা কম্পিউটার বা মোবাইল গেমসে ব্যাপকভাবে প্রয়োজনীয় হতে পারে। বর্তমানে ই-স্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সরাসরি ও পারিপার্শ্বিকভাবে ২৫ টি অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রি জড়িত আছে যা ভবিষ্যতে আরো বাড়ার সম্ভাবনা আছে । বর্তমানে ১৮ টি দেশে ই-স্পোর্টস সরকারী মন্ত্রণালয় ও ফেডারেশনের আওতাধীন আছে। তিনি বলেন, ২০১৯ থেকে বাংলাদেশে ই-স্পোর্টসের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে এটি এখনও প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। তারপরেও বাংলাদেশে যেভাবে ই-স্পোর্টস এগিয়ে যাচ্ছে তাতে পরিসংখ্যান বলছে বাংলাদেশে আরো প্রসারণ সহজেই ঘটানো সম্ভব, যেটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে। 'গত ৪ বছরে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভাবে সর্বমোট ৩৮ টি ই-স্পোর্টস কেন্দ্রিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে কোভিড ১৯ এর সময় বাংলাদেশীয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম উন্নত হয়েছে। নাম করা ৪০ জন স্ট্রীমারের বার্ষিক আয় ছিলো (আনুমানিক) ১২ কোটি টাকা।' তিনি যোগ করেন।