এশিয়া কাপে সুপার ফোরে শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই টপ অর্ডারের চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেন সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়। সাকিব-হৃদয়ের জুটির পর নাসুম-মাহেদী হাসানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াকু পূঁজি পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। টাইগারদের বিপক্ষে জিততে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৬৬ রান।

এর আগে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই রানের খাতা খোলার আগেই মোহাম্মদ শামির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন কুমার দাস। পরের ওভারে শার্দুলের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন নিজের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা তানজিদ তামিম। ৩ চারে ১২ বলে তামিম করেন ১৩ রান। এরপর শার্দুলের দ্বিতীয় শিকার হন এশিয়া কাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা এনামুল হক বিজয়। লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে তিনি করেন ১১ বলে ৪ রান।

এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন অধিনায়ক সাকিব। কিন্তু দলীয় ৫৯ রানে আবারও আঘাত হানে ভারত। অক্ষর পাটেলের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১৩ রানে প্যাভিলিয়নের ফেরেন মেরাজ। ৫৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া টাইগারদের হাল ধরে সাকিব-হৃদয় জুটি। তাদের ১০১ রানের পার্টনারশিপে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। দলীয় ১৬১ রানের মাথায় শার্দুলের বলে কাট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন সাকিব। ৮৫ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৮০ রান করেন তিনি। পরের ওভারেই জাদেজার বলে লেগ বিফোর আউট হয়ে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন শামীম পাটোয়ারী।

নিজের ১৩তম আন্তজার্তিক ম্যাচেই পঞ্চম ফিফটি তুলে নেয়া হৃদয় শামিকে তুলে মারতে গিয়ে তিলক ভার্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন। ৮১ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে হৃদয় করেন ৫৪ রান। হৃদয়ের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ইনিংস দুইশ পেরোয় নাসুমের কল্যাণে। নাসুম ৪৪ বলে করেন ৪৪ রানে আউট হন। ভারতের হয়ে শার্দূল ঠাকুর ৪ টি ও শামি ও প্রসিদ্ধ ২ টি করে উইকেট পান।