এশিয়া কাপের সুপার ফোরের নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ (বৃহস্পতিবার) শ্রীলঙ্কাকে জেতার জন্য ৪২ ওভারে ২৫৩ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে পাকিস্তান। জিতলেই ফাইনাল নিশ্চিত, এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমে শুরুতেই বৃষ্টির বাধায় পড়ে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট পর খেলা শুরু হলে ম্যাচ নেমে আসে ৪৫ ওভারে। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও দারুনভাবে ম্যাচে ফিরে আসে পাকিস্তান। বৃষ্টির বাধায় আবারো খেলা বন্ধ হলে খেলা ৪২ ওভারে নেমে আসে। আবদুল্লাহ শফিকের অর্ধ-শতকের পর শেষদিকে রিজওয়ান-ইফতেখারের ১০৮ রানের পার্টনারশিপে ৪২ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২৫২ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। ফাইনাল নিশ্চিত করতে করতে হলে সিংহলিজদের করতে হবে ২৫৩ রান।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে পাকিস্তান। স্কোরবোর্ডে ৯ রান তুলতেই তারা হারিয়ে ফেলে ওপেনার ফখর জামানকে। ১১ বলে ৪ রান করে লঙ্কান পেসার প্রোমোদ মধুশানের বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর ম্যাচে হাল ধরার চেষ্ঠা করেন আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। তবে ধীর গতিতে ব্যাটিং করতে থাকেন দুইজন। ফলশ্রুতিতে ১১.১ ওভারের প্রথম দলীয় অর্ধশতক পূর্ণ করে পাকিস্তান। ১৬তম ওভারের শেষ বলে ৩৫ বলে ২৯ রান করা বাবর আজমকে আউট করে শ্রীলঙ্কাকে ব্রেক থ্রু এনে দেন দুনিথ ভেল্লালাগে। এরপর রিজওয়ানকে সাথে নিয়ে খেলার হাল ধরার চেষ্ঠা করেন শফিক।

মাথিশা পাথিরানার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হওয়ার আগে শফিক তুলে নেন পাকিস্তানের জার্সিতে প্রথম ওয়ানডে অর্ধ-শতক। ৩ চার ও ২ ছক্কায় শেষ পর্যন্ত বিদায় নেন ৬৯ বলে ৫২ রান করে বিদায় নেন তিনি। এরপর মোহাম্মদ হারিস ও মোহাম্মদ নাওয়াজও দ্রতই সাজঘরে ফেরেন। হারিস করেন ৯ বলে ৩ রান, নাওয়াজের ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ১২ রান। এরপর বৃষ্টি নামলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। খেলা নামিয়ে আনা হয় ৪২ ওভারে। বিরতির পর ইফতেখার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন রিজওয়ান। ভেল্লালাগেকে দারুণ এক স্কয়ার ড্রাইভে চার মেরে ৪৮ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন রিজওয়ান। ৪০ বলে ৪৭ রান করে পাথিরানার শিকার হন ইফতেখার। শ্রীলঙ্কার হয়ে পাথিরানা নেন ৩টি উইকেট।

এ ম্যাচের ভারতের ম্যাচের একাদশ থেকে পাঁচটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে পাকিস্তান। ইনজুরি সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তান দল। ইমাম-উল-হক নেই পিঠের টানের কারণে। সৌদ শাকিলের খেলা থাকলেও জ্বরের কারণে নেই তিনি, দলে এসেছেন আব্দুল্লাহ শফিক। এছাড়া ছন্দে থাকা দুই পেসার নাসিম শাহ ও হারিস রউফের এশিয়া কাপ ইনজুরির কারণে শেষ হয়ে গিয়েছে আগেই। অন্যদিকে দুটি পরিবর্তন নিয়ে নামে শ্রীলঙ্কাও। দিমুত করুনারত্নে ও কাসুন রাজিতর জায়গায় কুশাল পেরেরা ও প্রমোদ মাদুশান দলে এসেছেন।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের এ ম্যাচটি মূলত সেমিফাইনালই বলা যায়। সুপার ফোরে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা দ্ইু দলকেই হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। এ ম্যাচে যারা জিতবে, তারা আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের ফাইনালে ভারতের সঙ্গী হবে। সুপার ফোরে এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের হারজিত সমান একটি করে। বৃষ্টিতে আজকের ম্যাচটি ভেসে গেলে ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে পাকিস্তানের। সে ক্ষেত্রে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় ফাইনাল খেলবে শ্রীলঙ্কা। ফাইনালের দৌড় থেকে বাংলাদেশ ছিটকে গেছে আগেই।