এবার নিজ দেশে জাপানের কাছে হারল জার্মানি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৪১ এএম
ছবি: ইন্টারনেট
বিশ্বকাপে জার্মানিকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল জাপান। এবার জার্মানির ঘরের মাঠে ৪-১ গোলে জার্মানিকে রীতিমতো উড়িয়ে দিল এশিয়ার পরাশক্তি জাপান।
এই পরাজয়ের ধাক্কা এতই বেশি যে জার্মান কোচ হ্যানসি ফ্লিকের চাকরি চলে যাওয়াটা সম্ভবত সময়ের ব্যাপার।
ইউরোপিয়ান লিগেও জাপানের প্লেয়াররা ভালো করতে শুরু করেছে। কুবো, মিতোমারা নিয়মিত তাদের নিজ দলের হয়ে হেডলাইন কেড়ে নিচ্ছে।
এই জয়টা প্রমাণ করে দিচ্ছে যে বিশ্বকাপে জাপানের পারফরমেন্স মোটেও ফ্লুক ছিল না বরং তারা ফুটবলের নতুন পরাশক্তি হতে চলেছে। তারা এশিয়ায় ফুটবল জাগরণের নেতৃত্ব দিতে এসেছে।
শনিবারের (৯ সেপ্টম্বর) ম্যাচে জাপানের কোচ মরিয়াসু ইনফর্ম কুবোকে বেঞ্চে বসিয়ে তার জায়গায় রাইট উইংয়ে ইতোকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয় এবং মাত্র ১১ মিনিটের মধ্যেই লিড নিয়ে তার সঠিক সিদ্ধান্তের প্রমাণ দিয়ে দেয়। জার্মানি ১৯ মিনিটে স্কোর সমান করলেও শেষ পর্যন্ত জাপানের জয়কে থামানো যায়নি।
এই মুহূর্তে ফিফা র্যাংকিংয়ে জাপান ২০ নম্বর দল এবং ১৫ নাম্বারে অবস্থান করা জার্মানির সাথে তারা এখন পর্যন্ত দুইবার জিতেছে, একবার হেরেছে এবং একটি ম্যাচ ড্র করেছে।
এশিয়ায় নিশ্চিতভাবেই দীর্ঘদিনের ক্ষরা শেষে ফুটবলের সূর্যালোক পৌঁছে যাচ্ছে। একদিকে সৌদি আরব তাদের লীগকে ঠেলে সাজাচ্ছে। অন্য দিকে দূরপ্রাচ্যের দেশগুলো এতদিন ফুটবল বিশ্বকাপে কেবল প্রতিনিধিত্ব করলেও এখন বড় দলগুলোর চোখে চোখ রেখে জয় ছিনিয়ে আনছে।
ফুটবলের ইউরোপ কেন্দ্রীকতা বহুদিনের। অর্থনৈতিক কাঠামোর বিবেচনায় ফুটবলে ইউরোপিয়ান ডমিনেন্স খুব দ্রুত শেষ হবার সম্ভাবনা দেখা যায় না। তবে এত বড় রিজিয়ন হবার সত্বেও এবং এত বেশি ফুটবলের উন্মাদনা থাকার পরেও এশিয়ান দলগুলো ফুটবলে বড় শক্তি হয়ে উঠতে না পারাটা একটা দুঃখজনক ব্যাপার। জাপান যেইভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এবং যে ধরনের প্লেয়ার তারা প্রোডিউস করছে, তাতে বোঝাই এক-দুই ম্যাচ জিতে হারিয়ে যেতে তারা আসেনি। মিতোমা,কামাডা, কুবো, ইতো এই চারজনের ফ্রন্ট লাইন এবং ডিফেন্সিভ মিডে এন্দো এবং হাতাতে, প্রত্যেকেই ইউরোপে তাদের নিজ নিজ দলের মূল একাদশের প্লেয়ার।
তাই জাপান ফুটবলের উন্নতিতে হারিয়ে যাবার বদলে ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে বলেই আমি আশা করি। হয়তো তাদের হাত ধরেই বৈশ্বিক আসরে এশিয়ান দল গুলো জায়ান্ট হতে শিখবে।