×

খেলা

কার উইকেট পেয়ে সবচেয়ে খুশি শাহিন?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:১৪ এএম

কার উইকেট পেয়ে সবচেয়ে খুশি শাহিন?

এশিয়া কাপের তৃতীয় ম্যাচে আজ মাঠে নামে ভারত-পাকিস্তান। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ক্রিকেটে আজই প্রতিবেশী এ দুই দেশের প্রথম লড়াই। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এবারের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামে টিম ইন্ডিয়া। শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। কিন্তু ম্যাচ শুরুর পঞ্চম ওভারেই বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৪.১ ওভারে ভারতের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৫ রান। বৃষ্টির আগে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ১৮ বলে ১১ রান করে ক্রিজে রয়েছেন। অপরদিকে আরেক ওপেনার শুভমন গিল ৮ বল খেলে রানের খাতায় খুলতে পারেনি।

২৩ মিনিট বন্ধ থাকার পর মাঠে গড়ায় দুই দলের লড়াই। বৃষ্টি যেন পাকিস্তানের জন্য সুভাগ্য নিয়ে এসেছে। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে শাহিন আফ্রিদির শিকার হন ভারতীয় অধিনায়ক।

২২ বলে ১১ রান করে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন রোহিত শর্মা। এরপর ক্রিজে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বিরাট কোহলিও। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।

মেঘলা আকাশের নীচে অবলীলায় সুইং করাচ্ছিলেন। তার বলে বোকা বনে গিয়ে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি বোল্ড হয়ে যান। দিনের শেষে ১০ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছেন তিনি। ইনিংস বিরতির মাঝে জানালেন, কোন ভারতীয় ব্যাটারের উইকেট তার কাছে প্রিয়।

ম্যাচের মাঝে কথা বলতে এসেছিলেন শাহিন। তার মতে, রোহিতের উইকেটটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শাহিন বলেছেন, “নতুন বলে আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল সেটা কাজে লাগাতে পেরেছি। শুরুতেই ভারতের উইকেট ফেলে দিতে চেয়েছিলাম। সেই কাজে সফল। রোহিত এবং কোহলির দুটো উইকেটই আমার ভাল লেগেছে। আলাদা করে কোনও ব্যাটারের নাম করতে বললে রোহিতের কথাই বলব। বলটা দারুণ ছিল।”

পরিবেশের সাহায্য যে তারা পেয়েছেন তা স্বীকার করে নিয়েছেন শাহিন। তার কথায়, “বৃষ্টির পর আকাশ মেঘলা ছিল। হাওয়া দিচ্ছিল। সেই সময় বল করতে গিয়ে সুইংয়ের সাহায্য ভাল মতো পেয়েছি। আবহাওয়া আমাদের সাহায্য করেছে। নতুন বলে এমনিতেই সুইং এবং সিম পাওয়া যায়। সমস্যা হল, বল পুরনো হলে আর সাহায্য পাওয়া যায় না। তাই শুরুর দিকে উইকেট তোলা দরকার ছিল।”

সতীর্থ নাসিমের প্রশংসা করে শাহিন বলেছেন, “ওর বলের গতি দেখে অবাক হয়েছি। প্রায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করছিল। জানি দ্রুত বল করতে পারে ও। কিন্তু আজকের গতি সত্যিই অবাক করার মতো।”

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App