×

খেলা

ফেনীতে দোকান বরাদ্দে অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৩, ০৩:৩৯ পিএম

ফেনীতে দোকান বরাদ্দে অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন

ফেনীর ভাষাসৈনিক সালাম স্টেডিয়াম। ছবি: ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর ভাষাসৈনিক সালাম স্টেডিয়াম মার্কেটের দোকান বরাদ্দে অনিয়ম ও জামানতের কোটি টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ফেনী জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান।

কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মো. বাতেনকে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মাসুদুর রহমান ও জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস)।

জানা যায়, শহরের একাডেমি রোডের পার্শ্বে অবস্থিত ফেনী ভাষা সৈনিক সালাম স্টেডিয়াম। ২০২১ সালে স্টেডিয়াম মার্কেটের পুনঃসংস্কার করে দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মার্কেটের ৭৩টি দোকানের মধ্যে ৫২টি দোকান বরাদ্দ দেয় জেলা ক্রীড়া সংস্থা। উন্নয়ন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দোকান প্রতি ৫ লাখ টাকা ফেরতযোগ্য জামানত ও ২ হাজার টাকা মাসিক ভাড়া নির্ধারণ করা হয়।

ফেনী স্টিল ওয়ার্কস, ইলিয়াছ মেটালেক্স, ফেনী প্লাস্টিক ডোরের মালিক শাহ আলমসহ কয়েকজন দোকান মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহার কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তার পছন্দের লোকদের কাছে দোকান বরাদ্দ দিয়েছেন।

নির্ধারিত জামানতের টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে জমা নেয়ার কথা থাকলেও নগদে গ্রহণ করেছেন এবং সংস্থার জামানত হিসাবে টাকা জমা করেননি। প্রতিটি দোকান বরাদ্দের সময় উপর মহলের কথা বলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দুই লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, বাড়তি যে দুই লাখ করে নিয়েছেন সে টাকার বিষয়টি চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা হয়নি। ব্যবসায়ী নুরুল আফছারসহ একাধিক ব্যবসায়ী দোকান ছেড়ে দেয়ার কথা বলে জামানতের টাকা ফেরত চেয়ে পাননি।

তাদেরকে অন্য কারো কাছে ভাড়া দেয়া বা হস্তান্তর করতে বলেন কমিটির লোকজন। অনেকে বাধ্য হয়ে লোকসান দিয়ে দোকান হস্তান্তর করতে বাধ্য হন।

ক্রীড়া সংস্থার কয়েকজন সদস্য বলেন, জামানতের প্রায় দুই কোটি ৬০ লাখ টাকা ও অতিরিক্ত আদায়কৃত এক কোটি চার লাখ টাকার কোন হদিস নেই।

তারা আরো জানান, হাউজির তহবিলের ৪০ লক্ষ টাকা ডিপিএস করা ছিল, সেই ডিপিএসের টাকা উত্তোলন করেছে বর্তমান কমিটি। এছাড়া দু’বছর দৈনিক ২ হাজার টাকা হারে প্রাপ্ত অর্থ ক্রীড়া সংস্থার হিসাবে জমা হয়নি।

ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগের বিষয়টি গত ১২ জুলাই জেলাপ্রশাসকের সভাকক্ষে ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সভায় কয়েকজন সদস্য উপস্থাপন করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান তদন্ত কমিটি করার আশ্বাস দেন। স্টেডিয়ামের দোকান বরাদ্দে ক্রীড়া সংস্থার অনিয়মের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান বলেন, ৫২টি দোকান বরাদ্দ ও জামানত নিয়ে অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি।

তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। তার শীঘ্রই প্রতিবেদন জমা দিবেন। প্রতিবেদন দেখে জানা যাবে কি ধরনের অনিয়ম হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App