×

খেলা

সাকিব-লিটনদের ভ্রমণে চার্টার্ড বিমান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৩, ০৯:৩৯ এএম

সাকিব-লিটনদের ভ্রমণে চার্টার্ড বিমান

ছবি: সংগৃহীত

অধরা এশিয়া কাপ উঠবে এবার টাইগারদের হাতে!

এশিয়া কাপ তিনবার ফাইনালে উঠলেও দুইবার অল্পের জন্য শিরোপা হাতছাড়া করে টাইগাররা। প্রথমটি পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১২ সালে। ২ রানে হেরে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দ্বিতীয়টি ২০১৮ সালে ভারতের বিপক্ষে। সেবার ৩ উইকেটে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ।

এর মাঝে ২০১৬ সালে ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে শিরোপা ঘরে তোলা হয়নি সাকিব-মুশফিকদের। এবার হাইব্রিড মডেলে বসছে এশিয়া কাপের ১৬তম আসর। মূল আয়োজক পাকিস্তান হলেও অধিকাংশ ম্যাচ হবে শ্রীলঙ্কায়। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ফেভারিট ভাবা হচ্ছে বাংলাদেশকে। দুর্দান্ত ফর্মে আছে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। এবার কি অধরা শিরোপা উঠবে টাইগারদের হাতে?

এশিয়া কাপের এবারের আসর মাঠে গড়াবে আগামী ৩০ আগস্ট। যেখানে ‘বি’ গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। টাইগারদের প্রথম ম্যাচ ৩১ আগস্ট লঙ্কানদের বিপক্ষে ক্যান্ডিতে। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর লাহোরে আফগানদের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

অপরদিকে ‘বি’ গ্রুপে স্বাগতিক পাকিস্তানের সঙ্গে রয়েছে নেপাল ও ভারত। আগামী ৩০ আগস্ট মুলতানে পাকিস্তান-নেপালের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে এই টুর্নামেন্ট। ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ হবে আগামী ২ সেপ্টেম্বর। দুই গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে উঠবে চার দল।

সেখানে প্রতিটি দল খেলবে প্রতিটি দলের সঙ্গে। পরে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল ১৭ সেপ্টেম্বর ফাইনালে মুখোমুখি হবে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বাংলাদেশের সামনে সুযোগ রয়েছে সুপার ফোর নিশ্চিত করার। কেননা কিছুদিন আগে ঘরের মাঠে আফগানদের টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। যে কারণে আফগানদের হারাতে পারলেই মোটামুটি সুপার ফোর নিশ্চিত। ফাইনালে যাওয়ার সমীকরণ একটু কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।

আসন্ন এশিয়া কাপের দিনক্ষণ চূড়ান্ত ছিল আগেই। বাকি ছিল ম্যাচ মাঠে গড়ানোর সূচি। সেই সূচি প্রকাশ হলে দেখা যায় দুই দিনের ব্যবধানে দুই ম্যাচ খেলতে হবে টাইগারদের। স্বাভাবিকভাবে দুই দিনের মধ্যে এক দেশ হতে অন্য দেশে ভ্রমণ করে মাঠে খেলতে নামা কঠিন বিষয়। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সুবিধার্থে এসিসি এ সময় চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমাদের তো লাহোরে যেতে হবে। শুরুতে শ্রীলঙ্কায় খেলা। প্রথম রাউন্ডে দুইটা ম্যাচ আছে আমাদের, পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা মিলিয়ে। যেতে হবে, কিছু তো করার নেই। ৩১ আগস্ট পর ৩ সেপ্টেম্বর আমাদের আবার ম্যাচ। যাত্রাটা যেন আরামদায়ক ভাবে হয় সেজন্য এসিসি থেকে চাটার্ড বিমান দেয়া হবে। এটা ওরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতায়াত করলে তো সব সময় একটা প্রভাব পড়েই। আপনি যদি বিমানে যান তাহলে ২-৩ ঘণ্টা আগে যেতে হয়। লাগেজ নিয়ে যেতে হয় এছাড়া মানসিক শক্তিরও বিষয় আছে। শ্রীলঙ্কা থেকে পাকিস্তান তো খুব কাছে না। যেহেতু এসিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবাই মেনে নিয়েছে, তাই আমাদেরও মেনে নিতে হয়েছে।’

এশিয়া কাপের প্রস্তুতি হিসেবে আগামী ২৯ জুলাই মিরপুরে ক্যাম্প শুরু করবে টাইগাররা। চলমান ইমার্জিং এশিয়া কাপে পারফর্ম করা সৌম্য সরকার, মাহমুদুল হাসান জয়, শেখ মাহেদী কিংবা তানজীদ হাসান তামিমদেরকে নিয়ে গড়া হবে এশিয়া কাপের প্রাথমিক স্কোয়াড।

প্রস্তুতি ক্যাম্প থেকে মূল দলেও ঢুকে যেতে পারেন কয়েকজন। এদিকে বিশ্রামে থাকা তামিম ইকবালের ফেরা না ফেরা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে তার ফিটনেসের ওপর। ক্যাম্পের শুরুতে ঘোষিত হবে এশিয়া কাপের স্কোয়াড।

গত আসরে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। সামনে ওয়ানডে বিশ্বকাপ থাকায় এবারের আসর হবে একদিনের। এশিয়া কাপে কখনো চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বাংলাদেশ।

টুর্নামেন্টে তাদের সেরা প্রাপ্তি তিনবার ফাইনালে ওঠা। বাংলাদেশ ২০১২, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে মোট তিনবার এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে। তবে তিনবারই খেতাবি লড়াইয়ে হেরে রানার্স হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। বাংলাদেশ প্রথমবার ফাইনালে হারে পাকিস্তানের কাছে। শেষ ২ বার তারা হার মানে টিম ইন্ডিয়ার কাছে।

এশিয়া কাপের সবচেয়ে সফল দল হল ভারত। এখন পর্যন্ত মোট ৭ বার শিরোপা ঘরে তুলেছে তারা। ১৯৮৪ সালের উদ্বোধনী মৌসুমের পর ১৯৮৮, ১৯৯০-৯১, ১৯৯৫, ২০১০, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। এছাড়া টিম ইন্ডিয়া এশিয়া কাপে রানার্স হয় ১৯৯৭, ২০০৪ ও ২০০৮ সালে। ভারত তিনটি ফাইনালেই হেরেছে শ্রীলঙ্কার কাছে।

ভারতের পরে এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। তারা ৬ বার এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন। ১৯৮৬ সালের পর ১৯৯৭, ২০০৪, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০২২ সালে শিরোপা ঘরে তুলেছে তারা। এছাড়া ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯০-৯১, ১৯৯৫, ২০০০ ও ২০১০ সালে হয়েছে রানার্সআপ। আর এশিয়া কাপে ২ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান। ২০০০ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে প্রথমবার এশিয়া কাপ জেতে পাকিস্তান। পরে ২০১২ সালে বাংলাদেশকে হারিয়ে খেতাব জেতে তারা।

এশিয়া কাপ শেষে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এবার বিশ্বকাপে ১০টি দল একে অপরের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চার দল সেমিফাইনালে খেলবে। ক্রিকেট বোদ্ধারা এবার বাংলাদেশ দলকে নিয়ে বেশ আশাবাদী। তারা প্রত্যাশা করছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিলা সেমিফাইনালে উঠতে সক্ষম হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App