×

খেলা

সহজ জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে সাবালেঙ্কা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৩, ১২:২৫ পিএম

সহজ জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে সাবালেঙ্কা

উইম্বলডনের নারী এককের শেষ ষোলোতে রাশিয়ান একেতেরিনা আলেকজান্দ্রোভাকে ৬-৪, ৬-০ সেটে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেন দুই নম্বর বাঁছাই আরিনা সাবালেঙ্কা। আজ সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন কিসের মুখোমুখি হবেন তিনি।

কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দ্বিতীয় বাছাই সাবালেঙ্কা হারিয়ে দেন আলেকজান্দ্রোভাকে। প্রথম সেটে এই দুই তারকার মধ্যে কিছুটা লড়াই হলেও দ্বিতীয় সেটে পাত্তা পাননি আলেকজান্দ্রোভা। প্রথম সেটে ৬-৪ ব্যবধানে জেতেন সাবালেঙ্কা। আর দ্বিতীয় সেটে প্রতিপক্ষকে কোনো পয়েন্টই নিতে দেননি তনি। জিতে যান ৬-০ ব্যবধানে। ২৫ বছর বয়সি সাবালেঙ্কা এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে একটি সেটে হেরেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি মুখোমুখি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন কিসের। জয়ের পর সাবালেঙ্কা বলেন, ‘আমি এখানে এসে সত্যিই উপভোগ করছি। আমি ফিরে আসতে পেরে খুব খুশি এবং কোর্টে আমি প্রতি সেকেন্ড উপভোগ করছি। আমি যতক্ষণ পারি ততক্ষণ এই টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে চাই। যাতে আমি এই পরিবেশ উপভোগ করতে পারি। আমি মনে করি আলেকজান্দ্রোভার বিপক্ষে এটি একটি দুর্দান্ত ম্যাচ ছিল, আমি এই জয়ে খুব খুশি। সে খেলার জন্য সত্যিই কঠিন প্রতিপক্ষ।’

অপরদিকে উইম্বলডনের পুরুষ এককের সিঙ্গেলে মাত্তেয়ো বেরেত্তিনির কাছে শুরুতেই হোচট খান আলকারাজ। হেরে যান ৩-৬ সেটে। এরপরেই ঘুরে দাঁড়ান তিনি। লড়াই করেন প্রায় ৩ ঘণ্টা ৪ মিনিট। শীর্ষ বাঁছাই হিসেবে খেলতে নামেন ঘাসের কোর্টে এটি তার তৃতীয় টুর্নামেন্ট। যে কারণে কিছুটা খাপছাড়া দেখা যায় তাকে। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয় সেটের প্রথম গেমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেন বেরিত্তিনির সঙ্গে। ম্যাচে প্রথমবারের মতো আলকারাজকে দেখা যায় আগ্রাসী রূপে। প্রতিপক্ষকে কোনো পয়েন্ট না দিয়ে তার সার্ভিস ভাঙেন তিনি। ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় সেট দখল করতে অসুবিধা হয়নি তার। দাপটে খেলে ৪০ মিনিটে ৬-৩ গেমে জয় নিশ্চিত করেন। এতেই ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফেরেন তিনি। এরপর তৃতীয় সেটে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন আলকারাজ। যদিও দারুণ লড়াই হয়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সঙ্গে। বেরেত্তিনির সার্ভিস ভেঙে শুরুতেই এগিয়ে যান আলকারাজ। নবম গেমে আবার প্রতিপক্ষের সার্ভিস ভেঙে তৃতীয় সেটও জিতে নেন ৬-৩ ব্যবধানে। ফলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যান তিনি। আর চতুর্থ সেটে বেরেত্তিনিকে তেমন পাত্তাই দেননি আলকারাজ। প্রতিপক্ষের সার্ভিস ভাঙার পর নিজের সার্ভিস ধরে রেখে সেট এবং ম্যাচ জিতে নেন। তৃতীয় সেটে দুজনের লড়াই হয় ৫৫ মিনিট।

কোয়ার্টার ফাইনালে আলকারাজের প্রতিপক্ষ হোলগার রুন। ২০১২ সাল থেকে একসঙ্গে টেনিস খেলছেন তারা। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ডাবলসে জুটি হিসেবে নেমেছেন। রুনকে কিছুটা হলেও ছাপিয়ে গিয়েছেন আলকারাজ। তবে পরিসংখ্যান অনুযায়ী কেউ এগিয়ে নেই। পেশাদার টেনিসে আসার পরে আলকারাজ ও রুন এর আগে দুবার মুখোমুখি হয়েছেন। ২০২১ সালে এটিপি ফাইনালে আলকারাজ স্ট্রেট সেটে জিতেছিলেন। ২০২২ সালে প্যারিস মাস্টার্সে জিতেছিলেন রুন। অর্থাৎ, ১-১ ফলে রয়েছেন তারা। কোয়ার্টার ফাইনালে যিনি জিতবেন তিনি এগিয়ে যাবেন। চেনা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আলকারাজ বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছি। ১২ বছর বয়স থেকে অনেক দিন একসঙ্গে খেলেছি।

তাই কোয়ার্টার ফাইনালে নামার জন্য মুখিয়ে আছি। ম্যাচের আগে কথা হয়নি। কিন্তু আমরা একে অপরকে খুব ভালো ভাবে চিনি। এমন নয় যে আমার ব্যাকহ্যান্ড খারাপ। কিন্তু ও আমার থেকেও ভালো। তাই আমি ওর ব্যাকহ্যান্ড কেড়ে নিতে চাই।’

অন্যদিকে রুন মুগ্ধ আলকারাজের টেনিস প্রেমে। মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, ‘আলকারাজ সব সময় কোর্টে প্রচণ্ড আবেগ দিয়ে খেলে। আগের আলকারাজ আর এখনকার আলকারাজ মনের দিক থেকে একই। কিন্তু খেলোয়াড় হিসেবে ও আরো ভালো হয়েছে।’

আলকারাজের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার ম্যাচে দেখা যায় অঘটন। ক্রিস্টোফার ইউব্যাংকসের কাছে হেরে বিদায় নেন পঞ্চম বাছাই স্টেফানোস সিৎসিপাস। এই দুই তারকা লড়াই করেন ৫ সেটে। যেখানে ৩-৬, ৭-৬, ৩-৬, ৬-৪, ৬-৪ গেমে জয় তুলে নেন ইউব্যাংকস। প্রথমবারের মতো উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ এই খেলোয়াড়কে নিয়ে আলোচনা চলছিল অনেক দিন ধরেই। কিন্তু উইম্বলডনে তিনি যে একেবারে পঞ্চম বাছাইকে হারিয়ে দেবেন এটা অনেকেই ভাবতে পারেননি।

উইম্বলডনের আগে মায়োরকা ওপেনে ট্রফি জিতেছিলেন তিনি। ঘাসের কোর্টে আবির্ভাবেই নিজের জাত চিনিয়ে দেন এই তারকা। ইউব্যাংকসের জয়ের অন্যতম কারণ রিটার্ন। প্রথম তিন সেটে একটি ব্রেক পয়েন্ট পেতে দেননি প্রতিপক্ষকে। তৃতীয় বাছাই দানিল মেদভেদের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবেন ইউব্যাংকস। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে স্বপ্নের জগতে বাস করছি। পাগলের মতো অনুভূতি হচ্ছে। সব শট রিটার্ন করাই আমার লক্ষ্য ছিল। এই ম্যাচ জেতার পর এখন থেকেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছি। কিন্তু এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না যে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলব।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App