বাফুফের আর্থিক ও কেনাকাটা বিষয়ে অসংগতিসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ ছাড়াও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও সহকারী অর্থ কর্মকর্তা অনুপম সরকারকে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে ফিফা। সেই চিঠি পেয়েছিলেন বাফুফে ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদিও। ফিফার চিঠি নিয়ে পুরো ফুটবল অঙ্গনে তোলপাড় চললেও কাজী সালাউদ্দিন যেন কিছুই জানেন না। সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত রিপোর্টগুলো তার কাছে মনে হয়েছে ভিত্তিহীন। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের বাঁচাতে ঢাল হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা সালাউদ্দিনকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয়েছে। নিজে ফিফার চিঠি কেন পাননি, সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়েও নানা যুক্তি দেখান ঘরোয়া ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) জরুরি সংবাদ সম্মেলনের বার্তা দিয়ে বিকেল ৪টায় ফুটবল ফেডারেশন ভবনে সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়াকে নিয়ে ফুটবল ফেডারেশন ভবনে আসেন কাজী সালাউদ্দিন। ফেডারেশনের সব সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকলেও এদিন আসেননি সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।

বাফুফে সভাপতি বলেন, যে জিনিসটি নিয়ে আপনারা আলাপ করছেন, আমাদের চারজনের নামে ফিফা থেকে চিঠি এসেছে। আমি কিন্তু কিছুই জানি না। অফিসিয়ালি আমি এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি পাইনি। ব্যক্তিগতভাবে কাউকে চিঠি দিয়েছে কিনা, আমি জানি না। আমাকে রবিবার মন্ত্রী পর্যন্ত বলেছেন (যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী) বাফুফে সভাপতি হিসেবে আপনি এর বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিন। কিন্তু আমি কীসের ওপরে অ্যাকশন নেব, চিঠিই তো পাইনি।

তিনি বলেন, আপনি লিখতে পারেন, সভাপতি হিসেবে ফিফা থেকে আমি কোনো গাইডলাইন কিংবা চিঠি পাইনি। কেউ কিছু পেয়ে থাকলে, সেটা তো আমাকে জানায়নি কেউ। তাহলে কি চেইন অব কমান্ডের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে? এখানে চেইন অব কমান্ডের কথা নয়। ফিফা আমাকে তো কিছু বলেনি। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব আমাকে জানানো, তবে আমাকে কেউ কিছু জানাননি। আমি আনঅফিসিয়ালি ফিফার সঙ্গে কথা বলেছি। ফিফা আমাকে বলেছে, এ ব্যাপারে তোমার সঙ্গে আলোচনা করার কিছু নেই। আমরা কিছু তদন্ত করছি।

ফুটবল ফেডারেশনের প্রধানকে বাইপাস করে কি অন্য কাউকে চিঠি দিতে পারে ফিফা? এ প্রশ্নের জবাবে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, সেটা ফিফাই ভালো বলতে পারবে। আর ফিফা কেন আমাকে জানায়নি, সেটা তাদের ব্যাপার। যে কারণে ভুল ভাঙানোর জন্য আজকে আপনাদের সামনে। আপনারা যেটা বলেছেন সেটা হয়তো সঠিক, আবার সঠিক না।

তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত নিয়ে মিডিয়াকে দোষারোপ করে সালাউদ্দিন বলেন, আপনাদের হাফ নিউজে মাঠে লোক আসা বন্ধ হয়, স্পন্সর আসা বন্ধ হয়। কেন, কীসের স্বার্থে করেন সেটা আমি জানি না। হাফ হার্টেড, বেসলেস নিউজ করলে আমাদের কষ্ট দেয়। সপ্তাহে ২ দিন যে খেলা হয়, সেটা তো ঢালাওভাবে বলেন না। আমার এই দুঃখটাই জানাতে আজকে সংবাদ সম্মেলন করতে এসেছি।

সবকিছুই যেহেতু মিডিয়ার তৈরি, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা কেন নেন না, জবাবে সালাউদ্দিন বলেন, আমি আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে ভেবেছি। একজন আইনজীবীকে ভাড়া করব, যাতে সামনে এ রকম ব্যাপার এলে তিনি মোকাবিলা করতে পারেন।