×

খেলা

পেসারদের দাপটে দুদিনেই প্রোটিয়াদের হারাল অজিরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৩৪ এএম

পেসারদের দাপটে দুদিনেই প্রোটিয়াদের হারাল অজিরা

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে মাত্র দুই দিনেই জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাঠ ব্রিসবেনে পেসারদের দাপটে ৬ উইকেটে জিতেছে অজিরা। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অজিরা।

প্রথমদিনই দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ইনিংসে ১৫২ রানে অলআউট করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৫ উইকেটে ১৪৫ রান করে প্রথমদিন শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিনে ২১৮ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংস থেকে ৬৬ রানের লিড পায় অজিরা। ৬৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের তোপের মুখে পড়ে ৯৯ রানে অলআউট হয় সফরকারী প্রোটিয়ারা। এতে অজিদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪ রান। ৩৪ রানের সহজ টার্গেটে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের তোপের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৯ রানে ২ এবং ২৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারার তারা। এরপর আর কোনো উইকেট না হারিয়েই লক্ষ্য পূরণ করে অস্ট্রেলিয়া।

প্রথম ইনিংসের শুরতেই প্রোটিয়া অধিনায়ক মাত্র ৩ রানে স্টার্কের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে প্রোটিয়ারা। ওয়ান ডাউনে নামা রাসি ভন ডার ডাসেনও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ, একই কায়দায় তাকে সাজঘরে পাঠান কামিন্স। এরপর একই ওভারে সারেল এরউই ও খায়া জন্ডোকে তুলে নেন বোল্যান্ড। পঞ্চম উইকেটে ৯৮ রানের জুটি গড়ে খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা চালান ভেরেইনে ও বাভুমা। ৩৮ রান করে স্টার্কের বলে বাভুমা বোল্ড হয়ে গেলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর একপ্রান্তে ভেরেইনে উইকেট আগলে রাখলেও অপর প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত অষ্টম ব্যাটার হিসেবে লায়নের বলে আউট হওয়ার আগে ৬৪ রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এরপর আনরিখ নরকিয়া ও লুঙ্গি এনগিডিকে আউট করে প্রোটিয়া ব্যাটিংয়ের লেজটা দ্রুতই গুটিয়ে দেন কামিন্স ও লায়ন।

সফরকারীদের মতো ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো করতে পারেনি অজিরাও। ইনিংসের প্রথম বলেই রাবাদার বলে গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়ে ফিরে যান ডেভিড ওয়ার্নার। হতাশ করেন ফর্মে থাকা মারনাস লাবুশানেও, মার্কো ইয়ানসেনের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। এক ওভার বাদেই উসমান খাজাকে ফেরান নরকিয়া। মাত্র ২৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলা অস্ট্রেলিয়া এরপর ঘুড়ে দাঁড়ায় হেড-স্মিথের ১১৭ রানের জুটিতে। ৩৬ রান করে স্মিথ ফিরে গেলেও অপরাজিত থাকেন হেড। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ক্রিজে আসা বোল্যান্ডও ফিরে যান পরের ওভারে। দিনের শেষ ওভারে তার উইকেট না হারালে আরেকটু সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে পারত ক্যাঙ্গারুরা। এরপর দ্বিতীয় দিনে এই উইকেটে টিকে থাকা কঠিন বলে হেড ও ক্যামেরন গ্রিন পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেন। ১৯ বলে ১৮ করে ফেরেন গ্রিন। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা হেড সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন ৯৬ বলে ৯২ রানে আউট হয়ে। এরপর ৩১ রানের ছোট্ট জুটি গড়েন অ্যালেক্স কেয়ারি ও মিচেল স্টার্ক। শেষ দিকে আবার ৫ রানের মধ্যে তারা হারায় শেষ ৩ উইকেট। কেরি অপরাজিত থাকেন ২২ রান করে। ৬৬ রানের লিড পায় অস্ট্রেলিয়া, ম্যাচের প্রেক্ষাপটে যা পরে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে আবার অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের তোপে পড়ে যায় প্রোটিয়া ব্যাটিং। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ডিন এলগারকে ফেরান প্যাট কামিন্স। পরের ওভারে রাসি ফন ডার ডাসেনকে দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড করে মিচেল স্টার্ক পূর্ণ করেন ৩০০ টেস্ট উইকেট। একটু পর কামিন্সের বলে গালিতে গ্রিনের দুর্দান্ত ক্যাচে বিদায় নেন এরভিয়া। এরপর আগের ইনিংসের মতোই অধিনায়কের মুখে হাসি ফোটান নাথান লায়ন। এই অফস্পিনার ফিরিয়ে দেন ২৯ রান করা বাভুমাকে। এরপর এক প্রান্তে রান কিছুটা বাড়ান জন্ডো, আরেক প্রান্তে পড়তে থাকে উইকেট। কামিন্স ছোবল দেন লেজে। দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে যায় ৯৯ রানেই। ক্যারিয়ারে তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা জন্ডো অপরাজিত থাকেন ৩৬ রানে। জয়ের জন্য ৩৪ রান করতেও শেষ ইনিংসে নাভিশ্বাস উঠে যায় অস্ট্রেলিয়ার। দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাজাকে শুরুতেই ফেরান রাবাদা। পরে স্টিভেন স্মিথ ও ট্রাভিন হেডকে তিনি বিদায় করেন পরপর দুই বলে। এই দুই উইকেটের মাঝে ওয়াইড বলের বাউন্ডারিতে রান আসে ৫। তারপরও ৭ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ৪ উইকেটে ২৪। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ৩৫ রানে অতিরিক্তই ১৯ রান। প্রথম ইনিংসের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচের সেরা হন ট্রাভিস হেড।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App