দু’জনের মধ্যে সেরার লড়াই ছিল। কে বিশ্বের সেরা স্পিনার তা নিয়ে তর্কের শেষ নেই। তবে ব্যক্তিগত জীবনে তারা ছিলেন বন্ধু। একে অপরকে শ্রদ্ধা করতেন। সেই বন্ধু যে এত তাড়াতাড়ি জীবনের ময়দান ছেড়ে চলে যাবেন তা ভাবতেও পারছেন না শ্রীলংকার সাবেক স্পিনার মুথাইয়া মুরলীধরন। তার খালি মনে হচ্ছে, বড় তাড়াতাড়ি চলে গেলেন শেন ওয়ার্ন। শোকস্তব্ধ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সুনীল গাভাস্কার।

ওয়ার্নের মৃত্যুর পরে মুরলী বলেন, আমি হতভম্ব। কী বলব কিছুই বুঝতে পারছি না। ওয়ার্ন খুব ভালো বন্ধু ছিল। কিংবদন্তি। ইতিহাসের অন্যতম সেরা হিসেবে মনে রাখা হবে ওকে। ওর মৃত্যুর বয়স হয়নি। যখনই দেখা হয়েছে ওকে খুব তরতাজা লেগেছে। এত তাড়াতাড়ি যাওয়ার কী ছিল। ওয়ার্নের মৃত্যু ক্রিকেট বিশ্বের কাছে খুব বড় ক্ষতি বলেই মনে করেন মুরলী।

নেটমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন সৌরভ। সেই সঙ্গে শরীরের দিকে খেয়াল রাখার বার্তা দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি। ওয়ার্নের সঙ্গে দুটি ছবি প্রকাশ করে সৌরভ লেখেন, ভাবতেই পারছি না। ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ওয়ার্ন। জীবন সত্যিই খুব অনিশ্চিত। তাই সবার স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া উচিত। কোনো রকমের অবহেলা উচিত নয়।

শোকস্তব্ধ ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার গাভাস্কারও। তিনি বলেন, আমি ভাবতেই পারছি না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্বের দুই সেরা ক্রিকেটার প্রয়াত হলো। ওয়ার্ন লেগ স্পিনের মাস্টার ছিল। টেস্টে ৭০৮ উইকেট মুখের কথা নয়। ও জীবনে রাজার মতো করে বেঁচেছে। ক্রিকেটের অন্যতম সেরা চরিত্র ওয়ার্ন।

শনিবার মৃত্যু হয় ওয়ার্নের। মাত্র ৫২ বছর বয়সে প্রয়াত হন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার এই সাবেক ক্রিকেটারের। ওয়ার্নের এ ভাবে মৃত্যুর পরে অনেকেই প্রশ্ন তুলছিলেন, এর মধ্যে কোনো রহস্য আছে কি না। কিন্তু থাইল্যান্ড পুলিশ জানায়, ওয়ার্নের মৃত্যুর মধ্যে কোনো রহস্য নেই। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।