×

প্রবাস

পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৫৬ পিএম

পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন
পর্তুগালে ৫ অক্টোবর গৌরবময় প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত। ১৯১০ সালের এই দিনে পর্তুগালের সর্বশেষ রাজা মানুয়েল দ্বিতীয় সাধারণ জনগণের সশস্ত্র বিদ্রোহের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করে পর্তুগাল ছেড়ে দেশান্তরী হন। এরপর থেকে এই দিনটাকে ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে পালন করা হয়। প্রজাতন্ত্র দিবসের ১১৩ তম দিবসে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় রাজধানী নিজ বোনের প্রধান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদের স্পিকার সহকারে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ গন। অনুষ্ঠানে পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো দি সজা জাতীয় অর্থনীতি, রাজনীতি সহকারে আঞ্চলিক ইউরোপিয়ান রাজনীতি এবং বিশ্ব রাজনীতির দিকেও ইঙ্গিত প্রকাশ করেন তিনি বলেন আমরা ১১৩ বছর আগে কোথায় ছিলাম এবং এখন কোথায় আছি এর মধ্যে আমরা যে সকল শপথ করেছিলাম তার প্রতিফলন কি? তিনি একই সাথে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়টিও তুলে ধরেন। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে পর্তুগালের স্থানীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত ক্ষমতাসীন সোশালিস্ট পার্টির নেতা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত রানা তসলিম উদ্দিন গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটিকে উদযাপন করার জন্য দলের নৈশ ভোজে তরুণ এবং প্রবীণ প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ধরনের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা এই দেশের মানুষের সাথে আমাদের কমিউনিটি তথা আমাদের দেশকে ব্রান্ডিং ও প্রমোট করতে পারি। সেই সাথে উভয় দেশের মধ্যে তৈরি করতে পারি বন্ধুত্ব, হৃদ্যতা, সহমর্মিতা, ভাতৃত্ববোধ সর্বোপরি সলিডারিটি। আমাদের উভয় দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হোক সেই কামনা করি। অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণকারী প্রবাসী সাংবাদিক আনোয়ার এইচ খান ফাহিম বলেন, এটি একটি গৌরবের বিষয় যে আমরা স্থানীয় এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে অংশ হতে পেরেছি আমরা অভিনন্দন জানাতে চাই এই গৌরবময় জাতিকে যারা হাজার হাজার বছর ধরে তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। পর্তুগালে বসবাসকারী একজন সুনাগরিক হিসেবে এ দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে একজন সুনাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কর্তব্য হয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের সকল বাংলাদেশীদের জন্য। ইতিহাসের পটভূমি থেকে জানা যায় ১৯০৮ সালে রাজা মেনুয়েল দ্বিতীয় এর পিতা তৎকালীন পর্তুগালের রাজা, রাজা কার্লোস প্রথম এবং তার বড় ভাই প্রিন্স লুইস ফিলিপ আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। রাজা কার্লোস প্রথম এর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারসূত্রে ১লা ফেব্রুয়ারি ১৯০৮ সালে তিনি রাজা নির্বাচিত হন। পূর্ববর্তী রাজা কার্লোস প্রথম এর জনগণের উন্নয়নের প্রতি অনীহা এবং পরিবার কেন্দ্রিক সম্পদ ব্যয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে তাছাড়া দেশের অর্থনৈতিক সংকটে জীবন যাপন কঠিন হয়ে পড়ে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App