নিউ ইয়র্কের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক চিঠি, ইমেইল, ওয়েবসাইট, বিজ্ঞাপন এবং বিলবোর্ডসহ নানার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে ভুল বানান ও বাক্যে লেখা হচ্ছে বাংলা ভাষা। শুদ্ধভাবে বাংলা লেখার আহবান জানিয়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হয়েছে ২৬ থেকে ২৮ আগস্ট। বাঙালি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস ও জ্যামাইকায় এ আয়োজনে হাজারো বাঙ্গালী অংশগ্রহণ করেন। গাইবান্ধা সোসাইটি , ইউএসএ এবং শাহ্‌ ফাউন্ডেশনের এ গণসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়। শুদ্ধভাবে বাংলা ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে, শেষ দিন গণস্বাক্ষরের প্রতীকী চিঠি আনুষ্ঠানিক ভাবে নিউইয়র্ক কনস্যুলেট এবং নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসে প্রদান করা হয়। এ আয়োজন এর সহযোগী সংগঠন শাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক শাহ্‌ জে. চৌধুরী বলেন, শুদ্ধভাবে বাংলা ভাষা ব্যবহার করার উদ্যোগের কথা শুনেই আমরা যুক্ত হয়ে যাই। নিউইয়র্কে শিক্ষা,স্বাস্থ্য,নির্বাচন কমিশন,পরিবহন বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বছরের পর বছর ধরে বাংলা ভাষা ভুলভাবে লেখা হচ্ছে। এসব প্রতিটি বিভাগে তাদের ভুলগুলো শুধরে নেয়ার জন্য, তাদের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য বাংলা ভাষাভাষী সবার অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। গণস্বাক্ষর কর্মসূচী বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক দীলিপ মোদক বলেন, ৫২ সালে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মযার্দা দিতে পেরেছি। সেই ভাষা বিদেশের মাটিতে বিকৃতভাবে হলে,আমরা আহত হই। যার জন্য আমরা বাংলা ভাষা শুদ্ধ করে লেখার জন্য গণসচেতনতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক আন্দোলন এবং কর্মসূচি চালিয়ে যাব। নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশী অন্যান্য সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনকেও আমরা আহ্বান জানাবো এ ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করে সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শুদ্ধ বাংলা লেখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। সদস্য সচিব ফাহমিদা চৌধুরী লুনা বলেন, নিউ ইয়র্ক স্টেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাংলা অশুদ্ধভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে,তা রাতারাতি ঠিক করা সম্ভব না। তাই আমরা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। তিনদিনের গণস্বাক্ষর কর্মসূচীতে দেড়-সহস্রাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী স্বাক্ষর করেছেন। সিটির মেয়রকে নিউ ইয়র্ক স্টেটের সর্বস্তরে বাংলা শুদ্ধভাবে লেখার আহবান জানানোর জন্য নিউইয়র্ক সিটির মেয়রকে গণস্বাক্ষর কর্মসূচীর চিঠি প্রদান করা হবে। সংগঠনের সভাপতি আব্দুল আউয়াল দুলালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রেজা রহমানের সঞ্চালনায় তিন দিনের এই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষকে শুদ্ধ করে লেখার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাঙালি কমিউনিটির বর্ষীয়ান সাংবাদিক মুহম্মদ ফজুলর রহমান। বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস এবং শরাফ সরকার। কমিউনিটি একটিভিষ্ট অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম, মুজাহিদ আনসারী, জাকির হোসেন বাচ্চু এবং প্রতীমা সরকার।