নাট্যনির্মাতা মোহন খান আর নেই।
মঙ্গলবার (৩০ মে) রাত ১১টা ৫০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
ভোরের কাগজকে মোহন খানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তার ভাগনে তুষার খান।
মৃত্যুকালে মোহন খানের বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাসখানেকের বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
এদিকে, চলতি মাসের শুরুতে মোহন খানের ছেলে ইউশা মোহন জানিয়েছিলেন, প্রথমে তার বাবাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। এরপর পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে মোহন খানকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
দেশের নাট্যাঙ্গনে মোহন খানের বিচরণ তিন দশকের বেশি সময়ের। তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে নাটক নির্মাণ করেন। পাশাপাশি নাটক রচনাও করেন। তার পরিচালিত প্রথম নাটক ‘আমার দুধমা’ বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) প্রচার হয়। তার লেখা ও পরিচালনায় নাটক ‘সমুদ্রে গাঙচিল’, ‘সেই আমরা’, ‘নীড়ের খোঁজে গাঙচিল’, ‘জেগে উঠো সমুদ্র’, ‘মেঘবালিকা’, ‘দূরের মানুষ’, ‘আঙ্গুর লতা’, ‘হৃদয়পুরের গল্প’ ইত্যাদি নাটক বানিয়ে তিনি প্রশংসিত হন। সর্বশেষ তিনি নাটক নির্মাণের পাশাপাশি এটিএন বাংলায় অনুষ্ঠান বিভাগের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
মোহন খানের ছেলে আরো জানান, গত মাসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মোহন খান। প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তারা জানতে পারেন, মোহন খানের ব্রেনে টিউমার হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সেই টিউমারের অস্ত্রোপচার করতে হয়। তারপর শারীরিক অবস্থা ভালোর দিকেই যাচ্ছিল। এর মধ্যে ঘাড়ে স্পাইনাল কর্ডের ওপরের প্রেশার পয়েন্টে একটি অস্ত্রোপচার করতে হয়। এরপর থেকেই তার বাবা লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
তুষার খান জানান, হাসপাতালের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে মোহন খানের মরদেহ তার লালমাটিয়ার বাড়িতে নেয়া হবে। বুধবার বাদ জোহর লালমাটিয়া শাহি মসজিদে তার নামাজে জানাজা হবে। এরপর ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।
মোহন খানের গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলায়। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
© ভোরের কাগজ 2002 – 2020
প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী । মুদ্রাকর: তারিক সুজাত
কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, তৃতীয় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, (নিউ সার্কুলার রোড, মালিবাগ), ঢাকা-১২১৭ ।
ফফোন: ৯৩৬০২৮৫, ৮৩৩১০৭৪ ফ্যাক্স: ৯৩৬২৭৩৪, সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন : ৮৩৩১৮০৬ । ইমেইল: [email protected]