Print

Bhorer Kagoj

কলাপাতায় মায়াময় চড়ুই-ভাতি

প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ৭, ২০২৩ , ৮:৩৩ অপরাহ্ণ | আপডেট: মার্চ ৭, ২০২৩, ৮:৩৩ অপরাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক

‘ছোট্টবেলার ছোট্ট হাঁড়ি, ছোট্ট থালাবাটি। চড়ুইভাতির আয়োজনে তুমুল হল্লাহাটি। কবির এই কবিতাই যেন স্মরন করে দেয় শৈশবের সব স্মৃতি গাঁথা রোমাঞ্চকর মুহূর্তগুলোর কথা ।

শৈশবে চড়ুই-ভাতি করেননি এমন কাউকে খোঁজে পাওয়া মুশকিল। কালের পরিক্রমায় কৈশোর আর তারুণ্যের সে সময়গুলো আজ শুধুই স্মৃতি। কালের স্রোতে এমন স্মৃতি হয় তো হারিয়ে গেছে, তবুও স্মৃতির কল্পপটে আজো নাড়া দেয় সেই সোনালী দিন গুলির কথা।

সেই পুরোনো স্মৃতিকে রোমন্থন এবং কাজের এক ঘেয়েমী দূর করতেই শৈশবে ফিরে গেলেন রোজী মোজাম্মেল মহিলা অনার্স কলেজের তরুণ কয়েকজন শিক্ষক। গ্রাম্য পরিবেশে নিরিবিলি এক পুকুর পারের কলা বাগানে আয়োজন করেন ওই চড়ুই-ভাতির।

রান্নার প্রয়োজনীয় সব উপকরণ সংগ্রহ করে রওয়ানা হন চড়ুইভাতির জন্য। উদ্দেশ্যে বসন্তের স্বাদ অবগাহন আর শৈশবের সেই স্মৃতিগুলোকে খুঁজে বেড়ানো। তাই সকাল থেকে সন্ধা অবধি চলে শিক্ষক আর পুরোনা বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে এই ব্যতিক্রমী চড়–ই-ভাতির আয়োজন।

এ যেন এক মিলন মেলা। গ্রামের পুকুর থেকে মাছ ধরা, সাঁতারকাটা, রান্না বান্না আর গ্রামের শিশুদের সাথে খেলাধুলায় মত্ত হয়ে কিছু সময়ের জন্য শৈশবে হারিয়ে যাওয়া। দিন শেষে আপন কুলোয় ফিরে আসা এক অসাধারণ অনুভুতি যেন তাদের মুগ্ধ করে রেখেছিলো সারক্ষণ।

সেই অনুভুতি প্রকাশ করে রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজর শিক্ষক লতিফা জাহান লতা ও সেবক কুমার কুন্ডু বলেন, ছোটবেলায় আমরা যেভাবে খোলা জায়গায় রান্নার আয়োজন করে চড়ুই-ভাতি করতাম ঠিক সেভাবেই পরিকল্পনা করে বন্ধু মহলসহ বেরিয়ে পরি প্রকৃতির মাঝে শৈশবের স্বাধ পেতে। যদিও বহুদিন পর প্রচন্ড হৈহুল্লুর আনন্দ করে দিন কাটিয়েছি। কিন্তু শৈশব- কৈশরে যে আনন্দ পেয়েছি তাকি আর পাওয়া যায়? তবুও অনেক বছর পর দিনভর আনন্দ করে সময়টা ভালোই কেটেছে।

চড়ইভাতি কেমন হলো জানতে চাইলে গুরুদাসপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের এটিও শাহাদত হোসেন বাচ্চু জানান, ছোটবেলায় আমরা যখন চড়ুই-ভাতি করতাম সাধারণত কলা পাতায় খাবার খাওয়া হতো। কলাপাতায় খাওয়ার কারণ হলো আমরা ছোটবেলার সেই স্মৃতিতে স্বল্প সময়ের জন্য ফিরে যেতে চেয়েছিলাম। পুরো আয়োজনে আমরা শৈশবের সেই চড়ুই-ভাতির আনন্দটা উপভোগ করেছি।

অনুভূতি জানিয়ে প্রভাষক মিতা রানী দাস ও আলতাব হোসেন বলেন, একদম ব্যতিক্রমী একটা আয়োজন ছিলো। সবার সহযোগিতা তৈরি হয়েছে মেলবন্ধন। কলাপাতায় খাওয়ার আইডিয়াটা ছিলো আরো দারুণ। একটু সময়ের জন্য হলেও ফিরে গিয়েছিলাম ছোটবেলার সেই স্মৃতিতে।

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

© ভোরের কাগজ 2002 – 2020

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী । মুদ্রাকর: তারিক সুজাত

কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, তৃতীয় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, (নিউ সার্কুলার রোড, মালিবাগ), ঢাকা-১২১৭ ।
ফফোন: ৯৩৬০২৮৫, ৮৩৩১০৭৪ ফ্যাক্স: ৯৩৬২৭৩৪, সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন : ৮৩৩১৮০৬ । ইমেইল: [email protected]