Print

Bhorer Kagoj

জঙ্গি ছিনতাই

প্রধান সমন্বয়ক মেহেদীর সাতদিনের রিমান্ড

প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ২৪, ২০২২ , ২:৫৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: নভেম্বর ২৪, ২০২২, ২:৫৬ অপরাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটকে পুলিশকে মারধর ও চোখে পিপার স্প্রে করে জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনার প্রধান সমন্বয়ক মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফির সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

এর আগে দুপুরে রাফিকে আদালতে হাজির করে কোতয়ালী থানায় সন্ত্রাস বিরোধ আইনে করা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামির কাছ থেকে জানা যায়, রাফি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ’আনসার আল ইসলাম’ এর শীর্ষ নেতা বরখাস্তকৃত মেজর জিয়ার সাথে সমন্বয়পূর্বক সংগঠনের আসকরি শাখার সদস্যদের রিক্রুট করে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিনতাইকৃত পলাতক জঙ্গি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমন। যার সাংগঠনিক নাম-শাহরিয়ার। রাফি সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতো। সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা আদালতপ্রাঙ্গন থেকে জঙ্গি আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা তৈরি করে। এ পরিকল্পনার কথা রাফিকে জানায়। রাফি আদালতে মামলাগুলোর নিয়মিত হাজিরা দেওয়ার সময় অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ হতো এবং তাদের সে এই পরিকল্পনার কথা জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ নভেম্বর পরিকল্পনা মোতাবেক ঢাকা সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গণে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটে। জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাফি প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ছিনতাইকৃত আসামিসহ পলাতক আসামিদের অবস্থান নির্ণয়, নাম-ঠিকানা সংগ্রহ, গ্রেপ্তার এবং তাদের সংগঠনের অফিসের ঠিকানা, দলীয় নেতাদের পদ-পদবী, সদস্য সংখ্যা, ঘটনার নির্দেশদাতা, তাদের সংগঠনের ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা কিংবা আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সাথে যোগাযোগ আছে কি না ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য উদঘাটনের জন্য রাফির ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থণা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

তবে রাফির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। রাফিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে তোলা হয়। তার শরীরে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, মাথায় হেলমেট ছিলো। শুনানি শেষে তাকে আবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে, গতকাল বুধবার রাফিকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। সিটিটিসি সূত্র জানায়, জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন মেহেদী হাসান। তিনি আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার সদস্য। তার বাড়ি সিলেটে।

প্রসঙ্গত, ২০ নভেম্বর দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য আবু সিদ্দিক সোহেল ও মইনুল হাসান শামীমকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় রাতে ২০ জঙ্গিকে আসামি করে মামলা করেন পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ। রাতেই ১০ জঙ্গির ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

© ভোরের কাগজ 2002 – 2020

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী । মুদ্রাকর: তারিক সুজাত

কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, তৃতীয় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, (নিউ সার্কুলার রোড, মালিবাগ), ঢাকা-১২১৭ ।
ফফোন: ৯৩৬০২৮৫, ৮৩৩১০৭৪ ফ্যাক্স: ৯৩৬২৭৩৪, সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন : ৮৩৩১৮০৬ । ইমেইল: [email protected]