Print

Bhorer Kagoj

২৪ নভেম্বর আকাশে ডানা মেলবে এয়ার অ্যাস্ট্রা

প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ১৫, ২০২২ , ৭:৫৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২২, ২:১০ অপরাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক

আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে দেশের আকাশে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে দেশের নতুন বেসরকারি এয়ারলাইন্স ‘এয়ার অ্যাস্ট্রা’। এদিন সকালে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের ফ্লাইট পরিচালনার মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনায় যাত্রা শুরু করবে এয়ারলাইন্সটি। বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরুর জন্য এরই মধ্যে বেবিচকের এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট (এওসি) তথা চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে উড়োজাহাজ সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এয়ার অ্যাস্ট্রার উদ্বোধনের তারিখ, ফ্লাইট সূচি ও টিকিট বিক্রির কার্যক্রম, অফিশিয়াল ওয়েব সাইট উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান, বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। স্বাগত বক্তব্য দেন এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ।

ছবি: ভোরের কাগজ

এয়ার আস্ট্রা আকাশ পথের নতুন সহযাত্রী উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাহবুব আলী বলেন, আগামী ১৫ বছরের মধ্যে দেশের এভিয়েশন খাতে প্রায় ৩ গুণ প্রবৃদ্ধি হবে। সরকারের নীতিগত সমর্থনের কারণে অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি এভিয়েশন খাতেও বিপুল প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পেও গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন শিল্পের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন। তার স্বপ্ন ছিল এখানে এয়ার হাব হবে। সে সময় রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত ১২৬ নং অধ্যাদেশ অনুযায়ী সিভিল এভিয়েশন অথরিটি গঠিত হয়। এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে জাতির পিতা যে কাজ শুরু করেছিলেন, সেটি এখন তারই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনাল, ১০টি হ্যাংগার নির্মাণ, রানওয়ে শক্তিশালীকরণ, কক্সবাজার বিমানবন্দরে সমুদ্রে দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিসহ দেশের সব বিমানবন্দরে অনেক উন্নয় হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের নীতিগত সমর্থনের কারণে অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি এভিয়েশন খাতেও ব্যবসা বাড়ছে। বর্তমানে বিদ্যমান দু’টি এয়ারলাইন্সের দিন-দিন রুট সংখ্যা বাড়ছে। আশাকরি আজ যাত্রা শুরু করা নতুন এই এয়ারলাইন্স এয়ার অ্যাস্ট্রাও ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে।

এম মুফিদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে নতুন একটা এয়ারলাইন্স আসছে, এটা সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের সংবাদ। আমি সেজন্য তাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ইন্ডাস্ট্রিকে আরও বেগবান করতে সহায়তা করছেন। ২০৪১ সালে আমরা একটি উন্নত দেশে উন্নীত হব। তার জন্য যেসব ইলিমেন্ট থাকা দরকার, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, যোগাযোগ। এই যোগাযোগ খাতে অবদান রাখছে এয়ারলাইন্সও। আমি প্রত্যাশা করছি, আপনারা যে উদ্দেশ্য নিয়ে আসছেন, যাত্রীদের সেবা দেওয়ার, এটা অব্যাহত রাখবেন। ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ডস সেফটি এবং যাত্রীদের সেবা এই দুটো বিষয় খেয়াল রাখবেন। যেসব এয়ারলাইন্স বসে গেছে, তারা যাত্রীদের সেবাটা ঠিকমত দিতে না পারায় বসে গেছে। আমি আপনাদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি।

ছবি: ভোরের কাগজ

ইমরান আসিফ বলেন, প্রায় ৯ বছর পর বাংলাদেশে একটি নতুন এয়ারলাইনস হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পেরে এয়ার অ্যাস্ট্রা গর্বিত। আমরা নিরাপদ যাত্রীসেবা এবং সময়ানুবর্তিতার মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য এয়ারলাইনস হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দেশের উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এয়ার অ্যাস্ট্রা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এবং এয়ার অ্যাস্ট্রা কঠোর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

উদ্বোধনী পর্ব শেষে প্রতিমন্ত্রী এবং অতিথিরা এয়ার অ্যাস্ট্রার নতুন বহর ঘুরে দেখেন।
এয়ার আস্ট্রা জানায়, শুরুতে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ৩টি ও ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ২টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব অভ্যন্তরীণ রুটেই ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

এয়ার অ্যাস্ট্রা এরই মধ্যে ঢাকায় দুটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট ডেলিভারি নিয়েছে এবং আরও দুটি এয়ারক্রাফট চলতি বছরের মধ্যেই ডেলিভারি নেবে। ২০২৩ সালের মধ্যে এয়ার অ্যাস্ট্রার এয়ারক্রাফটের বহর ১০ টিতে উন্নীত হবে। ফ্রান্সে নির্মিত এটিআর ৭২-৬০০ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্য এয়ারক্রাফট। এয়ারক্রাফটির আরামদায়ক কেবিন ৭০ জন যাত্রী বহন করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের ওয়ান ওয়ে সর্বনিন্ম ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭৯৯ টাকা এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের ওয়ান ওয়ে সর্বনিন্ম ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬৯৪ টাকা।

ছবি: ভোরের কাগজ

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

© ভোরের কাগজ 2002 – 2020

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী । মুদ্রাকর: তারিক সুজাত

কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, তৃতীয় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, (নিউ সার্কুলার রোড, মালিবাগ), ঢাকা-১২১৭ ।
ফফোন: ৯৩৬০২৮৫, ৮৩৩১০৭৪ ফ্যাক্স: ৯৩৬২৭৩৪, সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন : ৮৩৩১৮০৬ । ইমেইল: [email protected]