৪১ বছরে পা রাখলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ১৯৮১ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন পূর্ণিমা। তার পারিবারিক নাম দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। আজ জন্মদিন তার।
চট্টগ্রামেই কেটেছে তার শৈশব ও প্রাথমিক শিক্ষাজীবন। অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ থেকেই চলচ্চিত্রে নাম লেখান।
এরপর প্রায় দুই যুগের অভিনয় ক্যারিয়ারে শতাধিক দর্শকনন্দিত ছবি উপহার দিয়েছেন। পাশাপাশি ছোট পর্দা, অর্থাৎ টেলিভিশনেও করেছেন চমৎকার কিছু কাজ। তার অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ল্যাবরেটরি’, ‘এখনো ভালোবাসি’, ‘নীলিমার প্রান্তে দাঁড়িয়ে’, ‘অমানিশা’, ‘ওইখানে যেও নাকো তুমি’, ‘উল্টোধনুক’, ‘প্রেম অথবা দুঃস্বপ্নের রাত দিন’, ‘লাভ অ্যান্ড কোং’, ‘ফিরে যাওয়া হলো না’ ইত্যাদি।
২০১০ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভাল হতে দিলো না’ ছবির জন্য পূর্ণিমা সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘ধোঁকা’, ‘শিকারী’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘টাকা’, ‘শাস্তি’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘মায়ের জন্য পাগল’, ‘ওরা আমাকে ভাল হতে দিলো না’ তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।
১৯৯৭ সালে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা জাকির হোসেন রাজুর হাত ধরে চলচ্চিত্রে পূর্ণিমার অভিষেক ঘটে। এরপর অনেক জনপ্রিয় সিনেমা তিনি উপহার দেন।
২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর পারিবারিকভাবে আহমেদ জামাল ফাহাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকা পূর্ণিমা। ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল কন্যাসন্তান জন্ম দেন এই অভিনেত্রী। মেয়ের নাম রেখেছেন আরশিয়া উমাইজা।
বর্তমানে ‘জ্যাম‘ ও ‘গাঙচিল’ নামের দুটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এই প্রজন্মের নিকটও পূর্ণিমা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়।
© ভোরের কাগজ 2002 – 2020
প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী । মুদ্রাকর: তারিক সুজাত
কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, তৃতীয় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, (নিউ সার্কুলার রোড, মালিবাগ), ঢাকা-১২১৭ ।
ফফোন: ৯৩৬০২৮৫, ৮৩৩১০৭৪ ফ্যাক্স: ৯৩৬২৭৩৪, সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন : ৮৩৩১৮০৬ । ইমেইল: [email protected]